রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা গুলিতে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো ও রান্না করা খাবার, হাইজিন কিটস্, নিরাপদ পানি, ত্রিপলসহ নিত্যেপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রাঙ্গামাটি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪শ’ পরিবারের মাঝে হাইজিন কিটস ও সুনামগঞ্জে ১শ’ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও বান্দরবন ১শ’ পরিবার, সিলেট ২শ’ পরিবার এবং জামালপুরের ৫শ’ পরিবাররের মাঝে শুকনা খাবার ও ফুড প্যাকেজ বিতরণের প্রস্তুতি রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সদর উপজেলার খোলাহাটি গ্রামের ১ শ’ ৫০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মগবাজারস্থ জাতীয় সদর দপ্তর ও বন্যা কবলিত ৩২ জেলার জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও তাৎক্ষণিক রেসপন্সের সুবিধার্থে শুক্র ও শনিবার অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগ জানায়, বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত জনগনকে চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।
সার্বক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের জন্য সোসাইটির মগবাজারস্থ জাতীয় সদর দপ্তরে কাজ করছে ‘বিডিআরসিএস কন্ট্রোল রুম ’ এবং কন্টিনজেন্সি প্লান এক্টিভেট করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সোসাইটির কনফারেন্স কক্ষে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন।
