চুনারুঘাটে অপহরণের এক মাস পর যুবকের লাশ উদ্ধার

ক্রাইম রিপোর্ট

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দুলা মিয়া নামে এক যুবক কে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। এক মাস আগে তিনি অপহরণ হয়েছিলেন। এঘটনায় তার চাচা রেব সদস্য সাদেক মিয়া কে গ্রেপ্তার করেছে গয়েন্দা পুলিশ। ১৫ জুলাই সোমবার চুনারুঘাট থানার (ওসি) শেখ নাজমুল হক, ওসি (তদন্ত) আলী আশরাফ ও এসআই এস এম নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে দুলা মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করতে যান। ১৭ জুলাই বুধবার


দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে নিয়ে দুলা মিয়ার মরদেহ জুরাইন কবরস্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। সাদেক মিয়া বিজিবি সদস্য ছিলেন বর্তমানে ঢাকা র্যাব -২ -এ কর্মকর্তা অবস্থায় ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.২০ মিঃ সময়ে হবিগঞ্জ জেলা গয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সাদেক মিয়া কে গ্রেপ্তার করে। ১৩ জুলাই শনিবার চুনারুঘাট থানা পুলিশ দুলা মিয়া অপহরণের ঘটনায় মামুন মিয়া নামে এক যুবক কে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অপহরণের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। পরদিন হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে মামুন বলেছেন – র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তাদের কয়েকজন ভাড়া করে দুলা মিয়া কে অপহরণ করিয়ে হত্যা করা হয়। পরে দুলা মিয়া কে হত্যা করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। চুনারুঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার হাজারীবাগ থানা পুলিশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দুলা মরদেহ উদ্ধার করে। ৫ দিন হাজারীবাগ থানা পুলিশ দুলা মিয়ার মরদেহ রেখে অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত দুলা মিয়া উপজেলা শানখলা ইউনিয়নের পাট্রাশরীফ গ্রামের মকসুদ আলীর পুত্র। গত ১৭ জুন টমটম গাড়িতে স্হানীয় শাকির মোহাম্মদ বাজার থেকে নিজ বাড়ি পাট্রাশরীফ আসার সময় তালতলা বাজারে মাইক্রোবাস দিয়ে তার পথরোধ করা হয়। মাইক্রোবাসে থাকা ৪-৫ জন আইন -শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার কোনো খোঁজ না পেয়ে স্বজনরা ২০জুন
পাট্রাশরীফ গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তার ভাই রফিক মিয়া, পাশের বাড়ি আব্দুল মতিন, রোমান মিয়া ও সাকিল মিয়া কে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, আব্দুর রহিমের পুত্র র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তার ভাই রফিক মিয়া, পাশের বাড়ি আব্দুল মতিন, রোমান মিয়া ও সাকিল মিয়ার সাথে নিহত দুলা মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই সূত্র ধরে এঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা বিভাগীয় অনুমতি নিয়ে ১৭ জুলাই বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে নিয়ে দুলা মিয়ার মরদেহ জুরাইন কবরস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং ১৬ জুলাই মঙ্গলবার র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুলা মিয়ার মরদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। ওসি জানান, অপহরণের সব ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। বুধবার দুপুর ১২টায় সাদেক মিয়া কে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *