সরদার কালাম কলারোয়া সাতক্ষীরা ।।
ডেঙ্গু আতঙ্কের মাঝেও-ত্যাগ ও সতঃস্ফুর্ত আনন্দে সারাদেশে পালিত হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা।
দেশের কোথাও বন্যা,কোথাও কৃষকদের চাষাবাদে পিছিয়ে থাকা অনাবৃষ্টি এবং ডেঙ্গুর আতঙ্ক।তবুও ঘরে ঘরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত থাকায়-ঈদের দিন মোটামুটি আনন্দের সাথে উদযাপন হয়েছে।দেশে ওসব নানা কারণে কষ্টে থাকা সত্ত্বেও পরিবার নিয়ে আনন্দের চেষ্টা চালিয়েছে মুসলমান পরিবারগুলো।

তবে,সকল ভেদাভেদ ভুলে অন্য ধর্মের মানুষও এ আনন্দ থেকে পিছিয়ে নেই।তারাও নানা সম্পর্কে সম্পৃক্ত একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে খাদ্য খাওয়াসহ আমদ প্রমদের সহিত বিভিন্ন ভাবে এ আনন্দঘন দিনে শরিক হয়।বন্যা-কৃষকের চাষাবাদ পিছিয়ে থাকা অনাবৃষ্টিসহ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আনন্দ কমতি থাকলেও-এ আনন্দের বন্যা-বিপদমুক্ত-সুখী পরিবারের মধ্যে নির্বিঘ্নে বয়ে যাবে এটা অস্বাভাবিক কিছুই না,পাশাপাশি তারাও পরিবার নিয়ে আনন্দ থেকে পিছিয়ে নেই।তাছাড়া বাঙালি জাতির জন্য চলছে শোকের মাস আগষ্ট এবং বাঙালি সকলেই শোকাহত,তবুও ঈদ উদযাপন চলছে সকলের মাঝে।বাঙালি জাতির সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদের আনন্দ চললেও-সে আনন্দে ছন্দপতন ঘটিয়েছে ডেঙ্গুজ্বর।এই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েক দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে অনেক মানুষ মারা গেছে।এছাড়া সংবাদ মাধ্যম খুললেই দেখা যাচ্ছে প্রতি দিনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ।চতুর্দিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে,দেশের মানুষের এক অন্য রকম পরিস্থিতিতে এ ত্যাগের মহিমান্বিত আনন্দঘন ঈদের দিন এসে হাজির হয়।

আর একারণে এবারের ঈদের জামাতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।ঈদুল আজহায় সারাদেশের ন্যয় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলাসহ ১২টি ইউনিয়নে সোমবার (১২ আগষ্ট) সকাল ৮টায় ও বিভিন্ন জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে ঈদের জামাত শুরু হয়।পৃথক পৃথক ভাবে উপজেলার সকল ইউনিয়নে উদযাপিত এ ঈদের জামাতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশা ও বয়সের লাখ লাখ মুসলমান শরিক হয়।জানা গেছে,উপজেলা ইউনিয়নের কোথাও নারী পুরুষ পর্দা সহকারে যৌথ ভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেছে।উপজেলাসহ ১২টি ইউনিয়নের_ দেয়াড়া,কুশোডাঙ্গা,যুগিখালী,কয়লা,লাঙ্গলঝাড়া এবং
সোনাবাড়িয়াসহ অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ও গ্রাম এলাকায় ছোট্ট বড় পৃথক জামাত নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়।এবং অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গার ন্যয়-দেয়াড়ার খোরদো হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ ময়দানে একই সময়ে নামাজ আদায় করা হয়েছে।আর সেখানে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার পুরুষ মুসলমানদের উপস্থিতিতে ঈমামতি করেন ক্বারী মোঃ বিল্লাল হোসেন।এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রাম এলাকায় নির্ধারিত সময়ে পৃথক ছোট বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।আর জামাতে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ,সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।মোনাজাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের সবাইকে শাহাদাতের মর্যাদা দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়।একইসঙ্গে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর রোগমুক্তি কামনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানোসহ সকল মানুষকে আজাব গজব থেকে রক্ষার জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়েছে।
সর্বশেষ_মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কলারোয়ার প্রতিটি ইউনিয়নের সকল এলাকায় পশু কোরবানি করা হয়।