চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেটের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

জাতীয়

 আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ রেহাই পাবে না।


আজ বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিন্ডিকেটের বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে জানা দরকার। সিন্ডিকেটের একটা ব্যাপার আমাদের দেশে আছে। ফায়দা লোটার জন্য একটা মহল সিন্ডিকেট করে। সে ধরনের কিছু হয়েছে কিনা, সেটা খোঁজ-খবর নিয়ে জানাবো। যার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ রেহাই পাবে না।’
তিনি বলেন, তদন্তে যদি ধরা পড়ে যে, চামড়ার দাম কমে যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করেছে তাহলে যে ব্যক্তি যে মাত্রায় এ শিল্পের ক্ষতি করেছে তার বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সিন্ডিকেটের কারনে চামড়ার দাম কমেছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যিনি অভিযোগ করেছেন, তাকে বলুন তথ্য-প্রমাণসহ তাকে বলতে হবে, কার কারসাজির জন্য চামড়া শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে? বিরোধী দলের একটা পুরনো অভ্যাসই হচ্ছে তাদের ঢালাও অভিযোগ করা। বাস্তবে তাদের ইতিবাচক কাজ নেই। তারা সবসময় নেতিবাচক বিষয়কে আঁকড়ে সরকারের সামান্য কিছু পেলেই ঢালাও বিষোদগার করতে থাকে। এ জন্য এটা বিরোধী দলের ঢালাও বিষদগার কিনা, সেটাও আমাদের ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থ ও জনস্বার্থ বিঘিœত হলে সেটা দেখা সরকারের দায়িত্ব।


সবমিলিয়ে ঈদযাত্রা কেমন ছিল, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হয়েছে। তবে কিছু ভুল ছিল, সেই ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেবো। এলেঙ্গা থেকে রংপুর মহাসড়ক চার লেন না হওয়া পর্যন্ত এই দুর্ভোগ থাকবে। তবে ক্রমান্বয়ে এই দুর্ভোগ শেষ হবে। আমরা এর জন্য কাজ করছি।’


তিনি বলেন, টাঙ্গাইলে মানুষের দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে যে আট লেনের গাড়ি দুই লেনের ব্রিজ পার হতে গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আবার ফেরার পথে চার লেনের গাড়ি দুই লেনের ব্রিজে ওঠার কারণেও সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড ঈদ যাত্রায় স্বস্তিদায়ক ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *