নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে স্ত্রী সাকিলা আক্তার শ্যামলি (৩২) হত্যা মামলায় ১৮ দিন পর স্বামী মাসুদ রানা (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সন্ধায় ঢাকার শাহআলী থানা এলাকা থেকে তাকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করলে ওই রাতেই থানাপুলিশ রাণীনগর থানাপুলিশের হাতে তুলে দেয় ।

গ্রেফতার মাসুদ রাণীনগর উপজেলার সিম্বা গ্রামের আফছার আলীর ছেলে । রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল হক বলেন,গত ৩১ জুলাই সন্ধায় স্ত্রী সাকিলা আক্তার শ্যমলিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে রাণীনগর থানায় একটি মামল দায়ের করা হয়।
মামলার পর থেকে স্বামী মাসুদ রানা পলাতক ছিলো। এর মাঝে সাকিলার স্বজনরা ঢাকার শাহআলী থানা এলাকায় গত রোববার সন্ধায় মাসুদকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আটক করে থানা পুলিশে সোর্প করে। খবর পেয়ে রাণীনগর থানাপুলিশ রাতেই শাহআলী থানায় গেলে শাহআলী থানা পুলিশ মাসুদ রানাকে রাণীনগর থানাপুলিশের হাতে তুলে দেয়।

উল্লেখ্য, রাণীনগর উপজেলার সিম্বা গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মাসুদ রানা একই উপজেলার বেলবাড়ি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাকিলা আক্তার শ্যামলী কে বিয়ে করে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে প্রায় দুই মাস আগে প্রতিবেশি জনৈক তিন সন্তানের জননীর সাথে পরকিয়া সম্পর্কের সুত্র ধরে স্ত্রীর অজান্তে দ্বিতীয় বিয়ে করে মাসুদ রানা। বিয়ের পর থেকে প্রথম স্ত্রীর প্রতি শুরু করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
এনিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সমাধানের লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও সুষ্ঠু কোন সমাধান হয়নি। একপর্যায়ে গত ৩১ জুলাই সন্ধার আগে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে স্ত্রী শ্যামলীকে পিটিয়ে হত্যার পর মাসুদ রানা নিজেই শ্বশুর বাড়িতে খবর দেয় যে তাদের মেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ্য! তাড়াতারি আমার বাড়িতে আসেন হাসপাতালে নিতে হবে’। শ্বশুর বাড়ির লোকজন দ্রুত সেখানে পৌছা মাত্রই
তড়িঘরি করে মাসুদ রানা একটি ভ্যান ভাড়া করে শ্যামলিকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়ার নাম করে কৌশলে পালিয়ে যায়। এঘটনায় শ্যামলীর বাবা আব্দুস ছাত্তার বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।#