হিলি প্রতিনিধিঃ-
হিলিতে লাগামহীন ভাবে বাড়তে শুরু করেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত
পেয়াঁজের দাম। প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
দাম বাড়ার কারন হিসেবে ভারতের বন্যা ও পরিবহন ধর্মঘাটের অযুহাত
ব্যবসায়ীদের। এদিকে দফায় দফায় দাম বাড়ায় পেয়াঁজ কিনতে এসে
বিপাকে পড়েছেন পাইকাররা। এ দিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছে
আমদানি কম হওয়ায় বন্দরের পাইকার ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই
পেয়াজের দাম দ্বিগুন বৃদ্ধি করা হয়েছে।

দেশের চাহিদার বেশিরভাগ পেয়াঁজ ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে দ্বিতীয়
বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আর এই পেয়াঁজ আমদানির ফলে বন্দরে এলাকাতে গড়ে উঠেছে পেয়াঁজের আড়ৎ,যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেয়াঁজ কিনতে আসে পাইকারেরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে জমে উঠে
আমদানিকৃত পেয়াঁজ বেচা-কেনা। বন্দরের আড়ৎ গুলোতে লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেয়াঁজের দাম। দুই দফায় পেয়াঁজের বেড়ে প্রকারভেদে বন্দরের আড়ৎ গুলোতে পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

যা ঈদের আগে আড়ৎ গুলোতে বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়। আর হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় পেয়াঁজ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন পাইকাররা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা ও সেদেশের ট্রাক-লরি ধর্মঘাটের কারনে
সেখানে পেয়াঁজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আর যে কারনে বেশি দামে পেয়াঁজ
আমদানি করে বন্দরে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে ভারতে অভ্যান্তরে যেসব পেয়াঁজ পাইপলাইনে রয়েছে সেগুলো বন্দরের
প্রবেশ করলে সামনে সপ্তাহে দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
হিলি কাষ্টমস তথ্যমতে, চলতি ২ কর্ম দিবসে ভারতীয় ৫১ ট্রাক পেয়াঁজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।

স্বাভাবিক হবে।স্বাভাবিক হবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি কারক গ্রম্নপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান
হারুনুর রশিদ জানান,বন্দর দিয়ে কমআমদানি হওয়ায় হঠাত করে পেয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ওপার থেকে পেয়াজ আমদানি করার জন্য অনেক এসসি দেওয়া হয়েছে দু এক দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত পেয়াজ আমদানি হলেই বাজার আবার স্বাভাবিক হবে।স্বাভাবিক হবে।