হেলাল শেখঃ বিশেষ প্রতিনিধি- মানুষের সহজ সরল একটি বাক্যও বদলে দিতে পারে আপনার জীবনকে। আপনার প্রতি যার টান নাই, মায়া নাই, তাকে যতই ভালোবাসা দেখান সে কিন্তু তার নিজের মতোই অবহেলা করে যাবে আপনাকে, আর দুনিয়াতে বা এ পাড় ওপাড়ে এক আল্লাহ তাঁর সর্বসেরা জীব (মানুষ) বান্দার ভালো চায়। শেষ নবী হজরত মোহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর উম্মতের জন্য কেঁদেছেন আর সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।
তোমার মৃত্যু হবে জেনেও তুমি কেন এতো অহংকার করো? হে মানুষ তুমি ভালো কিছু করে দেখাও এতে তোমার সৃষ্টিকর্তা যিনি আল্লাহ, তিনি তোমার প্রতি খুশি হবেন। মানুষ শুধু অন্যের জন্য কাজ করেন কিন্তু নিজের জন্য কিছু করছেন কি? আমরা বলে থাকি এটা আমার, ওইটা আমার, আসলে আমার বলতে কি কোনকিছু ছিলো, না আছে, না থাকবে? আমাদের সবারই মৃত্যু অতি নিকটে, যেকোনো সময় আমাদের মৃত্যু হতে পারে। মানুষ বাঁচার জন্য খাবার খায়, আবার খাবার খেয়েই মৃত্যু হয়। বিশেষ করে মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা বেড় হয়েই তার খাবার নিজেই খায়, কিন্তু মানুষ তার মায়ের পেটের ভেতর থেকে দুনিয়াতে আসার পরই কান্না করে খাবার খাওয়ার জন্য, খাবার না পেলে কান্না থামেনা। আমরা মানুষগুলো অন্যের জন্য জীবন যুদ্ধো করি। শিশু থেকে একটু একটু করে বড় হতে থাকি আর সৃষ্টিকর্তা ও নিজের মা বাবাকে ভুলে যেতে পরিবর্তন হই, মিথ্যাচার করতে করতে মানুষ পাল্টে যায়। ৫-৭ বছরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস ফাঁকি দেয়া শিশু, মায়ের আঁচল ও বাবার পকেটের টাকা নিয়ে তা অস্বীকার করা, শিক্ষক ও মা বাবার কাছে মিথ্যা বলা থেকে শুরু করে সবখানে বেশিরভাগ মানুষ মিথ্যাচার করে। বড়দের সম্মান না করে তাদেরকে অপমান করা হয়।
পশু পাখির চামড়া দেখে চেনা গেলেও মানুষকে দেখে চেনার উপায় নেই যে সে মানুষ কেমন। আসলে কি, মানুষ অন্যের জন্য সবই করে, যেমনঃ অনিয়ম, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড করে মানুষ অন্যের চাহিদা মিটায়, আর মাদক ও জুয়ার টাকা জোগাড় করতে কিছু লোক অপরাধমুলক কাজ করে। আজ যদি মৃত্যু হয় আগামীকাল কি হিসাব দিবে আল্লাহর কাছে, এটা নিয়ে কেউ চিন্তা করেন না। যাদের জন্য টাকা পয়সা সম্পদ করেছেন, তারা কি আপনার আমার অপরাধ বা গুনাহ এর ভাগ নিবেন? অবশ্যই না। তাহলে কেন আমরা অন্যের জন্য এতকিছু করছি। এখনো সময় আছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে আসেন ভালো কিছু করি, খারাপ কাজ করা সহজ কিন্তু ভালো কিছু করে দেখাও যে আমি একজন ভালো মানুষ। জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক হয়ে বাঁচার চেয়ে সিংহের মতো মরণও ভালো, তবে তা ভালো কাজের জন্য। জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে যারা কাজ করেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন হলো সাংবাদিকতা, এরপর পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি এবং আইনজীবি। বেতন ভাতা ও সম্মানি পাচ্ছেন, সরকারী সকল সুবিধা ভোগ করছেন যারা, তাদের মধ্যে অনেকেই অনিয়ম দুর্নীতি করছেন, কিন্তু তাদের জন্য সরকার নতুন কোনো আইন পাস করছে না।
সাংবাদিকদের সরকার বেতন ভাতা দেয় না, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান উল্টা আরও প্রতিনিধির কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিয়ে থাকেন কৌশলে, কিন্তু সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৩২ ধারাসহ বিভিন্ন আইন পাস করছে সরকার। সাংবাদিকতা করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে, সাংবাদিক হয়ে কেউ জন্মায় না তবে অনেক কষ্টের বিনিময়ে সাংবাদিক হতে হয়, ছোট একটি ভুল করলেই সাংবাদিকের উপর হামলা, মামলা করা হয়। যেমনঃ সাংবাদিকতা সম্মানজনক, তেমনি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি এই পেশায়। সাংবাদিকরা সবার সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন, সাংবাদিকরা সত্যিকারের কলম সৈনিক, তারা মানবতার কল্যাণে কাজ করছেন। সাংবাদিকরা যদি সঠিকভাবে সংবাদ সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করেন অপরাধীরা সুইজ এর মতো সুজা হয়ে যাবে। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করেছেন সরকার, তবুও তারা অনিয়ম দুর্নীতি করে অবৈধভাবে লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন, এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন কোনো আইন তৈরি করা হচ্ছে না, আর সাংবাদিকদের বেলায় যতো আইন, নিয়ম নীতিকথা দেখা যায়। অনেক সাংবাদিক নেতা বলেন, সাংবাদিকরা সঠিক সংবাদ প্রকাশ করলে দুর্নীতিবাজদের সমস্যা হবেইতো, সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির জন্য যতটুকুও সেবামুলক কাজ করেন এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করেন তা অন্যরা করলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারতো। তোমরা যে যাই বলো, আর যা কিছু করো না কেন, সবই মিথ্যা, মৃত্যুই সত্য। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হুকুম মানতে হবে, মানুষকে ভালোবাসলে আল্লাহ রাজিখুশি হবেন এবং এর ফল ভালো হবে মানুষের জন্য, পরিণতি কার কি হবে তা নিজেই বুঝবেন একসময়। ভুল হলে ক্ষমা করবেন, প্রিয় পাঠকগণ জীবন মানেই যুদ্ধ, সবারই মৃত্যু হবে, দেহ, মন দুটি আলাদা, তবে মানুষিক আত্মা সৃষ্টি করে নিতে হয়। যৌবন মানব জীবনের শ্রেষ্ট সম্পদ,তা অস্বীকার করা যায় না, তবে দেহগত যৌবন আর মানুষিক যৌবন একরকম নয়। আমরা মানবতার কল্যাণে কাজ করতে সকলের সহযোগিতা চাই, ভালো কোনো কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে, আসেন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ভালো কাজ করি এটাই আমার প্রত্যাশা। ### মোঃ সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ, ৩১-০৮-২০১৯ইং।