অাল ইমরান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ ২টি মৌটুসি পাখির জীবনের গল্প নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র বানিয়ে ময়মনসিংহে সিনেমা বাংলাদেশ আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভালে তারেক মাসুদ সেরা বাংলাদেশী পরিচালক হিসেবে
পুরষ্কার জিতলেন বিজয় মাহমুদ। তার এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ওয়াইল্ড লাইফ ডকুমেন্টারির নাম- প্রজন্মঃ দ্য বার্থ অফ এ লাইফ। এটি চিত্রনাট্য করেছেন লেখক ও নির্মাতা বুলবুল মাসউদ, ইসমাইল হোসেন এবং নির্মাতা নিজেই। সম্পাদনা করেছেন অনূপ মন্ডল।

এই প্রতিবেদকের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে বিজয় মাহমুদ জানান- আসলেই এটি আমার জন্য একটি অন্যরকম অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কোন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েই সেরা চলচ্চিত্রের পুরষ্কার পেয়ে যাওয়াটা সত্যিই ভাগ্যের বিষয়।
তিনি আরো বলেন, তার ৮ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিটি নির্মানে সময় লেগেছে ১ বছরেরও বেশি। যেহেতু বাংলাদেশে ওয়াইল্ডলাইফ ডকুমেন্টারির কাজ একেবারেই হয় না তাই কাজটি করতে গিয়ে নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছে তাকে কিন্তু তবুও দমে জাননি তিনি। কারণ তার টিমের ভূমিকা অনেক।
তিনি আরো জানান তার এই প্রামান্যচিত্রটি এর আগে ভারতের বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে যার মধ্যে কলকাতায় আয়োজিত ২য় আন্তর্জাতিক দক্ষিণ এশিয় চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৯ ও মুম্বাইতে আয়োজিত ৭ম দাদাসাহেব ফালকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব অন্যতম।
এছাড়া আগামী মাসে ভারতের শিমলায় অনুষ্ঠিতব্য ৫ম শিমলা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ছবি হিসেবে প্রতিযোগীতা বিভাগে লড়ছে প্রজন্ম।
বিজয় এর আগে ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট ইন্ডিয়ার ক্যামেরাম্যান হিসেবে পূনায় কাজ করেছেন। তার ইচ্ছা ভবিষ্যতে একজন ওয়াইল্ডলাইফ ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করা। বাংলাদেশে কাজের ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে বিজয় বলেন- অবশ্যই কেনো নয়? সুন্দরবনে কাজের ইচ্ছা আমার অনেক দিনের তবে এমন কাজ অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও ব্যায়বহুল বিষয়। কেউ যদি আমাকে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সাহায্য করেণ প্রয়োজনে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতেও আমি রাজী আছি।