দেশে বাড়ছে কিশোর গ্যাং কর্তৃক অপরাধমূলক কর্মকান্ড ক্রাইম!

ক্রাইম রিপোর্ট

ক্রাইম রিপোর্টঃ
রাজধানী ও ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরের দীঘিরপাড়, টঙ্গী, উত্তরা, মিরপুরসহ
প্রায় সারা দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে
মিলিত কিশোর গ্যাং মাদকের নেশা করায় নষ্ট হচ্ছে তাদের জীবন। মাদকের টাকা জোগার
করতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের
সাথে জড়িয়ে পড়ছেন কিশোর কিশোরীরা।
র‌্যাব-১ এর বিশেষ অভিযানে এরই মধ্যে ভাই-ব্রাদার্স গ্রæপের ৬ সদস্য, ছিনতাইকারী,
ডাকাত ও হত্যা মামলার আসামীদেরকে আটক করেছেন। বর্তমানে যারা বেশি (ক্রাইম)
অপরাধমূল কর্মকান্ড করছে তারা বেশিরভাগই কিশোর গ্যাং গ্রæপের সদস্য বলে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান। এর সাথে যোগ হয়েছে প্রেমঘটিত
বিষয়ঃ ১২ থেকে ১৮ বছরের ছেলে মেয়ে, ছাত্র ও ছাত্রীর হাতে মোবাইল থাকায় যোগাযোগ
ব্যবস্থা সহজ হয়েছে, তারা খুব সহজেই অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করতে পারছে।
গত ২৮ আগস্ট ২০১৯ইং কিশোর গ্যাং কর্তৃক আশুলিয়ার জামগড়া উত্তর পাড়া থেকে
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে এ
ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় মামলা করার জন্য ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে অভিযোগ করেন, থানা
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আসামী পক্ষ ও বাদী পক্ষকে থানায় হাজির হতে বলেন,
বিষয়টি রহস্যজনক। এর পরে র‌্যাব-১ এর একটি বিশেষ টিম ডিজিটাল প্রযুক্তি মোবাইল
ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে মোঃ আরমান হোসেন (২০) কে আটক করেন এবং ভিকটিমকে উদ্ধার
করা হয়। আটককৃত আরমান হোসেন, জামগড়ার আমিনুর ও আকলিমা বেগমের ছেলে বলে
র‌্যাব জানায়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং আশুলিয়ার জামগড়ার বটতলা পিয়ারা বাগান এলাকা থেকে ৪র্থ
শ্রেণীর ১১ বছরের এক ছাত্রীকে অপহরণ করে রাজবাড়ি এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে, এরপর
আশুলিয়ার শাহজাহান মার্কেট এলাকায় অবস্থান করলে ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার
দিকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ ওই অপহরণকারীকে আটক করেন এবং
ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। ১১ সেপ্টেম্বর মেয়েটির স্বাস্থ্য পরিক্ষা করানো হলে, ধর্ষণের
প্রমান পাওয়া গেছে বলে তার মা জানান। উক্ত আটককৃত আসামী হলো, কুষ্টিয়া জেলার
কমলাপুর এলাকার মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিবের ছেলে মোঃ হৃদয় হোসেন (১৯), হৃদয়
শাহজাহান মার্কেট এলাকার স্থানীয় মামুনের সালক, অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত হৃদয়
কিশোর গ্যাং এর সদস্য, এর আগেও একাধিক মেয়ের সর্বনাশ করেছে এবং একটি মেয়েকে
ধর্ষণ করার পর বিয়ে করে ৩মাস রেখে তাকে তালাক দেয় বলে স্থানীয়রা জানান। হৃদয় বিভিন্ন
অপরাধের সাথে জড়িত আছে বলে শাহজাহান মার্কেট এলাকার লোকজন জানায়। গত এক
মাসে এরকম অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। পত্রিকার পাতায় প্রায়ই
দেখা যায় যে, দেশের কোনো না কোনো এলাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার
হয়েছেন। সেই সাথে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন

অপরাধ করছে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। মাদক, জুয়া ও দৈহিক চাহিদার টাকা জোগাড়
করতেই কম বয়সের ছেলে মেয়েরা (ক্রাইম) অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে বলে অভিমত অনেকেরই।
উক্ত ব্যাপারে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একাধিক কর্মকর্তা ও র‌্যাবের কর্মকর্তাসহ উপর
মহলের প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে, এ বিষেয়ে তারা বলেন, এরই মধ্যে বেশকিছু
অপরাধী ও কিশোর গ্যাং এর সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে
সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন, তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন, অপরাধী সে যেই হোক
না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। কিশোর গ্যাং প্রতিবেদন এর পর্ব ১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *