বাঘায় পশুর বর্জ্যে দূষিত বাজার।

সারাদেশ

এম ইসলাম দিলদার বাঘা,রাজশাহী।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার  বাঘা বাজারের জবাইকৃত পশুর বর্জ্যে নিয়মিত পরিস্কার না করায় প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। দীর্ঘদিন থেকে হাটের কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে এ নোংরা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাঘার হাটের একাধিক ব্যবসায়ী।
সরজমিনে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সপ্তাহে দুদিন রবি ও বৃহস্পতিবার  হাট বসে।বাঘা উপজেলার এই হাটটিতে নানান পণ্য বেচাবিক্রির হয়। দূর-দূরান্ত থেকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আসেন এখানে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে। এদিকে হাটের দুইদিন প্রায় অর্ধশত গরু, মহিষ, ছাগল জবাই করা হয়। এই সকল জবাইকৃত পশুর বর্জ্য ফেলে রাখা হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। দীর্ঘ কয়েক মাস পরিস্কার না করায় দূষিত দুগন্ধে আশেপাশে মানুষসহ বাজার /হাট কর্তে আসা মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
মাংস হাটের একাধক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, হাটের দিন ছাড়াও অন্য দিনে প্রতিনিয়ত আমাদের দুর্গন্ধে থাকতে হয়। বাঘায় মাংসের চাহিদা থাকায় প্রতিদিন  ৪-৬টি গরু,২-৩ টি ছাগল জবাই করা হয়।তাই পশুর বর্জ্য জমা হচ্ছে প্রতিদিন শতশত কেজি।অনেক সময় দুর্গন্ধের কারণে ব্যবসায়ীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এর ফলে দিনদিন বেচাকেনা কমে যাচ্ছে ও অতিরিক্ত দূর্গন্দের জন্য।বাঘা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মোঃশিরল,রতন,কাজল,নাসির,সাজেদুলসহ আরও অনেক অভিযোগ করে বলেন,আমরা প্রতিদিন ৪-৫ টিগরু ও ২-৩ টি ছাগল জবাইকরি এলাকার মাংসের চাহিদা মেটায় বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে।বাজারে কোন কশাইখানা নেই,অপরিস্কার নরদমার বিভিন্ন জীবানুর মধ্যেই বাধ্য হয়ে পশু জবাই করে আসছি। আমরা আরও কশাই মিলে  হাট কমিটিকে একাধিকবার অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার মিলছে না বলেও জানান দৈনিক সকালের সময় প্রতিবেদক কে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা পৌরসভার মেয়র মোঃআব্দুর রাজ্জাক জনান, মাংসহাটার পাশে নতুন কশাইখানা,দুইটি ডাস্টবিন তৈরি করে দেয়া হবে, যাতে করে সেখানে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য ফেলা হয় এবং মাংস বিক্রয় স্থানও নতুন করবো। এবারই ট্রেন্ডার দেওয়া হবে।বাজারের সকল ধরনের বর্জ্য হাট শেষে তা অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে। এছাড়াও আগামী মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পৌরসভার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা, পশু জবাইয়ের স্থানে, হাটের পশ্চিমে  টিনের শেড ও বড় গর্ত করে দিবে, যেন বর্জ্য সেখানে ফেলা হয়। আর বর্জ্য হাটের পরের দিন পরিস্কার কর্মীরাই পৌরর গাড়ীতে করে অন্যত্র সরিয়ে নিবে। এতে হাটের পরিবেশ দুষণ মুক্ত হবে বলে জানান তিনি।বাঘা হাট ইজারাদার ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন হোসেন জানান,কয়েকদিন টানা বৃস্টির ফলে ময়লা পরিস্কার করতে পারেনি দায়িত্বে থাকা লোকজন।বাঘা পৌরসভার দায়িত্বে ময়লা পরিস্কার করা হয়না নিয়মিত আর কশাইখানার জন্য আমি বলেছি অনেক বার।বাঘা হাট/বাজার এলাকা ছাড়াও নতুন বাস্ট্যান্ড হতে শুরু করে বাঘা বাজার পূর্ব পর্যন্ত  মনে হয় রাস্তার দুইপার্শেই ময়লা আবর্জনা স্তুপ। যানবাহন চলাচলের সময় প্রচন্ড ধুলাবালিতে চোখ খোলা রাখাই   বিপদজনক।রাস্তার সাথে থাকা দোকান ও ব্যবসা প্রতিস্ঠানগুলোতে ধুলোবালিতে পরিপুর্ণ হয়ে আছে। পৌর কর্তিক কশাইখানা ও বর্জ্য পরিস্কারের দাবী জানিয়ে আসছি আমরা হাট বাজার ইজারাদারা।এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃশাহিন রেজা বলেন,বাঘা বাজারের কশাইখানা বিষয়ে পৌরসভা ও বাজার কমিটি দেখবেন।তবে আমি মেয়র ও বাজার কমিটিকে জানাব দ্রুত  কশাইখানা তৈরীর জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *