আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সহযোগিতায় অবশেষে বাড়িটি বুঝে পেলেন ভুক্তভোগী শহিদুল

ক্রাইম রিপোর্ট

খুলনা অফিস; দীর্ঘ ৪ বছর পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা খুলনা বিভাগের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় অবশেষে রূপসা থানাধীন শামন্তসানা গ্রামের অসহায় শহিদুল সরদার তার বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটি দখলদার ও ভূমিদস্যু খ্যাত আলমগীর সরদারের কবল থেকে ফিরে পেলেন। রুপসা থানা ওসি জাকির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান এবং দখলদার আলমগীরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে প্রকৃত বাড়ি মালিক শহিদুল সরদারের নিকট চাবি হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শহিদুল সরদার দীর্ঘ চার বছর স্থানীয় প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর কাছে প্রতিকার চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা খুলনা বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের নিকট লিখিত আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিকবার তদন্ত করেন। এবং ভুক্তভোগী শহিদুলের অভিযোগের সত্যতা পান। পরে সংস্থার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ সাহেবের সাথে দেখা করেন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার পক্ষে বাদী হয়ে তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
পুলিশ সুপার বিষয়টি আমলে নেন এবং যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রূপসা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা তালবাহানা চললেও অবশেষে এসপির নির্দেশে রূপসা থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহযোগিতায় আজ বৃহস্পতিবার দখলদারকে উচ্ছেদ করে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করলেন।
উল্লেখ্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রূপসা থানায় উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সেখানে
দখলদার আলমগীর সরদার তার সপক্ষে কোনো কাগজপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হয় এবং সালিশে প্রমাণিত হয় আলমগীর সরদার অবৈধভাবে শহিদুল সরদারের বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটি জবর দখল করে রেখেছে। এমনকি শহিদুলের এক শতক জমি জবরদখল করে নিয়ে বাড়ির সিডি ঘর নির্মাণ সহ ৩৩ মাস যাবৎ বাড়ি ভাড়া দেয়নি। দখলবাজ আলমগীর সকলের সামনে তার দায় স্বীকার করেন। এবং ওয়াদা করেন, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল দশটার মধ্যে বাড়ি খালি করে দেবেন। আজ বাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হন ভূমিদস্যু আলমগীর।
এদিকে অসহায় এর পক্ষে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহর অগ্রণী ভূমিকা, মানবতার সর্বোপরি পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে তার সার্বিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার খুলনা বিভাগীয় প্রেসিডেন্ট শেখ মোসলেহ উদ্দিন বাদশা, কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও বিভাগীয় জেনারেল সেক্রেটারি দেওয়ান ওমর ফারুক, খুলনা মহানগর সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ পিকু প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *