উজ্জ্বল রায় নিজস্ব প্রতিবেদক : (২১,সেপ্টেম্বর) নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নড়াগাতী থানার খাসিয়াল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো.
ইলিয়াস ৬ জনের বিরুদ্ধে এ ছিনতাইয়ের মামলা করেন। প্রায় পনের লাখ টাকা ছিনতাইয়ে একটি মামলায় পুলিশের এক সহকারী উপ-
পরিদর্শকসহ (এএসআই) দুইজনের দুই বছর করে জেল দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। এছাড়া তাদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদÐেরও আদেশ
দেওয়া হয়। ঢাকার ২ নম্বর দ্রæত বিচার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই আদেশ দেন। দÐিত আসামিরা হলেন-উত্তরা
প‚র্ব থানা পুলিশের এএসআই আলমগীর হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) এবং মাছুম বিলাহ। আলমগীর যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন
কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর মাসুম বিলাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমংলিয়া গ্রামে। রায় ও
দÐের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিজ্ঞ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান। তিনি বলেন, রায়ে আসামিদের
কারাদÐের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদÐ, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদÐ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময়
আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৩ জুলাই ও ১৯ আগস্ট মামলাটির রায়
ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ওই দুই তারিখ রায় পেছানো হয়। নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়াল
মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস গত ৫ এপ্রিল ৬ জনের বিরুদ্ধে এ ছিনতাইয়ের মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, বাদী লতিফ ইম্পেরিয়াল
মার্কেটস্থ এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল বেলা তিনটার দিকে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন
রাজল²ী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেটকার তার
সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এক পর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে
তার চোখ বাঁধে। এরপর তারা তার কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮শ ইউএস ডলার যার বর্তমান বাংলাদেশের বাজার ম‚ল্য ১৫ লাখ
চার হাজার টাকা তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নড়াগাতী থানার খাসিয়াল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা
ইলিয়াসের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে
মাসুম বিলাহকে আটক করে এবং অপর চারজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাসুম বিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, পালিয়ে
যাওয়া আসামি এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমন বলে জানায়। পুলিশ মাসুম বিলাহকে
জিজ্ঞাসাবাদের স‚ত্র ধরে এএসআই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেন। মামলায় মাসুম বিলাহ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
মামলাটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. ন‚রে আলম সিদ্দিক আনোয়ার হোসেন এবং মাসুম বিলাহর বিরুদ্ধে
চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ১৯ জুন ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। মামলাটির বিচারকাজ
চলাকালে বিজ্ঞ আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।