মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও ডিবি অফিস গুলোতেগোয়েন্দা নজরদারী দরকার

ক্রাইম রিপোর্ট

উজ্জ্বল রায় নিজস্ব প্রতিবেদক : (২১,সেপ্টেম্বর) মাদক ব্যবসা থেকে বাঁচাতে আপন ভাইকে অস্বীকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
অধিদফতরের ইন্সপেক্টর হেলালউদ্দিন ভ‚ঁইয়ার ও তার স্ত্রী মাহামুদা সিকদার ওরফে মাহামুদা হেলালসহ নিকট আত্মীয়দের বিরুদ্ধে শত কোটি
টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে গত বছর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফত ও ডিবি অফিস গুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন
দেশের ও জেলার গোয়েদা সংস্থা ডিবি পুলিশের এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও সদস্যের গ্রেপ্তার বাণিজ্য, নিরীহদের হয়রানি ঘুষ,
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের এই বিশেষ বাহিনীটি এখন প্রশ্নবিদ্ধ। আইন শৃংখলা রক্ষায় কতটা কাজ করছে
এই ডিবি? দুর্নীতি পরায়ণ ডিবির কর্মকর্তা ও সদস্যদের কারণে বিতর্ক মুক্ত হতে পারছে না সংস্থাটি। প্রশ্ন উঠছে, ঐ সব
পুলিশ কর্মকর্তার গ্রেপ্তার, আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ তদন্ত প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ? ডিবি পুলিশের সংশ্লিষ্টরা
চাইলেই কি তাদের ইচ্ছেমতো ঘুষের বিনিময়ে কাউকে রেহাই দেয়া কিংবা কাউকে ফাঁসিয়ে দেবার সুযোগ আছে? সংবিধান
স্বীকৃত ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন, যা গণতন্ত্রের প‚র্নশর্ত, যার অবস্থান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তা
ধুলিস্যাৎ হবার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে যদি এ ধরণের অভিযোগ উপেক্ষা করা হয়, যদি এ ধরণের অপরাধের প্রতিকার না হয়।শোর জেলা
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মদকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। স¤প্রতি একটি অভিযোগের
ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ডিবির ওসি ও দুই দারোগাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই
অভিযোগের তদন্তে কোন সত্যতা না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার আবারও ওসিকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মারুফ আহম্মদ জানিয়েছেন, মণিরামপুরের রতনদিয়া গ্রামের চিহ্নিত অপরাধী আব্দুল লতিফের একটি মিথ্যা অভিযোগে
উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওসি মারুফ আহম্মদ, এসআই সোলায়মান কবীর এবং এসআই বিপ্লবকে পুলিশ লাইনে
ক্লোজ করা হয়। বিষয়টি যশোরের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আনসার উদ্দিন তদন্ত করে অভিযোগের কোন সত্যতা না
পেয়ে আবারো ওই তিন কর্মকর্তাকে স্বপদে বহাল করার সুপারিশ করেন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার ওসি মারুফ
আহম্মদকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। অন্যদিকে যারা অপরাধের শিকার তাদের নিরাপত্তা বিধানের পরিবর্তে হেফাজতে বিভিন্ন প্রকার
হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনাও কম ঘটছে না। ঐদিনও ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনেক অভিযোগ সত্য নয়, কিন্তু পুলিশের
পেশাগত উৎকর্ষের সুনাম ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সম্প‚র্ণ নিরপেক্ষ, বন্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরশীল হয়েই স্বীয় কাজ করতে হবে বলে মনে করেন
অভিজ্ঞরা। সহযোগী সংবাদমাধ্যম স‚ত্রে জানা গেছে, ভাঙ্ধসঢ়;গুরায় ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ছয় ব্যবসায়ীর কাছ
থেকে চার লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাবনা ডিবি পুলিশের একটি দল উপজেলার চরভাঙ্ধসঢ়;গুড়া
গ্রামের ঘোষপাড়ায় ছয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা
মঙ্গলবার বিকেলে ভাঙ্ধসঢ়;গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ
আশরাফুজ্জামান ভাঙ্ধসঢ়;গুড়া থানার ওসি মাসুদ রানাকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশে দিয়েছেন। জানা যায়, ঘি ব্যবসায়ী পরিতোষ ঘোষ,
বলাই ঘোষ, বিপ্লব ঘোষ, সমর ঘোষ, দেবযানী ঘোষ ও জগদীশ ঘোষ চরভাঙ্ধসঢ়;গুড়া গ্রামের ঘোষপাড়ায় পাশাপাশি বাস করেন। সোমবার
রাতে দুটি মাইক্রোবাসযোগে ২০/২৫ জনের ডিবি পুলিশের একটি দল ঘোষপাড়ায় ঢোকে। এ সময় এই দলের সদস্যরা পাঁচ/ছয় ভাগে
বিভক্ত হয়ে ঘি কেনার কথা বলে ঘরে ঢুকেই তারা প্রত্যেকের হাতে হাতকড়া লাগায়। এ সময় অস্ত্র দেখিয়ে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয়
দেখিয়ে ডিবি পুলিশ প্রত্যেকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে দাবি করে। এতে বাধ্য হয়ে পরিতোষ ঘোষ ৫০ হাজার, বলাই ঘোষ ৬০
হাজার, বিপ্লব ঘোষ ৯০ হাজার, সমর ঘোষ ২ লাখ ১৫ হাজার, দেবযানী ঘোষ ২০ হাজার, জগদীশ ঘোষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পান।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ের মাদক তল­াশীর নামে স্বর্ণালংকার ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের সালুয়া গ্রামে। এলাকাবাসী জানায়, সাদা মাইক্রোতে ৭/৮ জনের অজ্ঞাত ব্যক্তি
ফেনন্সিডিল আছে বলে উপজেলার সালুয়া গ্রামের বিশনার ছেলে মিলন ও ভ‚ষন চন্দ্রের ছেলে উপেনের বাড়িতে তল­াশি চালায়। বাড়িতে
পুরুষ মানুষ না থাকায় মহিলারা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়। এ সময় তল­াশির নামে তারা বাড়ির আসবাবপত্রসহ অন্য জিনিসপত্র তছনছ করে। এতে মহিলারা বাধা দিলে তাদের হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।


মিলনের বাড়িতে থাকা বিবাহিত মেয়ের ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের হার ও নগদ বিশ হাজার টাকা এবং ওপেন এর বাড়ি থেকে নগদ দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে পুরুষ মানুষ বাড়িতে এলে বিষয়টি জানাজানি হলে তারা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করেন। যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মদকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। স¤প্রতি একটি
অভিযোগের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ডিবির ওসি ও দুই দারোগাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছিল। কিন্তু
সেই অভিযোগের তদন্তে কোন সত্যতা না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার আবারও ওসিকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মদ জানিয়েছেন, মণিরামপুরের রতনদিয়া গ্রামের চিহ্নিত অপরাধী আব্দুল লতিফের একটি মিথ্যা
অভিযোগে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওসি মারুফ আহম্মদ, এসআই সোলায়মান কবীর এবং এসআই বিপ্লবকে
পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। বিষয়টি যশোরের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আনসার উদ্দিন তদন্ত করে অভিযোগের
কোন সত্যতা না পেয়ে আবারো ওই তিন কর্মকর্তাকে স্বপদে বহাল করার সুপারিশ করেন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে গত
বৃহস্পতিবার ওসি মারুফ আহম্মদকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। কিন্তু দুই দারোগার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কোন সত্যতা না
পেলেও তাদের এখনো পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রাখা হয়েছে। উলে­খ্য, স¤প্রতি মণিরামপুরের রতনদিয়া গ্রামের আলোচিত সেই আব্দুল
লতিফকে ঝিকরগাছা থেকে ১০২ পিস ইয়াবাসহ আটক করে র‌্যাব। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যা, মানবপাচার, নারী নির্যাতন, মাদক,
চাঁদাবাজিসহ ডজন খানেক মামলা রয়েছে। রাজধানীর কলাবাগানের লেকসার্কাস আবেদ ঢালি রোডের বাসা থেকে ‘ডিবি
পুলিশ’ পরিচয়ে শাহিনুর কাদির সুমন (৩৭) নামে এক ট্রাভেলস ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডিবি
পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম শাখার এসি (সহকারী কমিশনার) রবিউল পরিচয় দিয়ে স¤প্রতি ঢালিবাড়ি নামে ওই আবাসিক ভবনে
কয়েকজন এসে সুমনকে ধরে নিয়ে যায়। তবে সিরিয়াস ক্রাইম শাখায় এ নামে কোনো এসি বা কর্মকর্তা নেই বলে জানিয়েছেন
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। সুমনের বড় ভাই মাহবুবুল কাদির সাগর অভিযোগ করেন, ঘটনার পর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ
ডায়েরি (জিডি) করা হলেও ঘটনার চার দিনেও কোনো হদিস মেলেনি তার ছোট ভাই সুমনের। কলাবাগান থানায় জিডি নম্বর
১৩০৩। এ বিষয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে গেলে সেখানেও তার সন্ধান মেলেনি। ডিবি পুলিশের
দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, সুমন নামে কাউকেই তারা আটক করেননি। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মোটা
অঙ্কের অর্থ আদায়ের পর মামলা ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী।

তিনি অভিযোগ করেন, ডিবি পুলিশ শুধু অর্থ আদায় করেই ক্ষান্ত হয়নি, গভীর রাতে তাকে চোখ বেঁধে বিভিন্ন অন্ধকার এলাকায় নিয়ে
ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়েছে। পরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিচার দাবি
করেন নাসির। বর্তমানে তিনি স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে নাসির
উদ্দিন জানান, ব্যক্তিগত কাজে তিনি ব্যাংকক যান। দেশে ফিরে শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরছিলেন। বিমানবন্দরের
সামনে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে চোখ বাঁধে। তিনি তুলে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মারধর শুরু
করে। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে তার চোখের বাঁধন খুলে দিলে তিনি দেখেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল­া থানায় তাকে আটকে রাখা
হয়েছে। টানা দুই দিন থানায় আটক রাখার পর ৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ৬ কোটি
টাকা চুরির অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠায়। প্রথমে তিন দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক নির্যাতন করে পলিশ।
এভাবে দফায় দফায় মোট ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডের নামে ডিবি অফিসে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। তাকে
নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাজহার তার মোবাইল, চেক বই ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ ২ লাখ ৫০ হাজার
টাকা নেয়। তার ভাগিনা ডিবি কার্যালয়ে খোঁজ নিতে গেলে তাকে আটকে রেখে ৬ লাখ টাকা নেয় মাজহার। নাসিরকে ডিবির
হাজতখানা থেকে বের করে আরও ১০ লাখ টাকা তুলে নেয় মাজহার। এ পর্যন্ত ডিবি কর্মকর্তা মাজহার, মাহবুব ও মফিজ পর্যায়ক্রমে
তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন। নাসির জানান, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে ডিবি পুলিশ তাকে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে।
এমনকি এ ব্যাপারে কোথাও মুখ খুললে পরিণতি আরও খারাপ হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি জড়িত ডিবি
কর্মকর্তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে এবং তাদের কর্মকা- খতিয়ে দেখে শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের কাছে একাদিক অভিযোগ
করেছেন। ইতিপ‚র্বেও বাংলাদেশের সর্বত্র জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশের এক শ্রেণির অফিসার ও সদস্যদের দুর্নীতি
অনিয়ম ও গ্রেফতার বানিজ্যের কারনে বাহিনীটির সুনাম বিনষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ভুক্তভোগীসহ জনসাধারণের
মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে । আস্থা হারিয়ে ফেলছেন তারা। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে মর্মে
সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে বলা হয়, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ,নরসিংদী, ময়মনসিংহ রেঞ্জের জামালপুর,নেত্রকোনা এবং রাজশাহী
এলাকায় ডিবি পুলিশের বেশকিছু উপ পরিদর্শক(এসআই) এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ঘুষ, গ্রেফতার বাণিজ্য, নিরীহদের নামে
মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতার বিনিময়ে মাসোহারা আদায়ের
অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টসে শতাদিক অভিযোগও। পুলিশ প্রধান বরাবরে একাদিক অভিযোগ থাকল্ধসঢ়;ওে
তদন্তের নামে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মাসের পর মাস পরে আছে । তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা র্আও বিভিন্ন
অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে । জেলার পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে তদন্ত দিলেই তারা বানিজ্য হিসাবে অভিযোগগুলো মিথ্যা বলে পুলিশ
হেডকোয়ার্টাসে রিপোর্ট দিচ্ছেন। এসব করে এইসব অফিসাররা এখন বিপুল অংকের টাকা, বিত্ত বৈভব , জমি- জমাসহ বিশাল
সম্পদের মালিক । অন্য জেলার বাসিন্দা হয়েও তারা কমর্রত এলাকায় জমি- জমা কিনে রাতারাতি সেখানে অট্রালিকা বানাচ্ছেন । এসব
কর্মকর্তাদের নামে পুলিশের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ও দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে অসংখ্য অভিযোগ দায়ের করা
আছে । যদিও এইসব অভিযোগ করেও ভুক্তভোগীরা প্রতিকার পাচ্ছেন না। অপরদিকে অভিযোগ পেয়ে কিছু কর্মকর্তা অভিযুক্ত
কর্মকর্তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় । যার প্রেক্ষিতে দুর্নীতিবাজ এসআইগণ যুগ যুগ ধরে একই
জেলায় অর্থাৎ একই কর্মস্থলে থেকে যাচ্ছেন । মাঝে মধ্যে যদিও নামমাত্র কয়েকদিনের জন্য অন্যত্র বদলী হন তারা। ময়মনসিংহের আব্দুল­াহ
নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, ২০১৭ সনে ডিবি পুলিশের দুর্নীতিবাজ কয়েক এস আইয়ের বিরুদ্ধে আইজিপি বরাবর অভিযোগ
করেও প্রতিকার পাইনি। উপরন্তু অভিযোগ করায় এখন বাড়িছাড়া। অভিযোগ রয়েছে, এই এসআইরা কিছু সংখ্যক সদস্যদের (ডিবি
পুলিশ) যোগসাজশে মাদক ব্যবসায়ী, গডফাদারদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে তারপর নিয়মিত মাসোহারা আদায় করেন। এছাড়ও
নিরীহ মানুষদের ধরে এনে পকেটে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকার শর্ত জুড়ে দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে
ছেড়ে দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। অন্যথায় মিথ্য্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয় তাদেরকে । স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে জমি
সংশ্লিষ্ট বিরোধের স‚ত্রধরে নিরীহ লোকজনদেও ডিবি কার্যালয়ে এনে মামলার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন আটক রাখার অভিযোগও রয়েছে
তাদের বিরুদ্ধে । তাদের দাবীকৃত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে মাদকসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাদেরকে ফাঁসানো হয়। রিমান্ডের
নামেও মোটা অংকের টাকা আদায় করে এসব দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর কর্মকর্তা ও সদস্যরা। বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ
আমলে নিয়ে যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের বিভাগীয় শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেই কমে যাবে এইসব দুর্নীতিবাজদের
সংখ্যা। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তারা বলেন, ডিবি অফিস গুলিতে গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন। পুলিশ সুপাররা এবং
ওসিরা টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করায় উৎসাহিত হচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। নির্ভরযোগ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমেই তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আর
এজন্যই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব পালনকারী এ সংস্থাকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচারের আলোকে ঢেলে সাজানো
অপরিহার্য। এ বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি জেলায় আমরা নজর রাখছি,যাহাদের বিরুদ্ধে
অভিযোগ পড়ছে তাদের কে তদন্তপুর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি। এছাড়াও তিনার কর্মস্থল যশোর হলেও মাসের ২৫ দিনই তিনি
রাজধানীতে থাকেন মাদক ব্যবসা থেকে বাঁচাতে আপন ভাইকে অস্বীকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ইন্সপেক্টর হেলালউদ্দিন ভ‚ঁইয়ার
ও তার স্ত্রী মাহামুদা সিকদার ওরফে মাহামুদা হেলালসহ নিকট আত্মীয়দের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে গত
বছর। একই বছরের ২৯ জুলাই দুদকে অভিযোগ জমা পড়ে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে এবার সন্ধান পেলো দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত
শাখা-২। তারা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে হেলাল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভ‚ত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। গত ২৮
আগস্ট দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাদের নোটিশ পাঠিয়েছেন। ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে
বলা হয়েছে। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য বলছে, হেলাল তার স্ত্রী মাহমুদা, বড় ভাই বেলাল হোসেন ভ‚ইয়া, ছোট ভাই আজাদ
হোসেন, ভাগ্নে মো. জায়েদ ও ফুফাত ভাই মুশফিকুর রহমানের নামে সম্পদ গড়েছেন। সন্দেহের জের ধরে হেলালের অর্থের উৎস সন্ধানে
নেমে ব্যাংক এশিয়া, ওয়ান ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকের তিনটি হিসাব গুরুত্ব পাচ্ছে। স্মার্ট অ্যাড-এর নামে ব্যাংক এশিয়ায়,
সৌরভ ক্রাফট লিমিটেড-এর নামে ওয়ান ব্যাংকে এবং জামিল ফ্যাশন-এর নামে এনসিসি ব্যাংকের হিসাবগুলো বিভিন্ন সময়ে খোলা
হয় বলে জানিয়েছে দুদকের ঊর্ধ্বতন স‚ত্র। এসব ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেনের তথ্য আছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
অধিদফতরের পরিদর্শক হেলালউদ্দিন ভ‚ঁইয়া তার ভাইয়ের নামে বার (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ইন্সপেক্টর হেলাল উদ্দিন ভ‚ঁইয়ার মদের
দোকান), চালান, এই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নিজেকে বাঁচাতে সেই ভাইকেও অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনার কর্মস্থল
যশোর হলেও মাসের ২৫ দিনই তিনি রাজধানীতে থাকেন। মোহাম্মদপুরে নবোদয় হাউজিংয়ে রয়েছে তার নিজস্ব বাড়ী। দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক) স¤প্রতি হেলাল ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিকদারের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ‘ধনকুবের’
হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এই দম্পতিকে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকলেও নেপথ্যে থেকে ‘লেক
ভিউ রিক্রিয়েশন ক্লাব লিমিটেড’ পরিচালনায় আরও ৫ জনের সঙ্গে যুক্ত আছেন হেলাল। রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের ৩০ নম্বর রোডের
৬০সি নম্বর বাসার ৫তলা ভবনজুড়ে পরিচালিত এই বার ‘টপ রেটেড’ হিসেবে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *