স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলাধীন পাড়া গাঁও গৌরি পুর গ্রামের পিতা মৃত আঃরহমানের পুত্র মোঃ আছর শিকদার(৪২) এর স্ত্রী আছমা কে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে।আছমা কে জিজ্ঞেস করিলে তিনি বলেন শরিয়ত মোতাবেক প্রায় বিশ বছর পূর্বে আমার সাথে তার বিবাহ হয়।বিবাহ দাম্পত্ত জীবনে আমার এক মেয়ে ও দুই ছেলে জন্ম গ্রহন করে। মেয়ের নাম মোছাঃ আখি আক্তার(১৮)ছেলে অনিক (৯),আব্দুল্লাহ্(৪)বছর পূর্নহওয়ার পরে থেকেই আমার স্বামী মোঃ আছর সিকদার গত ২/৩ বছব যাবৎ আমার উপর অত্যাচার, নির্যাতন করে আসছে।আমি আমার স্বামীকে প্রতিবাদ করিলে আমার স্বামী আছর সিকদার আমাকে বলেন, তোর বাবার বাড়ি থেকে আমার জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে আয় । যদি তুই টাকা নিয়ে আছিস তাহলে আমার সাথে সংসার করিতে পারিবে। অন্যথায় টাকা পয়সা না আনিলে তোর সাথে আমি সংসার করিবনা। আমার স্বামী এই কথা বলার পর আমার এক মেয়ে দুই ছেলের দিকে তাকিয়ে আমি একটি চাকরি নেই স্কয়ার মাষ্টার বাড়িতে আরিফ ফেক্টরীতে।তার পর থেকে জীবন জীবিকার জন্য আরিফ ফক্টরিতে দীর্ঘ দেড় বছর যাবত চাকরি করে আসতেছি। কিন্তু ১৯/০৮/১৯ইং তারিখে আমি আরিফ ফেক্টরিতে ডিউটি শেষ করে রাত আনুমানিক ১১টা৩০ মিনিটের সময় বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফেক্টরী হইতে বাহির হইয়া উক্ত তারিখ রাত অনুমান ১১টা৪০মিনিটের সময় ভালুকা থানাধীন গৌরি পুর পাড়া গাঁও জনৈক করিম সিকদার এর বাড়ির নিকটে পৌছা মাত্র পূর্ব হইতে উৎ পেতে থাকে।আমার স্বামী আছর সিকদার সহ আরো তিনজন আমার বাসুরকে সাথে নিয়ে রাস্তার পাশে দাড়ায়। যখনই তাদের কাছাকাছি চলে আসি আমাকে লক্ষ্য করে আমার তিন বাসুর আমাকে ধরে ফেলে। পরে আমার স্বামীর উপস্থিতে প্রথমে কিল ঘুশি মেরে আমাকে মাটিতে ফলে দেয় । তার পরে আমার স্বামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমাকে মাথায় ও হাতে আঘাত করে। তখন আমি ঞ্জান হারিয়ে ফেলি। আমার স্বামী ও বাসুররা যখনই বুঝতে পারে আমি মারা গেছি, তখনই তারা আমাকে সেঅবস্থায় রেখে চলে যায় । তার কিছুক্ষন পর আমার ঞ্জান ফিরলে আমি আমার মেয়ে আখি আক্তারকে ফোন করে জানালে আমার মেয়ে ও এলাকার কিছু লোকের সহযোগিতায় আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে এবং আমার প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরনে পরে গুরুতর অবস্থায় আমাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় । আমি দুই সপ্তাহ চিকিৎসা করে আমার বাবার বাড়ি অবস্থান করছি। এখন অসুস্থ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি আমার স্বামী ও সহযোগীদের বিচার চাই। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে আছমা ও তার পরিবারের সদস্য। ভালুকা মডেল থানায় আছমা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ।
