কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের
কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ও পৌরসভারবাজার পাড়া মহল্লায় ছোট
বড় দোকান থেকে শুরু করে ফাষ্টফোডেরদোকান ও নামিদামি বেকারী গুলোতে বিক্রী
হচ্ছে কেক,হরেক
রকমেরবিস্কুট,চানাচুর,পাউরুটি,বাটারবন,মিষ্টি,সন্দেশ,ক্রিমরুল,পেট্রিস,ড্যানিস,টোষ্ট
বিস্কুটসহ নানা প্রকার বাচ্চাদের লোভনীয় ওমুখরোচক সব খাবার। কালিয়াকৈর
উপজেলার শতভাগ কারখানা গুলোতে এসব খাবার তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা
পরিবেশে। সরেজমিনে গিয়েএ সব বেকারি কারখানা গুলো ঘুরে দেখা গেছে এমন
অস্বাস্থ্যকরপরিবেশ। প্রতিটি কারখানার ভিতরে স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর
নোংরাপরিবেশে ভেজালসহ নিন্মমানের সব উপকরন দিয়ে অবাধে তৈরি করা
হচ্ছেবেকারীর সকল প্রকার সামগ্রী। কারখানার অভ্যন্তরে যেখানে তৈরি করাখাবার
রাখা আছে সেখানেই ময়দা, আটার গোডাউন পাশে রাখা আছেজ¦ালানি কাঠও। সাথে
রয়েছে মানব দেহের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এবংএকাধিক পামওয়েলের ড্ধসঢ়;্রাম।
এর পাশেই ছড়ানো ছিটানো আছেনানা প্রকার তৈরি সব খাদ্যপন্য। এ সব খাদ্যপন্য
তৈরির জন্য আটা ময়দাপ্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিস্কার ও
নোংরা। যে সবকর্মচারীরা এসব পন্য তৈরি করছেন তাদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম।
ওইঅবস্থায় কর্মচারীরা খাদ্য তৈরির উপকরন নাড়াচারা করছেন আর শরীরের
ঘামবেয়ে পড়ছে খাদ্য তৈরির উপকরনের মধ্যে। ডিমের খাঁিচগুলোতে দেখাগেছে
ভাংগা পচা ডিম যা অনেক কম দামে কেনা হয় বাজার থেকে।নিন্মমানের ডালডা দিয়ে
তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে হাজার হাজারমাছি বসে ভন ভন করছে।
প্রত্যেকটি কারখানায় উৎপাদন ওমেয়াদোত্তীর্ন তারিখ ছাড়াই নানা প্রকার
অভিযাত ব্রান্ডের আদলে কড়াএসব বাহারি মোড়কে কেক,হরেক রকমের বিস্কুট,
চানাচুর, পাউরুটি,বাটারবন, মিষ্ট, সন্দেশ, ক্রিমরুল, পেট্রিস,ড্যানিসসহ
বিভিন্নপ্রকার বেকারী সামগ্রী বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই উপাদন ও
বাজারজাত
করা হচ্ছে। উপজেলার চন্দ্রা ত্রি-মোড়ের ডাইনকিনি রোডেতিতাস বেকারী এন্ড
ফাষ্টফোড,ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের বাউন্ডারিওয়াল ঘেসে শহিদুল ইসলামের
মা মদিনা বেকারী, বাজারের কাঠপট্রিএলাকায় মায়ের দোয়া বেকারী এন্ড
বিস্কুট ফ্যাক্টরী, বিসমিল্লাহবেকারীসহ পাশাপাশি তিনটি বেকারী রয়েছে
ফুলবাড়ীয়া বাজারে।ফুলবাড়িয়া বাজারের তিনটি বেকারীতে অত্যান্ত নোংরা ও
অস্বাস্থ্যকরপরিবেশে কয়েকদিনের পুরোনো বিষাক্ত তৈল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে
সকলপ্রকার বেকারী পন্য। এ ছাড়াও সফিপুর বাজার, আন্দার মানিক, হরিনহাটি,
চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ, দাড়িয়াপুর, মৌচাক, রাখালিয়া চালা,কালিয়াকৈর
বাজার, বাড়ই পাড়া হ্যাসং বিডি গেট এলাকায় ইমরানবেকারী এন্ড ফাস্টফুড,
বলিয়াদি বাজারসহ ছোট বড় প্রায় ১৫/২০টিবেকারী নানা প্রকার বাচ্চাদের
লোভনীয় ও মুখরোচক সব খাবারসামগ্রী তৈরির কারখানা রয়েছে। কালিয়াকৈর বাজার
বাস ষ্ট্যান্ডএলাকায় শিলাবৃষ্টি মার্কেটে মা মদিনা ফুড গার্ডেনের
ট্ধসঢ়;্রাকষ্ট্যান্ডএলাকায় রয়েছে নিজস্ব বেকারী কারখানা। এ বেকারী
কারখানায়অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশেতৈরি হচ্ছে বেকারী পন্য। ওই কারখানার
কেক খেয়ে প্রায় একই পরিবারের১২জন অসুস্থ্য হয়।প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর ও
নোংরা পরিবেশে এসব কারখানার তৈরি পন্য ফজরেরনামাজের পর পরই কোম্পানীর
নিজস্ব ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকার পাড়ামহল্লায়,অলিগলির ছোটবড় জেনারেল
ষ্টোর, মোদি দোকান ও চায়েরদোকানে ওই সব বেকারী পন্য পৌছে দেন
ডেলিভারিম্যানরা। বিভিন্নফাষ্টফোড ও চায়ের ষ্টলে গিয়ে দেখা যায়, মা
মদিনা বেকারী, মায়েরদোয়া বেকারী এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরী, বিসমিল্লাহ
বেকারী, তিতাসবেকারী, দয়াল খাজা বাবা বেকারী, ফাইভ স্টার বেকারীসহ
বিভিন্নবেকারীর মোড়কে একাধিক পলি প্যাকেটে ঝুলছে পাউরুটি, কেক,বাটারবন,
ডেনিস, ক্রিমরুলসহ অন্যান্য খাদ্য পন্য। তিতাস বেকারী, দয়ালখাজা বাবা
বেকারী,ফাইভ স্টার বেকারীসহ সকল বেকারীর তৈরি এ সববেকারী সামগ্রী পাউরুটি,
কেকসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মোড়কেবিএসটিআই,বিডিএস-৫০৬,বিডিআই-৪৮৩ এমন
ভাবে বিভিন্ননম্বর লেখা রয়েছে। মোড়কের গায়ে এ সব লেবেলে উৎপাদন
ওমেয়াদোত্তীর্ন কথাগুলি লেখা থাকলেও কত তারিখে উৎপাদন হয়েছে আর
কত
তারিখে মেয়াদ শেষ হবে তার কোন উল্লেখ নেই। ফুলবাড়ীয়া বাজারেমা
মদিনা,বিসমিল্লাহ,মায়ের দোয়াসহ তিনটি বেকারীপন্য তৈরিকারখানা ঘুরে দেখা
যায় ফ্যাক্টরীর উৎপাদিত বিস্কুটসহ নানা প্রকারতৈরি খাদ্য সামগ্রীর
প্যাকেটে একটিতে প্রস্তুতকার হিসেবে ঢাকারঠিকানা ব্যবহার করলেও অপর দুই
কারখানার নেই কোন লেবেল। মায়ের দোয়াকারখানায় বিস্কুটের প্যাকেটে লেবেল
থাকলেও তাতে উৎপাদন এবং মেয়াদউর্ত্তীনের তারিখ লেখা নেই। কারখানার
ম্যানেজারের কাছে এ বিষয়েজানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন হলো লেভেল শেষ
হয়ে গেছে তাইদেয়া হয়নি। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত ফুলবাড়ীয়া
বাজারেঅবস্থিত তিনটি বেকারী অত্যান্ত নোংরা পরিবেশে এ সব বেকারীপন্যতৈরি
করছে দেখার যেন কেও নেই। ব্যস্ততম এলাকা চন্দ্রা ত্রি-মোড়ে জাতিরপিতা
বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের পিছনে ডাইনকিনি রোডে তিতাসবেকারীতে গিয়ে দেখা
যায় সবচেয়ে বেশী অস্বাস্থ্যকর ও নোংরাপরিবেশে বেকারী পন্য তৈরি করছে। চা
দোকাদার রহিজ উদ্দিনজানায়,আমরা গরিব মানুষ, ফুটপাথে চা-পান বিক্রী করে
কোনমতেসংসার চালাই। বেকরীর তৈরি দেয়া এসব জিনিসে উৎপাদনের তারিখদেখার সময়
নাই। আর এসব দোকনের ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেসকরেনা।গত কয়েক মাস আগে
কালিয়াকৈর বাস স্ট্যান্ড এলাকার মা মদিনা ফুডগার্ডেনের কেক খেয়ে ১২ জন
অসুস্থ্য হলে ভোক্তভোগী উপজেলানির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।
এর দুই একদিন পরেকালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও
নির্বাহীম্যাজিস্ট্রেট সেখানে অভিযান না চালিয়ে বাড়ই পাড়া এলাকায়
একটিকেক তৈরি কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সিলগালা করেদিলেও
অভিযুক্ত মা মদিনা ফুড গার্ডেন ও তাদের বেকারী পন্য তৈরিকারখানার বিরুদ্ধে
কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।ফুলবাড়িয়ায় স্থানীয় একাধিক সচেতন
ব্যক্তিরা জানান, ফুলবাড়িয়াবাজারে বেকারীর পন্য ছাড়াও ভাতের হোটেল,
মিষ্টি তৈরির কারখানাগুলোতেও অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা
করলেও দেখার যেনকেও নেই। দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোন
প্রকারতৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। উপজেলা প্রশাসনের অফিসের কিছু
অসাধুকর্মচারীর সাথে বেকারী মালিকদের একটা যোগসাজস রয়েছে বলেও
জানান
তারা। আর এ কারনে এ সব বেকারীতে অভিযান চালানো হয় নাবলে জানান
তারা।ডাইনকিনি এলাকার সাব্বির হোসেন জানান, তিতাস বেকারীদীর্ঘদিন যাবত
নিন্মমানের উপকরন দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করেআসছে বেকারীসব পন্য।
জনবসতি পূর্ন এলাকায় এ ভাবে নিন্মমানেরখাদ্য সামগ্রী তৈরি করে আসলেও
প্রশাসনের নেই কোন নজরদারী। নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাক্তি জানান ফুড
ইন্সপেক্টও মাঝে মাঝেএসে মাসোয়ারা নিয়ে যায় বেকারী মালিকদেও কিছুই বলে
না।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিনজানান, খাদ্য
নীতিমালা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতেরমাধ্যমে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।কালিয়াকৈরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা
পরিবেশে তৈরিহচ্ছে বেকারীর পন্যকালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধিগাজীপুরের
কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ও পৌরসভারবাজার পাড়া মহল্লায় ছোট
বড় দোকান থেকে শুরু করে ফাষ্টফোডেরদোকান ও নামিদামি বেকারী গুলোতে বিক্রী
হচ্ছে কেক,হরেক
রকমেরবিস্কুট,চানাচুর,পাউরুটি,বাটারবন,মিষ্টি,সন্দেশ,ক্রিমরুল,পেট্রিস,ড্যানিস,টোষ্ট
বিস্কুটসহ নানা প্রকার বাচ্চাদের লোভনীয় ওমুখরোচক সব খাবার। কালিয়াকৈর
উপজেলার শতভাগ কারখানা গুলোতে এসব খাবার তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা
পরিবেশে। সরেজমিনে গিয়েএ সব বেকারি কারখানা গুলো ঘুরে দেখা গেছে এমন
অস্বাস্থ্যকরপরিবেশ। প্রতিটি কারখানার ভিতরে স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর
নোংরাপরিবেশে ভেজালসহ নিন্মমানের সব উপকরন দিয়ে অবাধে তৈরি করা
হচ্ছেবেকারীর সকল প্রকার সামগ্রী। কারখানার অভ্যন্তরে যেখানে তৈরি করাখাবার
রাখা আছে সেখানেই ময়দা, আটার গোডাউন পাশে রাখা আছেজ¦ালানি কাঠও। সাথে
রয়েছে মানব দেহের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এবংএকাধিক পামওয়েলের ড্ধসঢ়;্রাম।
এর পাশেই ছড়ানো ছিটানো আছেনানা প্রকার তৈরি সব খাদ্যপন্য। এ সব খাদ্যপন্য
তৈরির জন্য আটা ময়দাপ্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিস্কার ও
নোংরা। যে সবকর্মচারীরা এসব পন্য তৈরি করছেন তাদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম।
ওইঅবস্থায় কর্মচারীরা খাদ্য তৈরির উপকরন নাড়াচারা করছেন আর শরীরের
ঘামবেয়ে পড়ছে খাদ্য তৈরির উপকরনের মধ্যে। ডিমের খাঁিচগুলোতে দেখাগেছে
ভাংগা পচা ডিম যা অনেক কম দামে কেনা হয় বাজার থেকে।নিন্মমানের ডালডা দিয়ে
তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে হাজার হাজারমাছি বসে ভন ভন করছে।
প্রত্যেকটি কারখানায় উৎপাদন ওমেয়াদোত্তীর্ন তারিখ ছাড়াই নানা প্রকার
অভিযাত ব্রান্ডের আদলে কড়াএসব বাহারি মোড়কে কেক,হরেক রকমের বিস্কুট,
চানাচুর, পাউরুটি,বাটারবন, মিষ্ট, সন্দেশ, ক্রিমরুল, পেট্রিস,ড্যানিসসহ
বিভিন্নপ্রকার বেকারী সামগ্রী বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই উপাদন ও
বাজারজাত
করা হচ্ছে। উপজেলার চন্দ্রা ত্রি-মোড়ের ডাইনকিনি রোডেতিতাস বেকারী এন্ড
ফাষ্টফোড,ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের বাউন্ডারিওয়াল ঘেসে শহিদুল ইসলামের
মা মদিনা বেকারী, বাজারের কাঠপট্রিএলাকায় মায়ের দোয়া বেকারী এন্ড
বিস্কুট ফ্যাক্টরী, বিসমিল্লাহবেকারীসহ পাশাপাশি তিনটি বেকারী রয়েছে
ফুলবাড়ীয়া বাজারে।ফুলবাড়িয়া বাজারের তিনটি বেকারীতে অত্যান্ত নোংরা ও
অস্বাস্থ্যকরপরিবেশে কয়েকদিনের পুরোনো বিষাক্ত তৈল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে
সকলপ্রকার বেকারী পন্য। এ ছাড়াও সফিপুর বাজার, আন্দার মানিক, হরিনহাটি,
চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ, দাড়িয়াপুর, মৌচাক, রাখালিয়া চালা,কালিয়াকৈর
বাজার, বাড়ই পাড়া হ্যাসং বিডি গেট এলাকায় ইমরানবেকারী এন্ড ফাস্টফুড,
বলিয়াদি বাজারসহ ছোট বড় প্রায় ১৫/২০টিবেকারী নানা প্রকার বাচ্চাদের
লোভনীয় ও মুখরোচক সব খাবারসামগ্রী তৈরির কারখানা রয়েছে। কালিয়াকৈর বাজার
বাস ষ্ট্যান্ডএলাকায় শিলাবৃষ্টি মার্কেটে মা মদিনা ফুড গার্ডেনের
ট্ধসঢ়;্রাকষ্ট্যান্ডএলাকায় রয়েছে নিজস্ব বেকারী কারখানা। এ বেকারী
কারখানায়অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশেতৈরি হচ্ছে বেকারী পন্য। ওই কারখানার
কেক খেয়ে প্রায় একই পরিবারের১২জন অসুস্থ্য হয়।প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর ও
নোংরা পরিবেশে এসব কারখানার তৈরি পন্য ফজরেরনামাজের পর পরই কোম্পানীর
নিজস্ব ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকার পাড়ামহল্লায়,অলিগলির ছোটবড় জেনারেল
ষ্টোর, মোদি দোকান ও চায়েরদোকানে ওই সব বেকারী পন্য পৌছে দেন
ডেলিভারিম্যানরা। বিভিন্নফাষ্টফোড ও চায়ের ষ্টলে গিয়ে দেখা যায়, মা
মদিনা বেকারী, মায়েরদোয়া বেকারী এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরী, বিসমিল্লাহ
বেকারী, তিতাসবেকারী, দয়াল খাজা বাবা বেকারী, ফাইভ স্টার বেকারীসহ
বিভিন্নবেকারীর মোড়কে একাধিক পলি প্যাকেটে ঝুলছে পাউরুটি, কেক,বাটারবন,
ডেনিস, ক্রিমরুলসহ অন্যান্য খাদ্য পন্য। তিতাস বেকারী, দয়ালখাজা বাবা
বেকারী,ফাইভ স্টার বেকারীসহ সকল বেকারীর তৈরি এ সববেকারী সামগ্রী পাউরুটি,
কেকসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মোড়কেবিএসটিআই,বিডিএস-৫০৬,বিডিআই-৪৮৩ এমন
ভাবে বিভিন্ননম্বর লেখা রয়েছে। মোড়কের গায়ে এ সব লেবেলে উৎপাদন
ওমেয়াদোত্তীর্ন কথাগুলি লেখা থাকলেও কত তারিখে উৎপাদন হয়েছে আর
কত
তারিখে মেয়াদ শেষ হবে তার কোন উল্লেখ নেই। ফুলবাড়ীয়া বাজারেমা
মদিনা,বিসমিল্লাহ,মায়ের দোয়াসহ তিনটি বেকারীপন্য তৈরিকারখানা ঘুরে দেখা
যায় ফ্যাক্টরীর উৎপাদিত বিস্কুটসহ নানা প্রকারতৈরি খাদ্য সামগ্রীর
প্যাকেটে একটিতে প্রস্তুতকার হিসেবে ঢাকারঠিকানা ব্যবহার করলেও অপর দুই
কারখানার নেই কোন লেবেল। মায়ের দোয়াকারখানায় বিস্কুটের প্যাকেটে লেবেল
থাকলেও তাতে উৎপাদন এবং মেয়াদউর্ত্তীনের তারিখ লেখা নেই। কারখানার
ম্যানেজারের কাছে এ বিষয়েজানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন হলো লেভেল শেষ
হয়ে গেছে তাইদেয়া হয়নি। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত ফুলবাড়ীয়া
বাজারেঅবস্থিত তিনটি বেকারী অত্যান্ত নোংরা পরিবেশে এ সব বেকারীপন্যতৈরি
করছে দেখার যেন কেও নেই। ব্যস্ততম এলাকা চন্দ্রা ত্রি-মোড়ে জাতিরপিতা
বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের পিছনে ডাইনকিনি রোডে তিতাসবেকারীতে গিয়ে দেখা
যায় সবচেয়ে বেশী অস্বাস্থ্যকর ও নোংরাপরিবেশে বেকারী পন্য তৈরি করছে। চা
দোকাদার রহিজ উদ্দিনজানায়,আমরা গরিব মানুষ, ফুটপাথে চা-পান বিক্রী করে
কোনমতেসংসার চালাই। বেকরীর তৈরি দেয়া এসব জিনিসে উৎপাদনের তারিখদেখার সময়
নাই। আর এসব দোকনের ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেসকরেনা।গত কয়েক মাস আগে
কালিয়াকৈর বাস স্ট্যান্ড এলাকার মা মদিনা ফুডগার্ডেনের কেক খেয়ে ১২ জন
অসুস্থ্য হলে ভোক্তভোগী উপজেলানির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।
এর দুই একদিন পরেকালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও
নির্বাহীম্যাজিস্ট্রেট সেখানে অভিযান না চালিয়ে বাড়ই পাড়া এলাকায়
একটিকেক তৈরি কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সিলগালা করেদিলেও
অভিযুক্ত মা মদিনা ফুড গার্ডেন ও তাদের বেকারী পন্য তৈরিকারখানার বিরুদ্ধে
কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।ফুলবাড়িয়ায় স্থানীয় একাধিক সচেতন
ব্যক্তিরা জানান, ফুলবাড়িয়াবাজারে বেকারীর পন্য ছাড়াও ভাতের হোটেল,
মিষ্টি তৈরির কারখানাগুলোতেও অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা
করলেও দেখার যেনকেও নেই। দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোন
প্রকারতৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। উপজেলা প্রশাসনের অফিসের কিছু
অসাধুকর্মচারীর সাথে বেকারী মালিকদের একটা যোগসাজস রয়েছে বলেও
জানান
তারা। আর এ কারনে এ সব বেকারীতে অভিযান চালানো হয় নাবলে জানান
তারা।ডাইনকিনি এলাকার সাব্বির হোসেন জানান, তিতাস বেকারীদীর্ঘদিন যাবত
নিন্মমানের উপকরন দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করেআসছে বেকারীসব পন্য।
জনবসতি পূর্ন এলাকায় এ ভাবে নিন্মমানেরখাদ্য সামগ্রী তৈরি করে আসলেও
প্রশাসনের নেই কোন নজরদারী। নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাক্তি জানান ফুড
ইন্সপেক্টও মাঝে মাঝেএসে মাসোয়ারা নিয়ে যায় বেকারী মালিকদেও কিছুই বলে
না।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিনজানান, খাদ্য
নীতিমালা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতেরমাধ্যমে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
