আখতারুজ্জামান.চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পদ্মা, মহানন্দা, পূর্ণভবা ও
পাগলা নদী বিধৌত ও মরিচা বিল, বিল ভাতিয়া সহ
বিভিন্ন খাল-বিল অধ্যুষিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর,
শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোল
উপজেলাগুলোতে বর্ষা মৌসুমেও দেশি প্রজাতির
মাছের দেখা মিলছে না। জনসচেতনতার অভাবে হারিয়ে
যাচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ।
মুক্ত জলাশয়, নদী-নালা, খাল-বিলে আগের বর্ষা
মৌসুমে যে পরিমাণ মাছ পাওয়া গেছে চলতি বছরেও
তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে বাজারে চাহিদার
তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম আকাশচুম্বী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মৎস্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জমিতে
অতিরিক্ত সার প্রয়োগ, মা মাছ নিধন, অভয়াশ্রমের
অভাব ও সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ
না থাকায় দিনের পর দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়
দেশীয় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। দেশি মাছের উৎপাদন
বৃদ্ধিতে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ প্রায় নির্বিকার।
স্থানীয়রা বলেছেন, বৃষ্টি হলেই মাছ বাজারে আসতে
শুরু করে। চলতি মৌসুমে আশানুরুপ বৃষ্টি হয়েছে।
অথচ বর্ষা প্রায় শেষ প্রান্তে আসলেও বাজারে দেশীয়
মাছ উঠছে না। জলাশয়গুলোতে একসময় শিং, মাগুর,
কৈ, টেংরা, বাঘার, টাকি, গুঁচি, চ্যাং, শোউল,
গজার, বোয়াল, বালিয়া, বাইম, পুঁটি, চিংড়িসহ
নানা প্রজাতি মাছ পাওয়া যেত।
বর্তমানে এসব প্রজাতির মাছ পাওয়াই দুষ্কর।
বিলুপ্তি প্রায় এই মাছ গুলো একসময় চিরচেনা হলেও
এখন তা এলাকাবাসীর কাছে এগুলো খুবই অপরিচিত।
জেলার সচেতন মহলের আশংকা, বিলুপ্তির পথের এসব
মাছকে সচেতনতার মাধ্যমে ধরে রাখতে না পারলে,
হয়তো পরবর্তী প্রজন্মের নিকট স্বপ্নের মতো মনে
হবে এসব মাছ। আর আমরাও হয়তো চিরচেনা এসব
মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবো।
এছাড়া এলাকার হাট-বাজারগুলোতে দেশীয় মাছের
আমদানি একেবারেই কমে গেছে। মাঝে মধ্যে বাজারে
কিছু আমদানি হলেও তার দাম চড়া হওয়ায় সাধারণ
মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার পুরাতন
বাজার,নিউমারট,বটতলা
হাট,নতুনহাট,হায়াতমোড়,মহানন্দা নদীকুলবর্তী
বারোঘরিয়া বাজার।
শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার রানিহাটী, পদ্মা
অধ্যুশিত মনাকষা হাট, বিনোদপুর
হাট,ঘুঘুডাংগা,মনোহরপুর,১৩ রশিয়া।