এম ইসলাম দিলদার, বাঘা, রাজশাহীঃ
অপহরন করে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মুক্তিপন দাবি
চুরি ও সহায়তার অভিযোগ এনে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে
রাজশাহীর বাঘায় সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত মোশারফ
হোসেনের পরিবারের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপর ২ টায় বাঘা প্রেস
ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোশারফ হোসেনের স্ত্রী শরিফা বেগম লিখিত
বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামীসহ ৬-জন ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইং (বৃহঃবার) মর্জিনা বেগম স্বামিঃ আব্দুস সালাম সাং কলিগ্রাম বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা ও
ভিত্বিহিন মামলা দায়ের করেছেন। যা সম্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত
ভাবে দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রকৃত ঘটনা হলো, বাঘা বাজারের ব্যবসায়ি ইমদাদুল হকের
পুত্র পলাশ আহম্মেদ বাদিনির ভাই রহিমের নিকট থেকে
৩৭০০০(সাইত্রিশ হাজার ) টাকা পাওনা আছে। উক্ত পাওনাকৃত টাকা পরিষোধ না করিয়া দির্ঘদিন থেকে নানা রকম তালবাহানা করতে থাকে। এমতাবস্তায় ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর রহিম একটি নতুন মোটর সাইকেল কিনিয়া আনে। এই সংবাদ পাবার পরে পলাশ রহিমের নিকট তার পাওনা টাকা পরিষধের জন্য বললেও রহিম টাকা নাই বলে জানান। তখন পলাশ ও তার ২/৩ জন বন্ধু পলাশের টাকা উদ্ধারের জন্য রহিমের মটর সাইকেল জব্দ করে। এরপর উক্ত পাওনা টাকা না দিলে মোটর সাইকেল ছাড়বেনা বলে জানান পলাশ। তখন রহিম তার গ্রামের তজিমউদ্দিনের ছেলে আলি হোসেন কে বিষয় টি জানায় । এরপর আলি হোসেন মামলায় অভিযুক্ত ৩ নাম্বার আসামি আমার ছেলে সবুজ
আহম্মেদকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেন। তখন সবুজ তার বাড়ির পার্শ্ববতি একটি ক্লাবে বসে রহিমের পিতাসহ উক্ত গ্রামের
আরমান মেম্বার এবং আরও ১০/১২ জন কে সঙ্গে নিয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে ২৫০০০( পঁচিশ হাজার ) টাকায়
সমাধান টানেন। এরপর উক্ত টাকার জন্য রহিম তার বোন মর্জিনা
বেগম অর্থাৎ মামলার বাদিনি কে বিকাশে পরিষধের জন্য বাঘা
বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী মোঃ মিনহাজুল ইসলাম প্রান্তর বিকাশ
নাস্বার দিয়ে ২৫০০০.০০ (পচিশ হাজার টাকা ) টাকা দিতে বলেন।
এরপর বাদিনি মজির্না বেগম, কে বা কাহারো প্ররোচনায়
থানাতে গিয়ে আমার স্বামী মোশারফ হোসেন, ছেলে সবুজ
আহম্মেদ সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। পরে বাঘা থানা পুলিশ শালিসে থাকা আরমান মেম্বার, নজিমুল ,আনিসুর
রহমানসহ ৭/৮ জনকে ধরে নিয়ে আসে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে আরমান মেম্বার নজিমুল ও আনিসুর রহমানকে ছেড়ে দেন। এরপর সম্পুন্ন আক্রশ ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মামলাটি দাখিল করা হয়। যা সম্পুন্ন ভিত্বিহিন, মিথ্যা ও বানোয়াট। এ হেন ষড়যন্ত্রমুলক
মামলায় আসামি হিসেবে অভিযুক্ত সকলের পারিবারিক ও সামাজিক
ভাবে চরম আকারে মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এবং আসামি হিসেবে
গ্রেপ্তারকৃত মোশারফ হোসেন সহ সকল আসামিদের বিরুদ্ধে
আনিত অভিযোগের কোন তথ্য প্রমানাদি নাই। কেন এবং কি
কারনে এ ধরনের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তার প্রকৃত
অনুসন্ধান করে জনসন্মুখে তুলে ধরবার জন্য সাংবাদিকদের নিকট
বিনিত অনুরোধ রইল। অন্যথায় আসামি হিসেবে অভিযুক্ত সকলের
মারাত্বক ক্ষতি ও মানক্ষুন্ন হবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদি মর্জিনা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা
হলে তিনি বলেন, মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমি কোন অভিযোগ করিনি। যারা আমার ভাইয়ের গাড়ি ধরেছে তাদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার এজাহারে তাদের নাম কিভাবে আসল আমি তা কিছুই বলতে পারবনা।