শাহাদাৎ হোসেন আশুলিয়াঃ
ঢাকার সাভারস্থ আশুলিয়ার জিরাবো পশ্চিম পাড়া এলাকার বর্জ্যপানি নি:স্কাসনে নয়নজুলি খালের মুখ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় দশটি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এলাকাবাসী এই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করছেন আমান স্পিনিং মিলস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে।
দীর্ঘদিন যাবত বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত পানি জমে থাকার কারনে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি মারা যাচ্ছে মাছ ফলজ ঔষধি গাছ ও গবাদিপশু। সর্বোপরি পরিবেশ দূষণের কারণে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ঐ এলাকায় বসবাসকারি সাধারণ মানুষ।
ভীষণ মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই নয়ন-জুলি খালের আশপাশের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জিরাবো পশ্চিম পাড়ার তৌয়ফপুর মৌজার বাসিন্দা মোঃ আতাউর রহমান (৬৫) এর বাগান বাড়ির এক একর তেতত্রিশ শতাংশ জমি জলাবদ্ধতা হয়ে আছে।বিষাক্ত পানির দূর্গন্ধে এলাকায় টেকা দুস্কর।
এ ব্যপারে আতাউর রহমান জানান,আমান টেক্সটাইল মিলস এর বজ্র পানির কারনে আমার বাগান বাড়ির প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে।
আমি দীর্ঘদিন যাবৎ এই বাড়িতে বসবাস করে গরু ছাগল, হাস মুরগি,কবুতর পালন,মাছ চাষ ও বাসা ভাড়া দিয়ে জীবনধারণ করে আসছিলাম কিন্তু গত তিন বছর যাবত খালের মুখ বন্ধ করে দেয়ায়। এই বর্জ্র পানি বের হতে না পেরে আমার বাড়িসহ আশপাশের অনেক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এতে প্রায়
পাঁচ শতাধিক বনজো,ঔষধি ও ফলজ গাছ এবং পুকুরের মাছ,হাস মুরগী, গবাদিপশু গুলো একে একে মারা যায় এবং আমার বাড়িটা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
কোন ভাড়াটিয়াও থাকে না।বর্তমানে আমি খুব মানবেতর জীবনযাপন করছি।
বিষয়টি নিয়ে আমান স্পিনিং মিলস কৃর্তিপক্ষের সাথে একাধিক বার কথা বলেও কোন কাজ হয় নি।
এ ব্যপারে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী মাসুদ মুঞ্জু জানান,এলাকায় হাজারো একর জমি বজ্র পানির নিচে রেখে অল্প দামে ক্রয়ের জন্য মুলত এই কাজটি করছেন আমান স্পিনিং মিলস কর্তৃিপক্ষ । আমরা একাধিক বার বললেও কোন কাজ হচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানান আমান স্পিনিং মিলস কারখানার পাশে নয়ন জুলি খালের মুখ বন্ধ করার কারনে আশপাশের বিভিন্ন মিল কারখানার বর্জ্য পানি বের হতে না পারায় এই জলাব্ধতার সৃষ্টি। এতে করে পরিবেশ দূষণ সহ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত নয়নজুলি খালের মুখ খুলে দেয়া সহ পানি নি:স্কাশনের এক মাত্র খাল উদ্ধারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
এব্যপারে আমান স্পিনিং মিলস কর্তিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।