নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে মামলা দায়ের করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক টাকা নেয়ার অভিযোগ এনে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার এ এসআই জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোকছেদুল ইসলাম নামের গ্যালামাল ব্যবসায়ী। রবিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা বাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ব্যবসায়ী। এসময় তার ঘটনাস্থলের স্থানীয় লোকজনও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। ব্যবসায়ী মোকছেদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, এখান থেকে সংসারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহ করি। ঘটনার দিন গত ০৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৮টায় প্রতিদিনের ন্যায়, দক্ষিণ বড়ভিটা গুচ্ছগ্রামে তাঁর মুদির দোকানের মালামাল আনার জন্য পার্শবর্তী বড়ভিটা বাজারে যাই। পথিমধ্যে বড়ভিটা ফুটবল খেলার মাঠে “দি সেভেন সার্কাস” শো চলাকালীন আমি গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকি। এমন সময় কিশোরগঞ্জ থানার এএসআই জাহিদ ও অজ্ঞাত নামা আর এক ব্যক্তি আমাকে চায়ের দোকানের পিছনে ডেকে নেয় এবং শরীর তল্যাশী করে। সংবাদ সম্মেলনে ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আমার পড়নে থাকা কাপড় খুলে উলঙ্গ করে মানি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় এবং বলে তোর কাছে মাল আছে থানায় চল। স্থানীয় লোকজনের সামনেই আমাকে উলঙ্গ করে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার মানিব্যাগে থাকা দোকানের মালামাল ক্রয়ের ৫৭০০ (পাঁচ হাজার সাতশত) টাকা বের করে নেয় এএসআই জাহিদ। পরে পুলিশের এএসআই জাহিদ মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় তার সমনে দাড়াই। স্যার টাকাটা দেন, আমি দোকানের মালামাল কিনতে যাবো। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমাকে মাদক মামলায় থানা হাজতে নিবেন বলে হুমকি দেয়। আমি তখনই তার মোটরসাইকেলে উঠে বসি, এবং বলি টাকাটা দেন স্যার আমি গরীব মানুষ। নইলে থানায় নিয়ে চলেন, আমি ওসি স্যারকে বলবো আমার টাকাটা নিয়ে দিবেন। মোকছেদুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাকে থাপ্পড় মেরে গাড়ি থেকে ধাক্কা দেয়, আমি মাটিতে পড়ে যাই। তখনই তিনি চলে যান। সে জানায়, দক্ষিণ বড়ভিটা গুচ্ছ গ্রামে তার পিতা মোতালেব হোসেনের নামে একটি বাড়ীতে থাকে। সেখানেই তার রুটি, বিস্কুট, চা সহ বিভিন্ন রকম মালামাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ ক্রমে প্রতারনা মূলক ঘটনার এএসআই জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দাখিল করেন। এ অভিযোগের ফলস্রুতি না পাওয়ায় স্থানীয় স্বাক্ষীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় স্বাক্ষী শফিকুল ইসলাম, পিতা টন্না মামুদ, শহিদুল ইসলাম পিতা- আব্দুর রশিদ, মৌঃ শাহিন পিতা মৃত আব্দুল মজিদ ও শাহিদা বেগম সকলের বাড়ি দক্ষিণ বড়ভিটা গুচ্ছ গ্রামে। মোকছেদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক প্রতারনামূলক অন্যায়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বিচার ও টাকা উদ্ধারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানান।