মহাঅষ্টমী : কুমারী পুজা উদযাপিত

ধর্ম

পাঁচ দিনব্যাপি শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিনে আজ রোববার ছিল মহাঅষ্টমী তথা ‘কুমারী পুজা’।
রাজধানীসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নারীতে ‘পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন’- এ বিশ্বাস নিয়ে দুর্গোৎসবের অষ্টমী তিথিতে ‘সর্ববিদ্যাস্বরূপিনী’ কুমারী রূপে ‘দেবী দুর্গার’ বন্দনায় পূজা-অর্চণা ও আরাধনায় মেতে উঠেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যে ত্রিশক্তির বলে বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের চক্রে আবর্তিত হচ্ছে, সেই শক্তি বীজ আকারে কুমারীতে নিহিত। সেই বিশ্বাস থেকেই দেবী দুর্গার কুমারীরূপের আরাধনা করেন ভক্তরা।
সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বহু বছর আগে নিজের স্ত্রী সারদা দেবীকে মাতৃজ্ঞানে যে পূজা করেছিলেন,তারই ধারাবাহিকতায় উপমহাদেশের মিশন ও মঠগুলোতে শারদীয় দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা উদযাপন করা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বরের আরাধনাই কুমারী পূজার শিক্ষা।
রোববার ভোরে সারা দেশে রামকৃষ্ণ মঠের পাশাপাশি রাজধানীর গোপীবাগস্থ রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠেও কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। সেখানে সকাল থেকে বিরামহীন ঢাকের আওয়াজের সঙ্গে থেমে থেমে চলে কাসর ঘণ্টা, শঙ্খনাদ আর উলুধ্বনি।
এরই মাঝে চলে ভক্তিগীতি- ‘জাগো দুর্গা, দশভুজা জগজ্জননী মা’, ‘শারদা শারদা রাগে’, ‘দুর্গতিনাশিনী দুর্গা মা, শুভমতিদায়িনী দুর্গা মা’। আর দুর্গাপূজার মন্ডপে চলে চন্ডি পাঠের মাধ্যমে দেবীর অর্চণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *