এম ইসলাম দিলদার বাঘা প্রতিনিধি,রাজশাহী।রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আগামী ৯ অক্টোবর হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার, আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়, বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান,এ সময়টা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম।
প্রতিবছরের মতো এবারো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এরই মধ্যে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপজেলায় সচেতনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, পদ্নানদীর তীর বর্তি হটবাজারে মাইকিং, ব্যানার, পোস্টারিং, প্রচারপত্র বিতরণ, জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করে সরকারী ভাবে উপজেলা মৎস্য অফিস মোঃ আমিনুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর আশ্বিন মাসের প্রথম উদিত চাঁদের পূর্ণিমার আগের চারদিন, পরের ১৭ দিন এবং পূর্ণিমার দিনসহ মোট ২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞা ২০১৭ সাল থেকে জারি রয়েছে। তবে ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১১ দিন এবং ২০১৫ সালে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিলো ১৫ দিন।
নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে বলে জানান, দৈনিক সকালের সময় প্রতিবেদকে। বাঘা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপাপ্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম,সহকারী অফিসার মোঃপলাশ আলী প্রতিদিন সরকারী বিধি মোতাবেক অফিস রুটিনে নদীর উপকুল বর্তি নৌকার খেয়াঘাট,হাট-বাজারে মা-ইলিশসহ ইলিশ মাছ শিকার না করার জন্য লিফলেট বিতরণ করে মৎস্য শিকারিদের নিরুসায়িত করছেন।গত রবিবার বিনোদপুর বাজারেও মৎস্য শিকারী ও ব্যবসায়ীদের সাথে ইলিশ মাছ শিকার,বহন,বিক্রয়-ক্রয় না করার জন্য এক মতবিনিময়সভা করেন।
