অসিম আল রাজীঃ বাংলাদেশ সরকার যখন দূর্নীতি, অপরাধ, অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করে অপরাধ দমন করতে ব্যস্ত তখন কে এই নাহিদ হাসান?জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও প্রতিকার মেলেনি জনগনের। একের পর এক অপরাধ তার প্রতিদিনের খোরাক।
অবৈধ খাল খনন, টেন্ডারবাজি,অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার সহ নানান অভিযোগ রয়েছে মুণ্ডমালা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও বয়স্ক ভাতা,বিধবাভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা ও ভিজিএফ কার্ডের বিনিময়ে টাকা গ্রহণ করার অভিযোগও পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে।জানা যায়,নাহিদ হাসান রাজশাহী জেলার অন্তর্গত মুণ্ডমালা পৌরসভার আঁইড়ার মোর এলাকার এনামুল হকের ছেলে।
সম্প্রতি মেহনাজ বেগমের বাড়ি তৈরীতে বাঁধা,বাড়ির সম্মুখে থাকা সরকারি খাশ জায়গা দখল করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া সহ অগাধ অপরাধ করে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন কাউন্সিলর নাহিদ।একের পর এক অপরাধ করেও যেন হতাশ নয় তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান যদি পূর্ণাঙ্গভাবে অডিট করা হয় তবে বিভিন্ন খাতে মুন্ডুমালা পৌরসভায় অন্তত একশত কোটি টাকা লোপাটের তথ্য উঠে আসবে নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে জানতে মুন্ডমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানির সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
অভিযুক্ত নাহিদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করতে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।ফোন করলে কখনো ঢাকায় আছি,কখনো ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো এমন বক্তব্যে দিন পার করেন নাহিদ হাসান।
ভুক্তভোগি মেহনাজ বলেন,তার আত্মীয় সচিব থাকায় সবসময় তিনি ক্ষমতা দেখান।আমার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।আমার বাড়ির সামনের জায়গাটুকুও জোর করে দখল করে নিয়েছে।খাশ জায়গার কাগজ পত্র দেখতে চেয়েছি কিন্তু তিনি দেখাতে পারেননি।