রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে‘‘৮০ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ’’

ক্রাইম রিপোর্ট

মোঃআমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে ৮০ লক্ষ টাকা লোপাট করেছে প্রশাসন। এমন অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  শিক্ষক এবং  শিক্ষার্থীদের পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে এই অভিযোগ তোলা হয়। জানা যায়, সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে নিয়োগ বাণিজ্য, অসৎ, দুর্নীতির অভিযোগে রাবি ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ‘লালকার্ড’ দেখিয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী ছাত্র আব্দুল মজিদ অন্তর প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রশাসনের প্রতিটি পর্যায় দুর্নীতিতে ছেঁয়ে গেছে। সাত পুুকুর গবেষণা প্রকল্প, ক্যাম্পাস সৌন্দর্য বর্ধনের নামে বিদেশ থেকে ঘাস আমদানি করে ৮৪ লক্ষ টাকা লোপাট। শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যসহ স্বজনপ্রীতিতে নিমজ্জিত। এটা প্রমাণিত হওয়ার পরও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভিসি ও প্রো-ভিসি পদে বহাল রয়েছে কিভাবে এটা আমাদের বোধগম্য নয়।   

এভাবে শিক্ষা ও দুর্নীতি এক সঙ্গে চলতে পারে না। তাই আমরা বর্তমান দুর্নীতিবাজ প্রশাসনকে লাল কার্ডের মাধ্যমে এ ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি।’
এদিকে  শহীদ তাজউদ্দিন সিনেট ভবনের সামনে জাতীয়বাদী শিক্ষক ফোরামের পৃথক একটি মানববন্ধনে প্রশাসনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেন সাদা দলের আহবায়ক প্রফেসর ড. এনামুল হক।

তিনি বলেন. ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গুলো দ‚র্নীতিতে ছেয়ে গেছে। তার প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে আশি লক্ষ টাকার ঘাস লাগানোর নাটক করা হয়েছে। আমরা ধিক্কার জানাই এই মানুষিকতাকে।

কোথাও কোথাও কয়েক খানা ইট খাড়া করে দিয়ে ছবি তৈরি করে কোটি কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। উপ-উপাচার্যের যে অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে এতেই প্রমাণ হয় শিক্ষা প্রধানসহ সব জায়গায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ হয়। যারা এই নিয়োগের নামে বাণিজ্যে করছে তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানোর জন্য প্রশারাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে‘‘৮০ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ’’সনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এতে আরো বক্তব্য দেন, প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম ফারুকী, প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সরকার, প্রফেসর ড. কে বি এম মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম প্রমূখ। মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *