সোনাইমুড়ি, (নোয়াখালী) সংবাদ দাতা : সামাজিক অন্যায় অপরাধ ও একটি
মসজিদের জায়গার দখলদারদের বিরদ্ধে প্রতিবাদ করায় অপরাধীদের ষড়যন্ত্রের রোষানলে পড়ে
নিরপরাদ জাহাঙ্গীরকে কৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেটের প্যাকেট দিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে
তুলে দিলো একটি চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬/৯/২০১৯ ইং রাতে। অভিযোগে জানা
যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউপির মিরওয়ারিশপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের
আকানজি বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম (মাটি
জাহাঙ্গীর) নিত্য দিনের মতো দিন মজুরদের নিয়ে মাটির কাজ শেষ করে চৌমুহনী
চৌরাস্তা বাস ষ্ট্যান্ডে চা পান করতে বসে। এ সময় এলাকার কয়েক যুবক কৌশলে তার
সাথে গল্প শুরু করে। এক পর্যায়ে নেশা দ্রব্য এক প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট তার পকেটে
ডুকিয়ে দিয়ে একজন দোকানের বাহিরে দাঁড়িয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিবি
পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাৎক্ষণিক জাহাঙ্গীর কে পাকড়াও করে তার পকেট থেকে
ইয়াবা ট্যাবলেটের প্যাকেট বের করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। নিরপরাধ জাহাঙ্গীরের
কোন আকুতি মিনতি কর্ণপাত করেননি পুলিশ। পরে বেগমগঞ্জ থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ
আইনে মামলা দায়ের করে পরের দিন জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর এলাকাবাসী আবাল
বৃদ্ধা, নারী,পুরুষ প্রায় ৫ শতাধিক ব্যক্তি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মামলা
প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় এম,পি
মামুনুর রশিদ কিরণ এমপির কার্যালয়ে যায়। এ সময় প্রতিবাদ কারী জনতা বলেন,
দীর্ঘদিন ধরে আকানজি বাড়ির নব নির্মিত আকানজি জামে মসজিদের সম্পত্তি
নিয়ে একাধিক হামলা, মামলা দায়ের হয়। এ মসজিদের সম্পত্তি উদ্ধারের প্রতিপক্ষ জামাল
গংদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর তুখোড় প্রতিবাদ করেন। জানা যায়, মরহুম রুস্তুম
মিয়া কয়েক বছর পূর্বে আকানজি বাড়ির মসজিদের জন্য ৪শতক জায়গা ওয়াকফ করে
দেন। পরে পার্শ্ববর্তি জামাল গং উক্ত সম্পত্তি তাদের দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেও
ক্ষান্ত হয়নি। কতেক সন্ত্রাসী ম্যানেজ করে বাবুল গংদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে
থাকে। এলাকাবাসী আরও জানায়, জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ দিন থেকে মাটি বেচা কেনা
করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, যুবলীগের
একজন সক্রিয় কর্মী। প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সক্রিয় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায়
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁকে এ
হয়রানির মামলার শিকার হতে হয়। জাহাঙ্গীরের ভাই শাহজাহান সাজু জানায়, জামাল গংরা
এক পীরের অনুসারী সে নীতিমালায় তাদের পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হলে
ধর্মীয় মত বিরোধ দেখা দেয়। এলাকাবাসী সিংহ ভাগ মুছল্লিগণ দীর্ঘদিন ধরে
আকানজি বাড়ির জামে মসজিদে ওয়াক্তিও নামাজ করতে আসলে কোন কোন সময় ওরা
বাদা দিতে থাকে। কোন তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে জামাল গংরা বাবুল গংদের দিয়ে গ্রামে
ঝটলা বেঁধে ঝগড়া ঝাটি করে মারা মারি সৃষ্টি করে। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, স্থানীয়
প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে না দেখলে যে কোন সময় প্রাণ হানির মতো দূর্ঘটনা
ঘটতে পারে। মিরওয়ারিশপুরের বয়ো বৃদ্ধা রচিয়া খাতুন জানায় জাহাঙ্গীর ছেলেটির
বিরদ্ধে কখনও নেশা দ্রব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোন অপরাধ আমাদের চোখে পড়েনি, সে
সহজ সরল জীবিকা নির্বাহে কর্ম ব্যস্থ থাকতো। স্থানীয় এম,পি বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য
শুনে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি কন্ট্রাকটার
পোল হয়ে চৌরাস্তা হয়ে মজুমদার হাট গিয়ে শেষ হয় .
