হেলাল শেখঃ ঢাকার প্রধান শিল্পা ল আশুলিয়ার বগাবাড়ি, বাইপাইলে অবস্থিত হ্যাপী জেনারেল হসপিটাল এর চেয়ারম্যান ও এম. বি. বি এস এফসিপিএস (এফআই) পি. জি. টি (গাইনী এন্ড অবস) সি. এম. ইউ ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল এর ডাঃ রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপী’র) শুভ জন্মদিনের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা, সেই সাথে পরিবারের সকলের প্রতি শুভকামনা রইল।
ডাঃ হ্যাপী’র বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সংগঠন এর সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, আশুলিয়ায় অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি থাকলেও গরীব অসহায় মানুষের সহযোগিতা করার মতো ব্যক্তি অনেক কম রয়েছেন, কিন্তু সিরাজগঞ্জের মেয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা ডাঃ রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপী), অনেক মানুষকে সহযোগিতা ও উপকার করে থাকেন।
উল্লেখ্য,এর আগে এক নারীর সহযোগিতা করতে কেউ এগিয়ে আসেননি, তবে সাবেক আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু ডা. হ্যাপিকে মোবাইল ফোনে কল করে বলেছিলেন, এক নারীকে সহযোগিতা করার জন্য, তখন নিজের গাড়িতে আশুলিয়া থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদ মিয়াকে দিয়ে হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে পাঠিয়ে দেন ওই নারীকে। এরপর হ্যাপি তার মালিকানাধীন হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে বিনা খরচে ওই নারীর সিজার করেন হ্যাপী। ওই প্রসূতি শ্রীমতি লিপি রানী (২৫), তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্ধগঞ্জে, আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ির লাল মাটি এলাকায় মিজানের ভাড়া বাসায় তিনি বসবাস করতেন।
ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, ওইদিন শুক্রবার বিকেলে ওই নারী থানার গেটের সামনে এসে কান্না করছিলেন এক নারী, তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন,আজ সিজারের ডেট কিন্তু তার কাছে কোনো টাকা নেই দেখে কোন ক্লিনিক বা ডাক্তার তাকে সিজার করেননি। তিনি আরো বলেন, এসময় আমি ওই নারীকে আমার পূর্ব পরিচিত ডা. হ্যাপি’র মালিকানাধীন হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে পাঠালে হ্যাপি’র নিজস্ব অর্থ খরচ করে তার সিজার করেন এবং কয়েকদিন ভর্তি রেখে সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। ঘটনার বর্ণনায় ওসি আরো বলেন, শ্রীমতি লিপি রানীর নবজাতক কন্যা শিশুটির নাম রাখা হয়েছে শ্রীমতি দীপিকা রানী। এরকম অনেক রোগীকে সাহায্য সহযোগিতা করেন ডাঃ হ্যাপী। তাই তাঁর পরিবারের সকলের প্রতি শুভকামনা ও অভিনন্দন। সেই সাথে উক্ত হ্যাপি জেনারেল হসপিতালের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি শুভ কামনা রইল।
