রফিকুল ইসলাম—বিধ্বংসী নাশকতা আগুনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী বের হয়ে আসে। এমনটাই সচেতন মহলের প্রত্যাশা থাকে।গাজীপুর জেলা কালিয়াকৈর উপজেলার পদ্মপাড়া বাজারে বিধ্বংসী নাশকতা আগুনে তিনটি তুলার গোডাউন পুরে ছাই হয়ে গেলেও থানা পুলিশ ভুক্তভোগীর অভিযোগ আমলে না নিয়ে রহস্যময় কারণে নির্বিকার।০৯/০১/২২ইং রবিবার সারাদিনের বেচাকেনা করে দোকান মালিক মোঃ জয়নাল আবেদীন উল্লেখিত তুলার গোডাউন দুটি তালা বদ্ধ করে প্রধান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠনে ঘুমাইয়া পরে। তিনি বলেন, ১০/০১/২২ইং ভোর অনুমান ৪.৩০ঘটিকার সময় লোকজনের মুখে আগুন আগুন চিৎকার শুনিয়া আমার ঘুম ভাঙ্গিয়া যায়। পরে আমি দেখি আমার তুলার গোডাউনে আগুন ধাঁও ধাঁও করে জ্বলিতেছে। আগুন দেখিয়া স্থানীয় লোকজন -দের সহায়তায় পানি দিয়া আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। সেই সাথে ফায়ার সার্ভিসে খবর প্রদান করি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ততক্ষণে আমার দুইটি তুলার গোডাউন এবং পাশে থাকা একটি ইলেকট্রনিকস দোকান পুরে ছাই হয়ে গেছে।দোকান মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার দোকানে বিদ্যুতের কোন সংযোগ ছিল না। এই অগ্নিসংযোগ শত্রুতামুলক। একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে আমার ব্যবসা কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে আসছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির মুখে পরেও কোন রকমে পদ্মপাড়া বাজারে ব্যবসা করে বাবা-মাকে সাথে নিয়ে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি। দোকান মালিক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠনের পাশে আমার দখলিয় জায়গায় আমার রোপন করা একটি আম গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় প্রভাব শালী একটি মহল কয়েক দিন যাবৎ প্রকাশ্যে শত্রুতা পোষণ করে আসছে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ আমি নিরাপত্তাহীন জীবন যাপন করে যাচ্ছি। দোকান মালিক আরো বলেন, গু-খাদ্য হিসাবে আমি তুলা বিক্রি করে আসছি। আমি তিন বছর ধরে এই ব্যবসা করে যাচ্ছি। এই আগুনে সর্বসাকুল্যে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে তিনি জানান।ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মোঃ জয়নাল আবেদীন ১১/০১/২২ইং তারিখে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযোগ কারীর কথায় কোনরূপ কর্ণপাত না করে তাকে থানা থেকে বের করে দেয় এবং মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তার পর দোকান মালিক বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-০৩(কালিয়াকৈর) আদালত, গাজীপুর সি,আর,মামলা নং–/২০২২ একটি মামলা করে।মোঃ মজিদ সরকারকে (৫৫) এক নাম্বার আসামী করে মোট ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।পদ্মপাড়া বাজার ও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ হল এই অগ্নিকান্ড বড় ধরনের একটি সুস্পষ্ট নাশকতা।স্থানীয় জনগণ বলেন, ফজরের নামাজের সময় এই অগ্নিসংযোগ। আগুনের লেলিহান অনেক উপরে ওঠে যায়। তারা বলেন, এই তুলার গোডাউনে আগুন দেয়ার সময় দুষ্কৃতকারীরা নিশ্চয়ই কোন দাহ্য পদার্থ দিয়ে ছিল। স্থানীয়রা আরো বলেন,দোকান মালিক গু-খাদ্য হিসাবে ডাসতুলা বিক্রি করে আসছিল। ডাস তুলার আগুন এত উপরে ওঠার কথা নয়। তারা আরো বলেন, তুলার গোডাউনে বিদ্যুৎ এর কোন সংযোগ ছিলনা। এ আগুন কেউ না কেউ লাগিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে পদ্মপাড়া মেম্বার মফিজ মুল্লা বলেন,সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তিনি বলেন এটা নিশ্চয়ই অগ্নি নাশকতা। নাশকতা কারীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন এই মেম্বার। মুঠুফোনে ফুলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শাহালম সরকার বলেন,আমি দোকান পুরে যাওয়ার ঘটনা শুনেছি। জয়নাল আবেদীন আমার নিকট এসেছিল। তিনি বলেন,যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের আইনের আওতায় আনা হউক। মামলার এক নাম্বার আসামী মজিদ সরকার বলেন, এই পদ্মপাড়া বাজার আমি নিজে অনেক কষ্ট করে গড়ে তুলেছি। পদ্মপাড়া বাজার আমার সন্তান সরূপ। এই নাশকতা আগুনে অনেক কষ্ট পেয়েছি। যারা আগুন দিয়ে দোকান পুরিয়া দিয়েছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হউক। তিনি বলেন,আমাকে মামলার আসামী করা হয়েছে তাতে কোন দুঃখ নেই।তিনি বলেন,সঠিক তথ্য বের হয়ে আসুক। কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান থানায় মামলা না নেয়ার বিয়য়ে বলেন, পদ্মপাড়া বাজারে নাশকতার আগুনে কয়কটি দোকান পুরেছে এটা আমি শুনেছি। কেউ থানায় কোন অভিযোগ করতে আসেনি। যদি আসতো তাহলে অবশ্যই মামলা নিতাম।তিনি বলেন অগ্নিকান্ডের তদন্ত হচ্ছে।
