হেলাল শেখঃ র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক (বিপিএম ও পিপিএম) পরোপকারী ও মানবতার ফেরিওয়ালা। পাবনার কৃতি সন্তান জনগণের বন্ধু এবং মানবিক পুলিশের গর্ব, মানব সেবা করে তিনি বর্তমানে প্রশংসায় ভাসছেন।
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার মধ্যেও মানব সেবা করেছেন এবং একাধিকবার করোনায় আক্রান্ত হলেও আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করেছেন। তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মোজাম্মেল হক অত্যান্ত দক্ষ ও মেধাবী এবং সাহসী। করোনা চলাকালীন সময়ে অসহায় দুস্থ কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ দিয়ে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন। মোজাম্মেল হক মানুষ হিসেবে পরোপকারী, সদা মিষ্টভাষী।
উক্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক মানব সেবা করেন বলেই ২বার কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েও বেঁচে গেছেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। সেসময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন, মানুষের দোয়ায় আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করেছেন। করোনা প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি চলাকালেও সদা সর্বদা মাঠে থেকে জনগণকে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। অসহায় দুস্থ কর্মহীন মানুষের মাঝে র্যাব-৪ এর পক্ষ থেকে এবং তাঁর ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে সাদ্য অনুযায়ী খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন এই মানুষটি। তিনি গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের মাঝে করোনার শুরু থেকে মাস্ক বিতরণ করাসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন। পুলিশের এই অতিরিক্ত ডিআইজি ও র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক একজন মানবতার ফেরিওয়ালা বলে লেখক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে তার সুনাম রয়েছে বলে অনেকেই জানান।
র্যাব-৪, মিরপুর,ঢাকা এর অধিনায়ক পাবনার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক, বিপিএম, পিপিএম। তিনি রংপুর র্যাব-১৩ এর প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় ১৪ মাস অত্যন্ত সাহসীকতা ও নিষ্ঠার সাথে সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোজাম্মেল হক পাবনার এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিভিএম বিষয়ে স্মাতক সম্মান ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মোজাম্মেল হক ১৮তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৯ইং সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে তিনি প গড় ও রাজশাহী জেলার সার্কেল এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নাটোর, রাজশাহী, কুমিল্লা ও ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি জয়পুরহাট, বগুড়া ও নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং জাতিসংঘ মিশনের আওতায় তিনি সুদানে দায়িত্ব পালন করেছেন। সৎ আদর্শবান, দায়িত্বপ্রাপ্ত চৌকস এই অফিসার পেশাগত দায়িত্বে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম এবং পিপিএম পদে ভূষিত হন। এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখায় দেশ সেরা পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন এবং পেশাগত দক্ষতার জন্য একাধিকবার আইজিপি ব্যাচ লাভ করেন মোজাম্মেল হক। তিনি এতো কিছু অর্জন করলেও তাঁর মনের মধ্যে কোনো অহংকার নেই। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে প্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিতি ও সম্মান অর্জন করেন। তিনি আসলেই মানবতার ফেরিওয়ালার মতো জনকল্যাণে কাজ করেই এই সফলতা অর্জন করেছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক সৎ, আদর্শবান, চৌকস ও সাহসী কর্মকর্তা। তিনি অনেক ভালো মনের মানুষ, তিনি সরকারি ও বে-সরকারি অনেকবার বিশেষ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২বার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করেছেন, আমিন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই মানুষটির জন্য সবসময় দোয়া করি, আল্লাহ যেন মোজাম্মেল হকসহ তার পরিবারের সবাইকে ভালো রাখেন। সেই সাথে মানবিক পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবার প্রতি অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, র্যাবের আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের লক্ষ্যে র্যাব এর জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।
