সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা সাংবাদিকতা-ষড়যন্ত্রকারীর ধবংস নিশ্চিত

জাতীয়

হেলাল শেখঃ সারাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। সাবধান: ষড়যন্ত্রকারীর ধবংস নিশ্চিত। এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জহিরুল ইসলাম খাঁন লিটন ও জাতীয় দৈনিক ‘বাংলার চোখ’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ মুন্সী’র বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে আমারা সাংবাদিক সমাজ তাদের এই কর্মকান্ডের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জানা গেছে, প্রভাবশালী আমলা কামলাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ও অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিকরা তাদের কাছে খারাপ হয়ে যায়, তখন সাংবাদিককে অপমানজনক ভাবে বলা হয় সাংঘাতিক। কিছু ব্যক্তির পক্ষে তেলমারা সংবাদ প্রকাশ করলেই তাদের লোক হয়ে যায় এটাই কি সাংবাদিকতা?। প্রথম আলো’র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মতো অনেক সাংবাদিককে মামলা দিয়ে আটকের পর নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়। দৈনিক লাখোকণ্ঠের নিজস্ব প্রতিনিধি মাইনুল ইসলামকে এর আগে গত ৩ জুলাই ২০২০ইং ভোর রাতে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানা পুলিশ একটি মামলা দেখিয়ে মাইনুলকে গ্রেফতার করে। ডিইপিজেড আশুলিয়া রিপোর্টাস ক্লাবের আরও প্রায় ৪-৫ জন সদস্যকে এক এক করে গ্রেফতার হয়। এ দিকে আশুলিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক নাজমুল ইসলামসহ অনেক সাংবাদিক হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কখন যে কার উপর হামলা হয় আর মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হবে তা কেউ জানেন না। মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেক সাংবাদিক তার কোনো হিসাব নেই।
জানা গেছে, গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক আবুল কাশেমকে নিয়ে একটি কু-চক্র মহল বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। এ ব্যাপারে সাংবাদিক আবুল কাশেম বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি জিডি করেন,(জিডি নং ২১) তারিখঃ ০১/০৭/২০২০ইং। সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলা বন্ধ করতে হবে। এরপর সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) কে নিয়ে একটি মহল অনেক বড় ষড়যন্ত্র করে এবং বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। এছাড়া সাংবাদিকরা কলম ক্যামেরা নিয়েই রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করছেন, এখনও সময় আছে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা বন্ধ করার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।
সাংবাদিক কি? ১। সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক, ২। সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক, ৩। সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক, ৪। সাংবাদিক মানে জাতির দর্পন, ৫। সাংবাদিক মানে জাতির সেবক, ৬। সাংবাদিক মানে শিক্ষিত জাতি, ৭। সাংবাদিক মানে স্বাধীন, ৮। সাংবাদিক মানে সম্মানিত জাতি, ৯। সাংবাদিক মানে তদন্ত করা, ১০। সাংবাদিক মানে আইন বিষয়ে জানা। তবে কেন সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন, অবিচার, অত্যাচার?, কেন হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। কেন তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়?। সাংবাদিকদেরকে সরকার বেতন ভাতা দেয় না, কিন্তু ছোটখাটো ভুল করলে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয় কেন, এমনকি থানায় ডেকে নিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয় কেন। সরকারের কি সাংবাদিকদের প্রতি কোনো দায়দায়িত্ব নেই? সাংবাদিকরাও এই দেশের নাগরিক, দেশের গণমাধ্যম কর্মীর উপর বার বার কেন হামলা, মামলা করা হচ্ছে? ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখা যায়, সাংবদিকসহ অনেকেই হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। কোনো নাগরিকই এখন নিরাপদ নয়, এটা দুঃখজনক। দেশের কিছু এমপি, মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তারসহ যারা জনস্বার্থে কাজ করছেন, তাদেরকে তালিকা করা হোক। যারা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে তারা যতই শক্তিশালী হোক-তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। কেউ বলতে পারিনা কখন যে কার বিপদ হয় একমাত্র আল্লাহ জানেন। অর্থলোভী মানুষের মধ্যে বিবেক ও লজ্জা নেই বললেই চলে। এইসব লোভী ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়। প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর এতো অত্যাচার কেন? কোন খুঁটির জোরে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা করার সাহস পায় সন্ত্রাসীরা ?।
দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪জেলার/উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সংবাদদাতা লেখক তৈরি করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সবাইকে আহŸান জানাচ্ছি। এই দেশ, সমাজ ও পরিবার আপনার আমার সবার। তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যারা মানুষের সাথে প্রতারণা করে ভালো মানুষ সেজে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করে তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। সেই সাথে প্রকৃত সাংবাদিক ও লেখকদেরকে তালিকা করে বেতন ভাতাসহ সম্মানের সাথে বাঁচতে দেওয়া হোক। সরকারের কাছে একটাই দাবি-সাংবাদিক ও লেখকদের তালিকা করে তাদেরকে সম্মানি ভাতা দেওয়া হোক। আর কোনো সাংবাদিককে যেন কেউ সাংঘাতিক বলে অপমান না করা হয়, এ বিষয়ে সবাই সাবধান। সাংবাদিক কারো খেলার পুতুল নয়, সাংবাদিকতা মহান পেশা ও পবিত্র নাম সাংবাদিক। সাংবাদিকসহ যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। তবে সাংবাদিকদের বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকে অনেকেই, এর কারণও রয়েছে। সাংবাদিকরা কাউকে স্যার বললে তার বিষয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে লিখতে সমস্যা হতেই পারে তবে সাংবাদিকরা কখনো কাউকে স্যার বলা ঠিক না। কিছু নতুন সাংবাদিক হচ্ছেন যারা থানার একজন এসআই কে স্যার বলেন, কিন্তু আপনি কি ওই এসআই সাহেবের অধীনে চাকরি করেন যে, তাকে স্যার বলতে হবে? না আপনি কোনো অপরাধ করে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন যে, তাকে স্যার বলছেন? সাংবাদিকতা করতে হলে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বইসহ বেশি বেশি বই পড়া জরুরি। এ বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *