সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়ার বাইপাইল পুরাতন বাজার, মাছের আড়ৎ, ইউনিক বাজার, জামগড়া, ছয়তলা, বাংলাবাজার জিরাবো বাজার, কাঠগড়া বাজার, আশুলিয়া বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে নিষিদ্ধ পিনাহা (রাক্ষসী রূপচাঁদা), বিদেশী মাগুর ও সোনালী ইলিশের জাটকা মাছ অবাধে বিক্রি করতে দেখা যায়। কিছু এলাকায় মহাসড়ক ও সরকারি রাস্তা দখল করে বসেছে হাট-বাজার।
বুধবার (১৬ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাভার বাজার ও আশুলিয়া ইউনিয়নের আশুলিয়া বাজার ও বাইপাইল পুরাতন বাজার, মাছের আড়ৎ মাছ বাজারে নিষিদ্ধ পিনাহা (কথিত রূপচাঁদা মাছ) ও বিদেশী মাগুর মাছ এবং দেশ ও জাতির জাতীয় সম্পদ সোনালী ইলিশের বাচ্চা (জাটকা) ইলিশ মাছ অবাধে বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা। সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করায় গত ১২ বছরের তুলনায় চলমান দুই বছর হচ্ছে, মানুষ কম দামে ইলিশ মাছ কিনে খাইতে পারছেন বলে অনেকেই সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ইলিশের এই জাটকা মাছ বড় হতে দিচ্ছে না এক শ্রেণির জেলেরা, তারা নিষিদ্ধ কারেন্টজাল দিয়ে নদী ও সাগর থেকে ছোট মাছ ধরে বিক্রি করছে। এসব মাছ পাইকারী ব্যবসায়ীরা নিয়ে দেশের বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করছে, আর সেই নিষিদ্ধ মাছগুলো সেখান থেকে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
আশুলিয়ার বাইপাইল পুরাতন বাজার মৎস্য আড়ৎ এর মোঃ মুন্না নামের এক মাছ ব্যবসায়ী একাধিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে বলেন, তাদের সাথে আলোচনা করেই বাজারে ইলিশ মাছের জাটকা বিক্রি করছে। সূত্র জানায়, পিনাহা কথিত রূপচাঁদা ও বিদেশি মাগুর মাছ ও ১০ ইি র নিচে ইলিশের জাটকা মাছ ধরা, পরিবহণ কারা ও ক্রয়-বিক্রয় করা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। অনেকেই জানায়, সরকারী ভাবে এসব নিষিদ্ধ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সময়মতো অভিযান পরিচালনা না করায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ।
সাভার মৎস্য অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিদেশী মাগুর মাছ, পিনাহা (রূপচাঁদা) ও ১০ ইি র নিচে ইলিশর জাটকা মাছ ধরা, পরিবহণ করা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ। মৎস্য আড়ৎ ও হাট-বাজারে যদি এমন মাছ দেখা যায়, তাহলে আমরা অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরও বলেন, এর আগে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে জানানো হয়েছে, তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ইতিমধ্যে মাছের আড়ৎ এর সামনে কয়েকবার কয়েকটি গাড়ি রেকারিং করিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এক স্থানে রেকার রাখা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, সকালে অফিস ও বাজারের সময় চেষ্টা করি রাস্তা ফ্রী রাখার জন্য, একটি গাড়ি যদি রেকার করে জরিমানা করা হয়, সেই গাড়ি আর ওই স্থানে আসে না, আবার নতুন অন্য গাড়ি আসে, তাই শক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
মনিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল গণমাধ্যমকে বলেন, আসলে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে রাস্তা যেনো বন্ধ না করে সে জন্য আমি ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বাজার ও আড়ৎ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আশুলিয়ার জামগড়া ট্রাফিক বক্সের দায়িত্বে থাকা অফিসার ইনচার্জ (টিআই) সোহেল বলেন, সরকারি রাস্তা দখল করার সুযোগ নেই, তিনি বলেন, আমি আসার পর থেকে রাস্তায় যানজটমুক্ত রয়েছে। সকালে অফিস চলাকালীন সময় গাড়ির একটু চাপ থাকলেও পরে সাভাবিক ভাবেই গাড়ি চলাচল করে। আর রাস্তায় কোনো দোকানপাট বসলে আমি তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে থাকি বলেও তিনি জানান।
ট্রাফিক বিভাগের সাভার জোন এর ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ (টিআই প্রশাসন) মোঃ আব্দুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, মাছ বাজার, আড়ৎ এর লোকজন রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে সকালের দিকে। সেখানে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ থাকে, কিন্তু একজন পুলিশ সদস্য সেখানে সামলাতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের পক্ষে সেখানে একটি স্পেশাল টিম দেওয়া সম্ভব না।
