মোঃ হাফিজুল ইসলাম , ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে এখন বেশ জনপ্রিয়। শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য একসময় বাড়ির আঙিনায় চাষ করা হতো ফলটি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ভালুকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে পেঁপের। ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের পুড়ুরা গ্রামের ইঞ্জি: আব্দুল্লাহ আল তুহিন লাভবান হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন পেঁপে চাষে।সারি সারি পেঁপে গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে অসংখ্য পেঁপে। ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের পুড়ুরা গ্রামের ইঞ্জি: আব্দুল্লাহ আল তুহিন গড়ে তুলেছেন এই পেঁপে বাগান। তাঁর বাগানে টপ লেডি, রেড লেডি জাতের পেঁপে চাষ করা হয়। চারা, বীজ, জৈব সার, জমি প্রস্তুত এসব খাতে তার খরচ হয় ৩ একর জমিতে ৪ লাখ টাকা।
ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের পুড়ুরা গ্রাম। ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৪ কি.মি দ‚রে আকাবাক রাস্তা দিয়ে ডান দিকে মাটির রাস্তা ধরে একটু সামনে এগুলেই মিলবে এই গ্রামের দেখা। গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইঞ্জি: আব্দুলাহ আল তুহিন। লেখাপড়া বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং টেক্সটাইল। পৈত্রিক জমি দেখাশোনা আর স্থানীয় ব্যবসায় শুরু হয় কর্মজীবন।
বর্তমানে পেঁপে চাষে ইঞ্জি: আব্দুল্লাহ আল তুহিন হয়ে উঠেছেন ভালুকার মডেল। তার সফলতা দেখে গ্রামের অন্যরাও পেঁপে বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তার গাছগুলোতে অসংখ্য পেঁপে ধরেছে। প্রতিটি গাছে ২০-২৫টি পেঁপে শোভা পাচ্ছে। একেকটি পেঁপের ওজন দুই-আড়াই কেজি। তার এই সফলতা দেখে গ্রামের অন্য কৃষকরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
এছাড়াও সাথী ফসল হিসেবে বাগানের ভেতরে আদা চাষ করে এ পর্যন্ত ৬ মণ বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তুহিন জানান, মাকড়সা ও ছত্রাক ছাড়া পেঁপে বাগানে তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলে ফেলা যায়। পেঁপে চাষে অর্থনৈতিকভাবে সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের অনেক বেকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তিনি মনে করেন, শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি চাষে অগ্রসর হয় তাহলে তারাও লাভবান হবে।
পুড়ুরা গ্রামের খাদিমুল ইসলাম জানান, তুহিন শিক্ষিত ছেলে। সে হঠাৎ করেই মাঠে পেঁপে চাষ শুরু করে সফল হয়েছে। তার চাষ দেখে আমাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই পেঁপে চাষ করার পরিকল্পনা করছে।