হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ১০মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ শ্রমিকদের ৩-৫ মাসের বেতন বকেয়া রেখে এমডি কর্তৃক শ্রমিকদেরকে হুমকিসহ নানারকম অভিযোগ।
ঢাকার আশুলিয়া থানার অভিযোগ সূত্রঃ অভিযোগকারী মোঃ হায়দার বলেন, আমি ও মোছাঃ রূপালী, মোছাঃ রোকছানা, মোছাঃ লাবনী, মোছাঃ আজিজা খাতুন, মোছাঃ স্বপ্না বানু, বর্তমান সর্ব সাং আশুলিয়া থানার পূর্ব জামগড়া বটতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করি, আর প্রিন্টিং অফিসে কাজ করি। আমি আশুলিয়া থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিয়েছি যে, আমরা সবাই আর, এম, এ প্রিন্টিং এন্ড ডিজাইন এ কর্মরত আছি এবং এর মধ্যে মোছাঃ রুপালী ১০ মাসের গর্ভবতী। তিনি আরও বলেন, আর, এম, এ প্রিন্টিং ডিজাইনের এমডি বিবাদী -১। মোঃ মিজানুর রহমান আমাদের ৩-৫ মাসের বেতন/ওভারটাইম/ হাজিরা বোনাসের টাকা দিচ্ছেন না। আমাদের পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বললে বিভিন্ন তারিখ দেওয়া হয়, কিন্তু তার পরিপেক্ষিতে বিবাদীর তারিখ অনুযায়ী উক্ত অফিসে হাজির হইলে আমাদের টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে আমরা অফিসের সামনে গিয়ে টাকা চাইলে আমাদের হুমকি/ধামকি দিয়ে অফিসের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেয় এমডি। এমতাবস্থায় আমাদের ৩-৫ মাসের রুম-বাসা ভাড়া বাকী/দোকান বাকীসহ আরো অন্যান্য অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির সম্মক্ষীন হই এবং মানসিক ও শারীরিক ভাবে চাপে পড়েছি। আমরা এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই, দয়া করে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত¡া রুপালী’র বিষয়টি আপনারা একটু মানবিকভাবে দেখবেন।
এ ব্যাপারে আর, এম, এ প্রিন্টিং এন্ড ডিজাইন এর এমডি মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখন কাজ নেই তাই বেতন দিতে পারছি না। তিনি দাবী করেন, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়া অনেকেই কাজ ছেড়ে চলে গেছে, এখন আমার কিছুই করার নেই।
উক্ত বিষয়ে আশুলিয়া থানার (এসআই) সুব্রত নয়ন বলেন, বাদী পক্ষকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন, আমি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরও বলেন, অপরাধী সে যেই হোক না কেন, তাকে আটক করে আদালতে হাজির করা হবে।
