ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থানার আওতাধীন ও গোরাট এলাকায় তিতাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০০ হাজার বাসা বাড়ির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।
বুধবার (৫ জুন ২০২৪ইং) সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়েছেন তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। আশুলিয়ার গোরাট পাকার মাথা থেকে বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়েছে।
উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সাভার তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা আশুলিয়া তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (বিপণন) আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রায় ৫০ জনের মতো শ্রমিক এ অভিযানের কাজে অংশ গ্রহণ করেন।
আশুলিয়া তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (বিপণন) আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আশুলিয়ার তিতাস অফিসের আওতাধীন গোরাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ৮-১০টি পয়েন্টে প্রায় ১০০০ হাজার বাসা বাড়ির প্রায় ৩ কিলোমিটার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় তিনি আরো বলেন, গ্যাস সংশ্লিষ্ট আইনের যতগুলো ধারা আছে আমরা সবগুলো ধারায় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কি ধরণে পদক্ষেপ নিলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থামানো যাবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্যাস আইন ২০১০, তিতাস গ্যাস বিপণন আইন ২০১৪ এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনের আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তার সর্বোচ্চ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারপরেও আইনি দুর্বলতার সুযোগে এই গ্যাস ব্যবহারকারীরা বারবার অবৈধ সংযোগ দিচ্ছে। জনগণের ভেতরে যে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাস চুরি, বড় ধরনের অপরাধ জনজীবন ও জান মালের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি, যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, প্লাস্টিকের পাইপসহ ২ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে অবৈধ সংযোগ নিয়েছে অনেকেই, এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, যেকোনো সময় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের জান মালের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি, এগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা থাকা দরকার। এ ধরনের অপরাধ বারবার না করে, আমাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে এই অবৈধ সংযোগ না দেয় , তার জন্য যত ধরনের পদক্ষেপ আছে আমরা নিবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া জোনাল অফিসের উপ-ব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান সহ আরো অনেকে। এ সময় যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিলো। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, উক্ত বিষয়ে মামলা রেকর্ড করা হবে।