ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে গণ সমাবেশ করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক। মামুনুল হক এ সময়ে বলেন ইসকন কে আদালত নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হলে দেশের আলেম সমাজ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সারা দেশে। মামুনুল হক বলেন একজন আইনজীবীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছেন ইস্কনরা। উস্কানি সৃষ্টি করে সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানান ভাই এরকম সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পা না দিয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকার জন্য বলেন তিনি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর ২০২৪) বাদ আসর ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশ করেন। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা তুলে ধরেন। তিনি একই সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ” আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের তাওহীদি স্টিম রোলার চালিয়ে নিষ্পেষিত করে গুম খুনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছেন। এ সময় তিনি আরো বলেন ইসলামী জনতা ও আলেম সমাজ সব থেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২০১৩ সালে ৫ই জুলাই মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের নেতা কর্মীদের উপর লক্ষ্য লক্ষ্য গুলি বর্ষিত করে রাধারে পাখির মত গুলি করে মারা হয়েছিল বলে জানান মামুনুল হক। বিগত এপ্রিল মাসে ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছিল সেই ঘটনার সঠিক বিচার হলে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আদালত চত্বর আইনজীবী হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটতে পারত না। আমরা ইস্কনের বিরুদ্ধে বারবার কথা বলছি, সতর্ক করেছি তবুও ফ্যাসিবাদী সরকার সজাগ হয়নি। তাইতো এবার সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইস্কন কে নিষিদ্ধ করার। যদি আদালতে ইস্কন কে নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমাদের দেশের আলিম সমাজে লোকেরাই ইস্কনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘ শেখ হাসিনার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণে করে পেটুয়া বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছিল। শেখ হাসিনার রাজনীতি শুরু করেছিলো এদেশ কে শেষ করে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন ‘ ৩০হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুর কাজ দেখিয়ে ২০হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। এরকম বড় বড় মেগা প্রকল্প থেকে ২-৩ গুণ থাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এখন ইস্কনকে লেলিয়ে দিয়ে দেশে দাঙ্গা সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছেন। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে কামরুল হক বলেন, ‘ দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে অতি দ্রুত নির্বাচন দেয়ার জন্য। এবং বক্তৃতার মাঝে কয়েকজনের হাতে আগামী নির্বাচনের জন্য রিক্সা প্রতীক তুলে দেন। জনগণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এর সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলার প্রধান উপদেষ্টা সাইকুল হাদিস আল্লামা শাহ আকরাম আলী, অপরুপদেষ্টা সাইকুল হাদিস আল্লামা হেলাল উদ্দিন সাহেব, উপদেষ্টা সাইফুল হাদিস আল্লামা আবুল হোসেন। এছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহামাদ,মুফতি শারাফাত হোসেন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন,সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা সোবাহান মাহমুদ, সহ-সভাপতি মুফতি মাহমুদ হাসান কায়েফ,মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাসান জলিল।গণসমাবেশের সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আজাদ হোসাইন সভাপতি বাংলাদেশ খেলা পর খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখা ও ছিলেন মুফতি আবু নাসের খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক।