আরিফ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বরাবরের মতোই গরু হৃষ্টপুষ্ট করতে ব্যাস্ত সময় পার করছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খামারিরা। প্রাকৃতিক পরিবেশে খামার বা বাড়ীতে পারিবারিক আদলে গরুকে লালন পালন করছেন তারা।
প্রচন্ড তাপদাহে মানুষের মত গরুকেও দিনে দুই থেকে তিন বার পানি দিয়ে এমন ভাবে গোসল করাতে হচ্ছে। সাথে কাঁচা ঘাস, ছোলা, ডাল, ভুট্রা, সাবুদানা, খড়সহ নানা গোখাদ্য খাওয়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা। প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুতকৃত এসব গরু আসন্ন কোরবানীর ঈদের বিক্রি করবেন ভালো দামে। একেকটি গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন ২ থেকে ৫ লাখ টাকা করে।
পবিত্র ঈদুল আযহা ২০২৪ উপলক্ষে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে
হৃষ্ট-পুষ্টকরণ গবাদিপশুসহ কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা (প্রাপ্যতা)
ষাঁড়-১৮৮৯৮ বলদ-৩৫৭০ গাভী-২৯৩৮ মহিষ-২৪৬৯
ছাগল -৭৯১৪৭ ভেড়া-৮০৫৪ অন্যান্য -৭। যা সর্বমোট যোগ করলে যোগফল দারায় ১১৫০৭৬। অন্যদিকে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর চাহিদা ১১২৯৪২ এখানে উদ্বৃত্ত থাকছে ২১৩৪
গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শায়লা শারমিন জানান আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় হৃষ্ট-পুষ্টকরণ গবাদিপশুসহ কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা চাহিদার তুলনায় বেশি আছে । এবার এই উপজেলায় খামারিদের কাছে কুরবানীযোগ্য ভালো জাতের গবাদি পশু আছে যা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করবে।
কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার হাজার গবাদিপশু উপজেলার বাহিরে বিক্রিয় করা যাবে বলে জানান তিনি ।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস জানান
ভারতীয় গরু না আসলে এবার ভালো দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা এখানকার খামারীদের ।
গোদাগাড়ীতে বিখ্যাত ষাঁড় গরুর পাশাপাশি ছাগল পালন করা হয়। ইতিমধ্যে গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী পশুরহাটে ছাগল বেচাকেনা শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা কোরবানি পশু কেনার জন্য এখানে আশে।
অন্যদিকে গোদাগাড়ী উপজেলার গরু খামারিরা ন্যায্য মূল্য বেশি মূনাফা লাভের আশায় গাড়িতে করে গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের নামকরা পুশুর হাট রাজশাহী সিটি হাটে। এই হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু কিনতে আশে ক্রেতারা যা ইতিমধ্যেই কুরবানী গবাদিপশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে।