শাহিন আহমেদ চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় হামুনে চট্টগ্রামের ৬ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুই নারী নিহত ও আনুমানিক ৮৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছে।চট্টগ্রামের সঙ্গে বাঁশখালীর সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। কক্সবাজার এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে সেটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। চট্টগ্রামে জেলা ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ‘উপকূলীয় ছয় উপজেলা বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড এবং কর্ণফুলী উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র পেয়েছি। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়ায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে গাছচাপায় ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সাতকানিয়ায় আরও একজন নিহতের তথ্য পেলেও বিস্তারিত কিছু এখনও তারা জানতে পারেননি। বিভিন্ন ইউনিয়নে বিধ্বস্ত ঘর, উপড়ে পড়া গাছপালার চাপায় ৮৫ জনের মতো আহত হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানিয়েছেন, উপজেলার বিভিন্নস্থানে গাছ পড়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মূল সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। সরল ইউনিয়নে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে। চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ছাড়া সকল উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ চট্টগ্রামে তাদের অন্তত ৮১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাঁশখালীতে সবচেয়ে বেশি ৩১টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।