শাহীন আহমেদ
ভিকটিম মোঃ জসিম (২৬) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টিজি কলোনীস্থ আরমান বিল্ডিংয়ের ইনচার্জ হিসাবে কর্মরত ছিল এবং পাশাপাশি আনন্দ বাজার চান্দারপাড়া সিটি কর্পোরেশন এর ময়লার ডিপো হতে ডাম্পিংকৃত বর্জ্য থেকে বোতল এবং প্লাষ্টিক জাতীয় দ্রব্য কুড়িয়ে অন্যত্র বিক্রয় করে আসছিল। মোঃ সোহাগ প্রকাশ বড় সোহাগ ভিকটিমকে বর্ণিত ডাম্পিংকৃত এলাকা হতে বোতল না কুড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ২০২০ ঘটিকায় ভিকটিম মোঃ জসিম দৈনন্দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় মোঃ সোহাগ প্রকাশ বড় সোহাগ এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে টিজি কলোনীর প্রবেশ মুখের পাকা রাস্তার উপর ভিকটিমকে হত্যার উদ্দশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং গলার বাম পাশে ছুরিকাঘাতকরে গুরত্বর রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থ থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করে।
উক্ত ঘটনায় নিহত ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানায় ১৩ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ সোহাগ প্রকাশ বড় সোহাগ কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন পশ্চিমগাঁও এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ এর যৌথ আভিযানিক গত ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ২১০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ সোহাগ প্রকাশ বড় সোহাগ (২৭), পিতা-মোঃ লোকমান, সাং- চান্দারপাড়া, থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার ০৩নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামী এবং উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।