কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়।তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অন্তর্বতীর্কালীন সরকারের দূরত্ব বাড়লে সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে পারে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোকেও জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে তাদের আশা আকাঙ্খার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। শুধু নির্বাচন দিলেই সকল সমস্যার সমাধান হবে না। এখনো বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে দেশি-বিদেশি শক্তি তাদের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সংখ্যালঘু ধমীর্য় কার্ড ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে এই সব অপশক্তিরা। তবে আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে দেশকে ধ্বংস করে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে তাদের বাংলাদেশের মানুষ অতি সহজে গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না। তাই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত রাজনীতি অন্ধকার।তিনি বলেন, এই দেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল পতিত সরকার। বাংলাদেশে শতভাগ ভোট পেয়েও নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের ভোট প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে। পতিত সরকারের অধীনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাকশালী কায়দায় একতরফা নির্বাচন হয়েছিল। আমি আর ডামি, দিনের ভোট রাতে ও একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বন্দুকের নলে নিবার্চন কালে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ছিল। যাতে ভিন্ন মতের কেউ নির্বাচনের মাঠে আসতে না পারে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে ভোটকক্ষে ডাকাত ছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ডাকাতরা নিজের ইচ্ছা মতো সিল মেরে পতিত সরকারের পক্ষে ভোটের বাক্স ভরেছে। তাই গত তিনটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের সহযোগিতাকারী নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনী অপরাধের সাথে যুক্ত সকল অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ করেন—১) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শেষ করার পর দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা ২) জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার শঙ্কা রয়েছে; তাই স্থানীয় সরকার নয়, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা ৩) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে বিগত কয়েকটি নির্বাচনের যেসব কমিশন ও প্রশাসনের ব্যক্তিরা নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে সরকারকে গাইডলাইন প্রদান করা ৪) নির্বাচনে পেশীশক্তি, টাকার ব্যবহার ও নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধে করণীয় সম্পর্কে কমিশন সরকারকে দিক নির্দেশনা প্রদান করা ৫) দুনীর্তিবাজ, অর্থপাচারকারী, ঋণখেলাপিরা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকরতে না পারে তার উদ্যোগ নেওয়া ৬) আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে আমাগী নির্বাচন পর্যাবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া ৭) নির্বাচনকালীন সময়ে সন্ত্রাস, ভীতি সঞ্চার, বা অন্য কোনো ধরণের নির্বাচনী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া ৮) যেসব আইনের দ্বারা নির্বাচনকালীন সময়ে গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশনে বাঁধার সম্মুখীন হতে পারে সে আইন বাতিল করা ৯) সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নবগঠিত কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোসহ নাগরিক সংগঠনের সাথে এজেন্ডা ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা ১০) নির্বাচন কমিশনকে সকল মতভেদের উর্ধ্বে থেকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কোন চাপে মাথানত না করা।ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে 'সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ে প্রার্থীসহ জনগণের ভূমিকাই বেশী' শীর্ষক ছায়া সংসদে কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে তেজগাও কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক একরামুল হক সায়েম, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক মশিউর রহমান খান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
নিবার্হী সম্পাদকঃ দেওয়ান ওমর ফারুক, সহ-সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন সজল, মোঃ আবুল কাশেম
অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা), মতিঝিল কমার্শিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০
রেজিস্ট্রি অফিসঃ চৌকস ভবন, চরকালিগন্জ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা -১৩১০.
ফোনঃ+8802226639847, মোবাইলঃ 01716127811, 01678741000, ইমেইলঃ choukasinfo21@gmail.com