মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসলেও, তাদের ভিসা নীতিসহ কোনো ইস্যুকেই আমরা কেয়ার করি না। তিনি কোনো মন্ত্রীও নন, তাকে নিয়ে এত মাতামাতি কেন? তাকে আমরা নিমন্ত্রণ করে আনছি না, তারা তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে এদেশে আসেন। সম্পর্ক থাকলে আসতে হয়।
বিএনপি তাদের সমমনাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে জোর দিয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধালণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বয়কটের আন্দোলন তাদের ব্যর্থ চেষ্টা। বিএনপি’র কোন নেতাই ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে টেস্ট কেস দেখলাম। এটা কি সম্ভব! ভারতীয় মসলা ছাড়া কি চলে! শাড়িসহ আরো অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আছে আনতে হয়। আমার মনে হয়, এটা বিএনপি’র উদ্ভট চিন্তা, ব্যর্থ চেষ্টা। আসলে সব হারিয়ে বিএনপি এখন খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়। তাদের কোন ইস্যু নেই। এখন ভারতীয় পণ্যকে ইস্যু করে নিয়েছে। বাংলাদেশের কাছে এটা নন ইস্যু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্তত নেই। সম্প্রতি ঢাকায় তাদের দুটি সমাবেশও ফ্লপ হয়েছে। তাদের কর্মীরা হতাশ, তারা তাদের নেতাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিষয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তব-সম্মত নয়। পৃথিবীর কোন দেশেই মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের নজির নেই। প্রতিবেশী দেশে ৫ শতাংশ পর্যন্ত নজির আছে। বাংলাদেশে এর যৌক্তিকতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
ঢাকায় গণপরিবহনে লক্কর ঝক্কর বাস অপসারণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, চলাচলে অযোগ্য লক্কর ঝক্কর বাসগুলো ডাম্পিং করা হবে। তবে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে যেগুলো একরকম চলে সেগুলো এখনই ডাম্পিং নয়। ইলেকট্রিক বাস আমদানি নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রিক বাসের কথা আমরা বিবেচনা করছি। ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আগ্রহ আছে সরকারের।