হেলাল শেখ— বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা—১৯ আসনে একটি ওয়ার্ডে ২জন এমপি প্রার্থীসহ সকল প্রার্থীর প্রচারণা জমে উঠেছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার সাথে ত্রি—মুখী ভোটের লড়াই বিভিন্ন খেলা শুরু হয়েছে বলে জনগণের অভিমত।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের আবারও ঢাকা—১৯ আসনের এমপি আলহাজ্ব ডাঃ এনামুর রহমান সাভার আশুলিয়ায় নৌকা মার্কা পেয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে মাঠে জনগনের কাছে ভোট চাইছেন। অন্যদিকে (সাভার—আশুলিয়া) ঢাকা—১৯ এর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল পাখি মার্কায় প্রচারণা চালাচ্ছেন, অন্যজন আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ট্রাক মার্কা প্রচারণা চালাচ্ছেন, সেই সাথে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া নোঙর মার্কা, অন্যজন ঢাকা কোর্টের অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল হাসান (তুষার) মোল্লা সোনালী আঁশ মার্কা। এ ছাড়া এই আসনে অন্যান্য এমপি প্রার্থীদের প্রচারণা চোখে পড়ছে না।
জানা গেছে, নৌকা, ঈগল ও ট্রাক মার্কা প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে শোডাউন করায় এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০০৮—এর ৬ (ঘ) এবং ৮(ক) বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। এই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি বর্তমান স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহ্জ্ব মোঃ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ সাহেব গত মঙ্গলবার ঢাকা—আরিচা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ও জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করে সভা করেন। এ ব্যাপারে ঈগল পাখি মার্কা প্রার্থী মুরাদকে শোকজ করা হয়। এ বিষয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার মাধ্যমে পেয়েছেন নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
এ ছাড়া বিধিমালা লঙ্ঘনের বিষয়ে তৌহিদ জং মুরাদের বিরুদ্ধে একটি নোটিশ দেয়া হয়। এই নোটিশে বিধিমালা লঙ্ঘনের কারণে কেন নির্বাচন কমিশনে তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পাঠানো হবে না এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না সে বিষয়ে আগামী ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকা—১৯ (সাভার—আশুলিয়া) আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ জাকির হোসেনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উক্ত ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মোঃ তৌহিদ জং ওরফে মুরাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
গত শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার সময় আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র ট্রাক মার্কা প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমের সামনে বলেন,আমার পোস্টার সাভার পৌরসভায় লাগানো হচ্ছিল। তখন (প্রতিমন্ত্রী) মহোদয় নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উনি গাড়ি থেকে নেমে একটি গালি দিয়ে উনার ক্যাডারদেরকে বলেছেন, এদের পিটাও এবং পোস্টার সব ছিঁড়ে ফেলো। উনি এটা নিজে করেছেন বলে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী অভিযোগ করেন।
ঢাকা—১৯ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি বর্তমানে (স্বতন্ত্র) ঈগল মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, রানা প্লাজা ভেঙে পড়েছে, আমি ওই ভবনের মালিক নয়, আমি ভবন তৈরিও করিনি, তাহলে আমার দোষ কোথায়?, সাভারের শিমুলতলা আমার ঈগল মার্কার অফিস উদ্বোধন করার দিন হাজার হাজার জনগণ আমাকে ভালোবেসে একনজর দেখার জন্য সেখানে আসেন, এখানে আমার কোনো দোষ ছিলো না।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ঢাকা—১৯ আসনের এমপি এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ—সভাপতি বর্তমানে নৌকা মার্কার এমপি প্রার্থী আলহাজ্ব ডাঃ এনামুর রহমান এনাম সাহেবের মোবাইল ফোন নাম্বারে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। পুনরায় আবারও মোবাইলে কল দিলে তিনি তার গানম্যান পুলিশ অফিসার (এসআই) মুরাদ সাহেবকে দিয়ে কথা বলিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানান। অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন যে, ঢাকা—১৯ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা ও তিন গ্রুপের পৃথক বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর কারণ হলো, আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা, (স্বতন্ত্র) ঈগল মার্কা ও ট্রাক মার্কার এই তিন প্রার্থীই শক্তিশালী অবস্থানে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন। পর্ব—১।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম, নিবার্হী সম্পাদকঃ দেওয়ান ওমর ফারুক
সহ-সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন সজল, সহ-সম্পাদকঃ মোঃ আবুল কাশেম
অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা), মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০, রেজিস্ট্রি অফিসঃ চৌকস ভবন, চরকালিগন্জ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা -১৩১০.
ফোনঃ+8802226639847, মোবাইলঃ 01716127811, 01678741000, 01711280916, ইমেইলঃ choukasinfo21@gmail.com