এম.এম কামালঃ এককালের প্রমত্তা ডাকাতিয়া নদীর তীরে ফরিদগঞ্জে জমিদারদের নির্মিত সাতশ’ বছরের পুরানো লোহাগড় মঠ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিন পর এ মঠের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিলো। ইতেমধ্যেই তিনটি মঠের একটি মঠ পূর্ণাঙ্গ এবং অপর দুটি সামান্য সংস্কার হয়ে নূতন রূপ পেয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মতে, তাদের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে মঠগুলোসহ পুরো এলাকা দৃষ্টিনন্দন হবে। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, মঠ সংরক্ষণের পাশাপাশি ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগ কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) বিদ্যুৎ চন্দ্র দাস জানান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে লোহাগড়ের তিনটি মঠের মধ্যে একটির পূর্ণাঙ্গ এবং বাকি দুটি কিছুটা সংস্কার হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রয়ারি থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এর কাজ চলমান ছিলো। চলতি অর্থ বছরে নতুন বরাদ্দ পেলে বাকি দুটি মঠের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে। এছাড়া মঠ ঘিরে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। মঠের চারপাশে বাউন্ডারি দেয়াল, ফুলের বাগানসহ নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে এটি দৃষ্টিনন্দন হবে এবং ভ্রমণপিপাসুদের তৃষ্ণা মিটবে।লোহাগড়ের মঠ দেখতে আসা কয়েকজন পর্যটক জানান, এ মঠের ঐতিহ্য এবং ইতিহাস জেনে আমরা এসেছি। দেখতে ভালোই লাগলো, কিন্তু একেবারেই নির্জন এলাকা এবং এখানে কোনোরকম শৌচাগার ও পানির ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। আশপাশের পরিবেশ নোংরা থাকার কারণে এবং নিরাপত্তা না থাকায় নিজেকে একেবারেই অনিরাপদ মনে হচ্ছে।এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেন, লোহাগড় মঠ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।