নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিগত সরকার আমলে অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবহার, একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা, নানা অপরাধে দেশের বিভিন্ন আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হলে ও সারোয়ার কামাল বুলবুল রয়েছে অধরা। স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে গ্রেফতার ।এড়িয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। চাকুরীতে থাকা কালীণ সময়ে প্রতারণা, নারী নির্যাতন, মহিলা সহকমীর্দের কুপ্রস্তাব দেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যুবলীগের নেতা পরিচয়ে সারোয়ার কামাল বুলবুল এতোদিন অপরাধ করে ও পার পেয়ে গেছে।
সরকার পরিবর্তনের পর যুবলীগ, আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা গা ঢাকা দিলে ও কালাম সারোয়ার বুলবুল চলছে নিজেকে কিছুটা আড়াল করে। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে গোপনে সখ্যতা গড়তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে।
একটি সূত্র জানায়, এতোদিন দেশের বিভিন্ন আদালত থেকে সারোয়ার কামাল বুলবুলের উপর জারী হওয়া ওয়ারেন্ট সু কৌশলে গোপন রাখা হয়েছিলো। স্থানীয় লোকজন জানলেও যুবলীগ নেতা হওয়ায় প্রকাশ্যে বিষয়টি আলোচনা করতে ভয় পেতো। এখন তাদের মুখ খুলতে শুরু হয়েছে। মানুষ জানতে চায় সারোয়ার কামাল বুলবুলের বিরুদ্ধে জারী হওয়া ওয়ারেন্ট গুলোর কী হয়েছে। ক্ষমতার প্রভাবে সে কী এসব ধামাচাপা দিয়েছে এমন প্রশ্ন এলাকা বাসীর মুখে মুখে।
সূত্র মতে কথিত যুবলীগ নেতা কালাম সারোয়ার বুলবুল এর বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চাঁদপুর হতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয় ২০২০ সালে যার মামলা নং—৫২৩/২০২০, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কুষ্টিয়া থেকে আরো একটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়, যার মামলা নং—২৭২/২০ একই বছর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জয়পুর হাট থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়, মামলা নং—৪৮০/২০২০। গ্রেফতারী পরোয়ানাগুলো নরসিংদী কোর্ট পুলিশের মাধ্যমে নরসিংদী সদর থানায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতারণা, নারী নিযার্তন, চুরিসহ একাধিক অপরাধের ধারায় তার বিরুদ্ধে এসব গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন সংশ্লিষ্ট আদালত।
সারোয়ার কামাল বুলবুল একজন পেশাধার অপরাধী না হলে কীভাবে সে গ্রেফতার এড়িয়ে চলছে এমন জনশ্রতি রয়েছে। অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকা বাসী। সেইসাথে তার জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের বিষয়েও দুদকের অধিকতর তদন্ত হওয়া দরকার।
উল্লেখ্য চাকুরী কালীন সময়ে কালাম সারোয়ার বুলবুল বিগত সরকার আমলে দলীয় প্রভাবে জেলা ব্যাপী গড়ে তুলে তার অপকর্মের নেটওয়ার্ক। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বার্ষিক শারিরিক ফিটনেস সার্টিফিকেট থেকে অর্থ আদায়। জেলা ব্যাপী শতাধিক ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর লাইসেন্সের নামে এক কালীন, এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসিক ফি আদায়। আদালতের মামলার বিষয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট বাণিজ্য সহ নানা অপকর্ম ও দুণীর্তিতে জড়িয়ে ছিলো কামাল সারোয়ার বুলবুল। দুণীর্তির মাধ্যমে নরসিংদী শহরে চারতলা বিল্ডিংসহ একাধিক বাড়ী, বিভিন্ন মার্কেটে দোকানপাট ক্রয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাড়ী, ও শহরতলী এলাকায় নামে বেনামে মূল্যবান জমির মালিক বনে যায়। তার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের পরিমান শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র।
সম্প্রতি একাধিক মিডিয়ায় বুলবুলের নানা অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ হলে অনেকটা গোপনে জেলা সিভিল সার্জন অফিস, জেলা সদর হাসপাতাল, জেলা ১০০শত শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সহ উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে কামাল সারোয়ার বুলবুল। অনেক অফিসে প্রভাব খাটাতে গিয়ে সেখানের কর্মচারীদের বাধাঁর মুখে পড়তে হয় তাকে।
ইতোপূর্বে কালাম সারোয়ার বুলবুলের নানা অনিয়ম, দুনীর্তি, টেন্ডারবাজি, সার্টিফিকেট বাণিজ্য, তদ্বির ও নারী কেলেঙ্কারীর বিষয়ে স্থানীয় —জাতীয় ও অন লাইন মিডিয়ায় একাধিক সংবাদ প্রচার হয়। তার পরেও র্নিলজ্জ বুলবুল দলীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে করে যাচ্ছে নানা অপকর্ম, হয়ে উঠে নরসিংদী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মুর্তিমান আতংক।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
নিবার্হী সম্পাদকঃ দেওয়ান ওমর ফারুক, সহ-সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন সজল, মোঃ আবুল কাশেম
অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা), মতিঝিল কমার্শিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০
রেজিস্ট্রি অফিসঃ চৌকস ভবন, চরকালিগন্জ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা -১৩১০.
ফোনঃ+8802226639847, মোবাইলঃ 01716127811, 01678741000, ইমেইলঃ choukasinfo21@gmail.com