নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট আসামি সাক্ষ্য দিয়েছেন। জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খালেদার আইনজীবী। এ মামলায় ৬৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী আহসানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। আসামিদের আইনজীবী তাদের জেরা করেন। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। সাক্ষীরা হলেন পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মো. মকবুল ই এলাহী, পেট্রোবাংলার সিনিয়র ম্যানেজার মো. আবদুল খালেক, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সৈয়দ সাজেদুল করিম, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সহকারী সচিব রওশন আক্তার সিদ্দিকী। মোতাহার হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কোহিনুর নাহার, নুরুন আখতার। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভূইয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রায় 13 হাজার 777 কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন করেন। মামলার অন্য সাত আসামি হলেন প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর মইনুল ইসলাম। হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং কাশেম শরীফ, NICO-এর দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট। এদের মধ্যে কাশেম শরীফ, মীর মইনুল হক ও কামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব ড. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তারা মামলা থেকে খালাস পান।