হেলাল শেখঃ সাংবাদিকদের প্রকৃত সাংবাদিকতায় কোনো সংগঠন লাগেনা। সংগঠন লাগে তখনই যখন কোনো সাংবাদিকের উপর নৃশংস হামলা ও মামলা হয়। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে সেক্ষেত্রে ভালো হয়। কিছু পুলিশ সদস্য কতৃর্ক সাংবাদিকদেরকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বা থানায় ডেকে আটক দেখিয়ে চুরি, ডাকাতি বা চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হয়। “সাংবাদিকরাতো কোনো চোর বা ডাকাত নয়” তাদেরকে কেন এই সমস্যা হবে তা জাতি জানতে চায়, এ বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা কি?।
বিশেষ সাংবাদিকরা নিজেদের মধ্যে শক্রতা সৃষ্টি করার কারণে অন্যরা সুবিধা পায়। দেশের বিভিন্ন থানার কিছু পুলিশের স্বার্থে আঘাত লাগলে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দেয়, তাই বলে কলম থেমে থাকে না। কিছু পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজি ও ফিটিংবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করছে আর সেই বিষয়ে সাংবাদিক যাতে সংবাদ প্রকাশ করতে না পারেন সেজন্য ষড়যন্ত্র করে মামলা দেয়া হয়ে থাকে, সাংবাদিককে আটকের পর তার কাছে থাকা কলম ক্যামেরাসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে থাকে কিছু পুলিশ অফিসার। এরপরও যদি প্রকৃত সাংবাদিক আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়, তাকে আবার সাজা দেওয়ার জন্য মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করে আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার কৌশল করা হয়। তবে সব সাংবাদিক বা সব পুলিশ খারাপ না। মানবিক পুলিশ সদস্য ও মানবিক প্রকৃত সাংবাদিক আছেন বলেই মানুষ আইন আদালতের প্রতি সম্মান করেন।
বিশেষ করে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে বিভিন্ন হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। কেউ আবার নিজেদের অনেক বড় সাংবাদিক মনে করে অহংকারে মাটিতে পা রাখতে চায় না, এর কারণে আরো জটিলতা বাড়ছে। সারাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হলে থানা পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাংবাদিক সবাইকে সচেতন হওয়াসহ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। প্রকৃত সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে কাজ করেন। সাংবাদিক কতো প্রকার? তার হিসাব নাই। এবার ১ থেকে ১৬ প্রকার সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে। ১। সাইনবোর্ড সাংবাদিক, ২। আইডিকার্ড সাংবাদিক, ৩। ভুয়া সাংবাদিক, ৪। প্রেসক্লাব সাংবাদিক, ৫। বহুমাত্রিক সাংবাদিক, ৬। কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক, ৭। দলীয় সাংবাদিক, ৮। ভবিষ্যতদ্রষ্টা সাংবাদিক, ৯। মৌসুমী সাংবাদিক, ১০। শখের সাংবাদিক, ১১। অপসাংবাদিক, ১২। স্বার্থপর সাংবাদিক, ১৩। বি ত সাংবাদিক, ১৪। লাঞ্ছিত সাংবাদিক, ১৫। কাঙ্খিত সাংবাদিক, ১৬। প্রকৃত সাংবাদিক।
সাংবাদিকরা প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করে যাচ্ছেন। তবে সেই ত্যাগী সাংবাদিকরা কি পাচ্ছেন? কেন সাংবাদিকতায় আসছেন বেকার মানুষগুলো? সত্যি কথা বললে বা সংবাদ প্রকাশ করলে সেই সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা ও হামলা করা হয়। সাংবাদিক কোনো চোর ডাকাত নয়, বা বড় দুর্নীতিবাজ নয় যে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে সাজা দিতে হবে। সূত্র জানায়, সারাদেশেই নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সুষ্টি করছে কিছু পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক। তারা ১ থেকে ১৬ প্রকার সাংবাদিক কিন্তু কিছু পুলিশ সদস্যের নাম্বার নাই দিলাম। সেই সাথে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা, আশুলিয়া থানা, মিরপুর থানা, বরিশাল ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানাসহ সারাদেশে প্রায় অনেক থানায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক, সেই অর্থে সাংবাদিকরা কেন অপহেলায় অপমানিত হচ্ছেন? কেন হয়রানি করা হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে। অর্থ ও স্বার্থের জন্য মানুষ যদি অমানুষের পরিচয় দেন এটা খুবই লজ্জাজনক। সাংবাদিকদের পেশা যেন মানুষের সেবা করাই তাদের একমাত্র ধর্ম। যারা কাজ করেন তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু ছোট একটা ভুল করলেই বড় ধরণের হামলা, মামলার শিকার হতে হয় সেই সাংবাদিকদেরকে। থানায় ডেকে নিয়ে বা রাস্তা থেকে ধরে নিয়েই বিভিন্ন মামলা দেয়া হয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, এটা জাতির জন্য কতটা লজ্জাজনক?। বাংলাদেশে প্রায় ১৮কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন পুলিশ বাহিনী এটা যেমন সত্য আর সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন অনেক ঝুঁকি নিয়ে এটাও বাস্তব। সরকার পুলিশকে বেতন ভাতা দিলেও সাংবাদিকরা পাচ্ছেন না সরকারি কোনো সম্মানি ভাতা। ভালো কাজ করলে বলা হয় এটা তাদের দায়িত্ব। সামান্যতম ভুল করলে তাদেরকে বড় গালাগালি দেওয়া হয়। সব পুলিশ খারাপ না, কিছু পুলিশ সদস্য খারাপ তাই পুলিশের বদনাম হয়। মানবিক পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিক ঘর থেকে বাহিরে বের হলে বা ডিউটিতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেক চিন্তায় থাকেন যে, কখন যেন কোন হামলা মামলার শিকার হন দেশপ্রেমিকরা।
দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র্যাব যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গী, খুনী, ধর্ষণকারী, অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করেন এবং ভিকটিম উদ্ধার করাসহ অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন এর জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে কিছু লোকজন অভিমত প্রকাশ করেন যে, পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট হলেও সেই অর্থে তুলনামূলক ভাবে সেবার মান বাড়ছে না। সূত্রমতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মানয়ীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করাসহ পাশাপাশি বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের সকল থানায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে,এতে যেমন প্রশংসা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের। তবে কিছু থানা পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর বদনামও হচ্ছে কিন্তু এই দায় নিবে না মানবিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ধুলাবালির মধ্যে প্রতিদিন অনেক কষ্টের মধ্যে ডিউটি করেন, তাদের সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। দেশের থানা পুলিশ কতৃর্ক আটক হওয়া ব্যক্তিদের হাজত থেকে কারাগারে থাকা নানারকম সমস্যা হয়ে থাকে, তারপরও মানুষ সঠিক পথে চলে না, এটা দুঃখজনক ব্যাপার।
রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের থানায় পুলিশের তেমন কোনো সমস্যা না থাকায় মফস্বল এলাকা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় আসার জন্য পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে থাকেন। এর অনেক কারণও রয়েছে। মফস্বল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নানারকম সমস্যা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। পুলিশের থাকা খাওয়ার সমস্যা। অনেক সময় জরুরি কাজে গাড়ি না পাওয়াসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে পুলিশের। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যেদের অনেক কষ্ট করে ডিউটি করতে হয়, তাদের অনেকেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন অনেক তথ্য রয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, অনেক ইউনিটে চাহিদার চেয়ে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে দৈনন্দিন কাজ চালানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে। বেশিরভাগ ইউনিটি ও থানার নিজস্ব কোনো ভবন নেই, আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। অনেক সময় জরুরি অভিযান পরিচালনার জন্য গাড়ি পাওয়া যায় না। দুঃখজনক বিষয়ঃ সাধারণ মানুষ অনেকেই বলেন, ডাকঢোল পিটিয়ে রং বে—রঙের বেলুন উড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিটির যাত্রা শুরু হয়, কিন্তু পুলিশের সেবার মান বাড়ছে না কেন? অনেক পুলিশ সদস্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন এর কারণও রয়েছে পারিবারিক সমস্যা। সূত্র জানায়, রাজধানী ছাড়াও যেমনঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। এই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও তদন্ত ওসিসহ ৪০ জনের মত অফিসার রয়েছেন। দেখা যায়, বেশিরভাগ পুলিশ অফিসারগণ ভাড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ১০—১২ বছর আগের পুলিশ আর বর্তমান সময়ের পুলিশ একরকম নয়। সরকার যেমন পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেছে,তেমনি পুলিশের কষ্টও বাড়ছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, পুলিশ সদস্য ভালো কাজ করলে পাবলিক বলে এটা পুলিশের দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ সদস্য ছোট কোনো ভুল করলে তাদেরকে অনেক সময় বড় ধরণের শাস্তি দেয়া হয়, এমন কি চাকরি চলে যায়। বাংলাদেশের “প্রশাসনিক কাঠামো” ৬টি থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও ৬৪ জেলা করা হয়েছে। ৬৪ জেলায় ৮৬,৬০৮টি গ্রাম। ১৯৭১ সালে মাত্র ৭কোটি জনগণ ছিলো, যা বর্তমানে প্রায় ১৮কোটির মত জনগণ হয়েছে। মানুষ বাড়ছে, ঘর বাড়ি বাড়ছে, ইটভাটা বাড়ছে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে।পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট বাড়ছে, পুলিশ সদস্যও বাড়ছে, কিন্তু সেই অর্থে কি সেবার মান বাড়ছে?। পুলিশ বিভাগের জন্য আলাদা মেডিকেল ইউনিটি গঠিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান খান কামাল গত ৩ অক্টোবর ২০১৯ইং সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে “বিএসআরএফ সংলাপ” অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সরকার গত মেয়াদে ৮০ হাজার পুলিশের জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে। জরাজীর্ণ থানাগুলোতে নতুন ভবন করা হচ্ছে। পুলিশের নতুন ১৫টি ইউনিট গঠিত হয়েছে। আমরা হেলিকপ্টার সংযোজন করতে যাচ্ছি, তার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি। (পিবিআই), এ ছাড়া দেশের শিল্প এলাকার নিরাপত্তা জোরদার ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ইন্ডাষ্টিয়াল পুলিশ, নৌ—পুলিশ ও ট্যুরিষ্ট পুলিশ গঠন করা হয়। এ ছাড়াও কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট নামে নতুন আরও একটি ইউনিট গঠন হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম।
সহ-সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন সজল, সহ-সম্পাদকঃ মোঃ আবুল কাশেম
অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা), মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০, রেজিস্ট্রি অফিসঃ চৌকস ভবন, চরকালিগন্জ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা -১৩১০.
ফোনঃ+8802226639847, মোবাইলঃ 01716127811, 01678741000, 01711280916, ইমেইলঃ choukasinfo21@gmail.com