সোমালীয় উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশে ফেরা সামুদ্রিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থাকায় দাগনভূঞা উপজেলার মাতৃভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল উল্যাহ বিপ্লব বাসায় ফিরেছেন। মঙ্গলবার রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে শহরের নাজির রোডের মা-মনি ম্যানশনে পৌছেন তিনি। দীর্ঘ দুইমাসের জিম্মিদশা কাটিয়ে পরিবারকে কাছে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন বিপ্লব। অপেক্ষার প্রহর শেষে তাকে জড়িয়ে ধরেন তার মা ও স্ত্রী- সন্তানরা। এসময় তাদের চোখে-মখে আনন্দাশ্রু দেখা যায়। খবর পেয়ে ফেনী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম তানজীম তার বাসায় যান। সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও শারিরীক অবস্থার খোঁজখবর নেন। বিপ্লব জানান, “মা-বাবা ও স্ত্রী ছাড়াও পরিবারে তার দুই শিশু সন্তান দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া রেদোয়ান বিন ইব্রাহিম ও দুই বছর বয়সী রিহান বিন ইব্রাহিম রয়েছে। আলহামদুল্লিাহ, পরিবারকে কাছে পেয়ে অনেক ভালো লাগতেছে। জলদস্যুদের কাছে জিনিন্ম থাকার সময় পরিবারের কাছে ফিরতে পারবো কখনো ভাবিনি। আল্লাহ আমায় ফেরত আনছে। অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।” গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সামালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। সেই হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছায়।