লিখন মিয়া,নকলা (শেরপুর)প্রতিনিধিঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জিয়া আর্কাইভ কেন্দ্রীয় সমন্নয়ক ও নর্থ সাউথ গ্রুপের অন্যতম পরিচালক উমর ফারুক।ইতোমধ্যে তাকে প্রচারণার অংশ হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ করতে দেখা গেছে।দলীয় কর্মসূচিতে নিজ বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে হাজির হচ্ছেন, নিশ্চিত করছেন দলীয় নেতাকর্মীদের নানান দাবি দাওয়া।দৈনিক চৌকস প্রতিনিধিকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান,দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম এখনো আছি ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাআল্লাহ।শেরপুর-২ আসনের অধিকাংশ বিএনপির নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা আমার সাথে আছেন। মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়াই আমার রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র লক্ষ ও উদ্দেশ্য। তারেক রহমানের আহ্বানে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তিকরণের মাধ্যমে সাম্য, মানবিক রাষ্ট্র, সামাজিক মূল্যবোধ, ন্যায় বিচার, আইনের শাসন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। এছাড়াও সাম্প্রতিক বন্যায় ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি এখন ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসন নিয়ে কাজ করছি।দুটি উপজেলাতেই শতভাগ টিউবওয়েল স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।আগামীতে সুযোগ পেলে নকলা-নালিতাবাড়ীর কৃষি, পর্যটন,শিক্ষার হার এবং বেকারত্ব নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে চাই।
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,তারেক রহমান ছাড়া আমার প্রত্যাশার জায়গা আমার সমর্থক শুভানুধ্যায়ী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা।এর বাইরে গ্রুপিং লবিং এ বিশ্বাসী না আমি,আমি গণমানুষের প্রার্থী, এবং আমি মনে করি জণগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আমার বিশ্বাস আগামী সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে মূল্যয়ন করবেন।তৃণমূলের হাইপ আর তরুণ প্রজন্মের চাওয়া পাওয়াকে মূল্যায়ন করবেন।
তিনি আরো বলেন, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে গিয়ে ব্যাবসায়ীকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছি, পালিয়ে থেকেছি হুমকি ধামকির স্বীকার হয়েছি।কিন্তু অনুতাপের বিষয় ৫ আগস্ট গণ অভ্যূত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে। আমাদের ঘরে বাইরে এখনো তারা সক্রিয়।নিজের গ্রুপকে শক্তিশালী করতে আমার দলের যে বা যারা আওয়ামী দোসরদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন,নিজের দলের নেতাদের পিছনে লেলিয়ে দিচ্ছেন, অপপ্রচার আর গুজবে ভরিয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।তাদের ব্যাপারেও সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত আসছে দলীয় হাইকমান্ড থেকে।
দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হয়ে শেরপুর-২ নকলা-নালিতাবাড়ী আসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যন্নয়োনের পাশাপাশি গ্রুপিং আর পরিবারতন্ত্র জটিলতায় পিছিয়ে পরা নেতাকর্মীদের যোগ্য স্থানে বসাতে চাই।দল মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন তিনি।
তৃণমূলের খোঁজখবর নিতে গিয়ে এই আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠকদের সাথেও কথা বলেন আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি।
নালিতাবাড়ীর কাকড়কান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জনাব আনিস সাহেব দৈনিক চৌকস নিউজ কে জানান,জাহেদ আলী চৌধুরীর মৃত্যুর নকলা নালিতাবাড়ীতে যে নেতৃত্ব শূণ্যতা তৈরি হয়,২০১৮ সালে নির্বাচনের পর সেই সংকট আরো প্রকট হয়।সেই অচলায়তন ভেঙে উমর ফারুক সাহেব চেষ্টা করছে দুই উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার।আমরাও মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।দলের মনোনয়ন বোর্ডের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে,আমরা বিশ্বাস করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি উমর ফারুকের মতো সাংগঠনিক এবং দানবীর মানুষকেই বেছে নিবে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে৷
নকলা ও নালিতাবাড়ীর বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে থাকায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কদর বেড়েছে বলে জানান নকলা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শফিউল আলম পলাশ।তিনি বলেন,২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে শেরপুর ২ আসন যে অভিভাবকহীনতায় ছিলো তা আমরা জনাব উমর ফারুকের মাধ্যমে পূরণ করেছি।উনাকে আমরা আমাদের বিপদের সময় পাশে পেয়েছি, সু-সময়েও আমরা উনার নেতৃত্বেই এগিয়ে যেতে চাই।এছাড়াও নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান আব্দুল কাইয়ুম বলেন,ফারুক ভাইকে আগামী দিনে এমপি হিসেবে দেখতে চাই,এবং সে অনুযায়ী নকলা উপজেলা ছাত্রদল কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছি,ফারুক ভাইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপকে মসৃণ করার চেষ্টা করছি। আমরা ছাত্রদল যুবদল সেচ্ছাসেবকদল ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান উমর ফারুকের পাশে থাকব এবং আগামীর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ ।