দৈনিক চৌকস : ভ্রাম্যমান
প্রতিনিধি : রাজিব খাঁন
রাজশাহী গোদাগাড়ীতে মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লিজ নেয়া বালুমহলে চাঁদা না পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া ও নারী সাংবাদিক সহ একাধিক সাংবাদিক লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদল নেতা সহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর ) বিকাল আনুমানিক ৪ টার সময় গোদাগাড়ী উপজেলা প্রেমতলি অব্দা বালু মহলে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার নাম টমাস সে গোদাগাড়ী ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক। এছাড়াও তার অনুসারীরা হচ্ছে উপজেলার ফুলতলা এলাকার রাকিব@রাজিব, শরিফুল ও রফিক সহ আরোও অনেকে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায় গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১ টার সময় ছাত্রদল নেতা টমাস ও তার অনুসারীরা বালু মহলে গিয়ে সেখানে থাকা বালু ভর্তি ট্রাক ও বালু কাটা এক্সেভেটর আটকিয়ে রেখে বলে আমরা এখান থেকে কোন বালু উত্তোলন করতে দিব না। এক পর্যায়ে বালু মহলে কর্মরত সকলকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিলে সেখানে থাকা একজন কর্মচারী বালু মহলের ম্যানেজারকে বিষয়টি অবগত করেন। ম্যানেজার টমাসের সাথে যোগাযোগ করলে সে ম্যানেজারকে জানায় আমাকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে অথবা এককালিন ১০ দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে অন্যথায় এখান থেকে কোন বালু উত্তোলন করতে দিব না বলে সেখান থেকে চলে যায়।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরের পরে আবারও টমাসের অনুসারীরা বালু মহলে চাঁদার নেয়ার জন্য গিয়ে সেখানে থাকা বালু ভর্তি ট্রাক আটকিয়ে আনলোড করায় ও বড় ধরনের হট্টগোল সৃষ্টি করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। হট্টগোল দেখে সেখানে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন আরটিভি, একাত্তর টিভি ও জাতীয় পত্রিকার নারী সাংবাদিক সহ একাধিক সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রদল নেতা টমাসের অনুসারীরা ওই নারী সাংবাদিক সহ কয়েকজন সাংবাদিককে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে।
মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মাহাবুল ইসলাম বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান চলতি বাংলা ১৪৩১ সালে গোদাগাড়ী বালু মহলের নিলামে অংশ নিয়ে আমার প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এই বালু মহলের ইজারা লাভ করে। গত ১লা বৈশাখ এই বালু মহল আমাদের কাছে জেলা প্রশাসন বুঝিয়ে দেয়। তখন থেকেই আমরা নিয়মিত বালু উত্তোলন করে আসছি।
সে আরোও বলেন, এই ছাত্রদল নেতা টমাস গত ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতা গনঅভ্যুথ্যানের আগেও আমাদের এখানে ৪৫০ টাকা রোজে কাজ করতো কিন্তু হঠাৎ গত সোমবার রাতে টমাস ও তার অনুসারীরা আমাদের বালু মহলে
এসে বলে এখান থেকে বালু উত্তোলন করতে হলে আমাকে দৈনিক ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অথবা এককালীন ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দিতে হবে। আমি তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।