1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে বাংলাদেশ সূফিবাদী ঐক্য ফোরামের সৌজন্য স্বাক্ষাৎ সাংবাদিক আলহাজ্ব কলিম সাহেব খুব অসুস্থ্য—তার রোগমুক্তির জন্য সবার দোয়া কামনা পুলিশ ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে একটি সুবিধাবাদী মহল তিতাস গ্যাসের হাজার হাজার অবৈধ সংযোগে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার গোয়াইনঘাটের গুরকচিতে আরেকটি শাপলা বিলের সন্ধান পাওয়া গেছে।  ” স্বপ্নবাজ “এর উদ্যোগে টি১০ ক্রিকেট টুনামেন্ট- ২০২৫ সদরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদানন্দ পাল এর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক কাউন্সিলর “অমিয় সরকার গোরা’র” ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। পিরোজপুরে উপ-সচিবের গ্রাম আদালত পরিদর্শন শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শীত উপলক্ষে পিঠা খাওয়ার ধুম

রাজশাহী মতিহারে স্বামী স্ত্রী মিলে মাদকের রাজ্য গড়ে তুলেছেন

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (মোঃ রাজিব খাঁন)
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪
Choukas update news

রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানা ধিন শ্যমপুর চরপাড়া মাদকে ছয়লাব হয়ে পড়েছে। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। অদৃশ্য চাপে গ্রেফতার করতে গিয়ে হয়রানিতে পড়তে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। মতিহার এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী আকবর আলীর ছেলে সুমন আলী ও তাঁর স্ত্রী রঙ্গিলা। এরা অদৃশ্য এক হোয়াইট কালারের গডফাদারের ছত্রছায়ায় তুলেছেন মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তাদের বাসায় দিন-রাত সমান ভাবে প্রকাশ্যে চলছে মাদক কেনাবেচা। সেই সাথে চলে, সেখানে বসেই সেবন। টাকা দিলেই যে কোনো বয়সের যে কেউ পায় হেরোইন, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক। অনেক স্কুল কলেজের ড্রেস পরিহিত ছাত্ররা নিচ্ছে দেদারসে মাদক। তাদের এই মাদক বিক্রির হাটে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই চলে নির্যাতন। এমন অনেক ভুক্তভোগীরা বলছেন অদৃশ্য এক শক্তি তাদের ছায়া দিয়ে রেখেছে। সেই শক্তি বলয়ে থানা পুলিশও অসহায় এদের কাছে। এদের বিরুদ্ধেও মাদকসহ নানা অপকর্মের ডজন ডজন মামলা আছে। ওই অদৃশ্য শক্তির নিকট থানা পুলিশও কিছুটা অসহায়। অভিযান করে অদৃশ্য শক্তির কাছে মিথ্যা হয়রানিতেও পড়তে হয়েছে থানা পুলিশকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যেই চলছে মাদক বিক্রি। তাদের ভয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলছে না প্রতিবেশীরা। তবে সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলছে এসকল মাদক কারবারি নিকট প্রচুর সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও চোর আছে। যারা তাদের নিয়মিত কাস্টমার। কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে নেমে আসে নির্যাতন ও হয়রানি। তাদের কারণে এলাকায় চুরি ছিনতাই বেড়েছে। যুব সমাজ আজ ধংসের মুখে। কেউ প্রতিবাদ না করায় দিন দিন তাদের সাহস বেড়েছে। অন্যদিকে প্রতিবেদক গোপনে মাদকের হাটে গিয়ে দেখেন ভিন্ন চিত্র। অনেকটা প্রকাশেই এক নারী হাতে ব্যাগ নিয়ে হেরোইনের পুরিয়া দিচ্ছেন সেবনকারীদের। রাজশাহী নগরীর শ্যামপুর চরপাড়া এ ভাবেই প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে ওই এলাকার রঙ্গিলা ও সুমন আলী । এ ভাবে দিনরাত ২৪ ঘন্টা ধারে রমরমা মাদক ব্যবসা চলছে। বাড়ির সামনেই এ যেন মাদকের হাট বসেছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রতিদিন ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মাদক কিনতে আসছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই মাদক বিক্রির স্পর্টে। এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন মাদক কারবারি রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে অনেকেই। প্রতিবেদককে স্থানীয়রা বলেন, শ্যামপুর চরপাড়া এলাকায় মাদক সিন্ডিকেটের মূল সুমন ও তার পরিবার। তবে শ্যামপুর চরপাড়া এলাকায় প্রভাবশালী মাদক কারবারি সুমন আলী ও রঙ্গিলা নেতৃত্বে রমরমা মাদক ব্যবসা চলছে। তাদের নেতৃত্বে অন্যান্য মাদক কারবারি কিছু নারী ও পুরুষ এখন মাদকের রমরমা ব্যবসায় লিপ্ত। এরা সবাই বর্তমানে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করলেই উল্টা মাদক কারবারিরা হুমকি দিয়ে থাকে, বেশি কথা বললে উল্টা মাদক দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। প্রকাশ্যেই তারা বলেন পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনসহ সবকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করি। মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাদের মাদক বিক্রির কারণে এলাকার যুবকরা মাদক আসক্তে জড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত এসব মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যুবসমাজ ধংস হয়ে যাবে। মরিয়ম বেগম বলেন, যুব সমাজ আজ মাদকের ভয়াল থাবায় ধংসের মুখে। এটা এই এলাকায় এখন ছয়লাব হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। জানতে চাইলে রাসিকের ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহের হোসেন সুজা বলেন, আমি আমার ওয়ার্ডে মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় অবস্থান নিয়ে থাকি। কিছু শক্তিশালী চক্র এসব মাদক কারবারিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিচ্ছে। আমি এসব বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রশাসন চাইলে আমিও সহযোগীতা করবো। জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র এডিসি (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) জামিরুল ইসলাম বলেন,  মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক কারবারিরা আটক হয়। আবার তারা জেল থেকে বের হয়ে মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়। অন্য এক প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, যদি কোনো পুলিশ সদস্য এসব মাদক কারবারিকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করে তাহলে তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2014
Theme Customized BY LatestNews