আগামী ২৯ মে মোহনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থীরা। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত উপজেলা জুড়ে পোস্টার সাটিয়ে, মাইকিং করে ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজ নিজ প্রতিকের জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।
সরজমিনে মোহনপুর উপজেলা ঘুরে জানা যায়, গত মোহনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এমপির ক্ষমতা থাকায় তার আপন দুলাভাই এ্যাড. আব্দুস সালাম উপজেলা প্রার্থী ঘোষণা দেন, এজন্য কেউ আর চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস দেখায় না। তবে এবার রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার সর্বসাধারণের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে চলেছেন। সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস পর মোহনপুর উপজেলা নির্বাচনের ঘন্টা বাজতে শুরু করলো। সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বর্তমানে এমপি না থাকায় ভোটের মাঠে প্রার্থী হয়ে দাড়ালেন না মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুস সালাম।
এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ। তবে কোন পক্ষের আস্থাশীল সমর্থন না দেওয়ায় তার এ স্বপ্ন পূরণ হবেনা ভেবে চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন উত্তোলন করেননি।
সর্বশেষ ভোটের মাঠে চেয়ারম্যান পাঁচ জন প্রার্থীদের মধ্য থেকে আলোচনার ঝড় তুলেছেন তিন জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এদের মধ্যে ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বকুল আনারস প্রতিকের বিজয় নিশ্চিত করতে সকলের মাঝে ভোট প্রার্থনা করছেন। তার সাথে লোকবল ও তৃণমূলে প্রচারণার জন্য সর্বদা কাজ করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।
অপরদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য আয়ের উদ্দিন তার আপনজনের মধ্যে কোন প্রার্থী না থাকায় জাতীয় নির্বাচনে আসাদুজ্জামান আসাদকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে কাজ করার কথা জেনেও বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আল মমিন শাহ্ (গাবরু) পক্ষে মাঠে নেমে কাপ-পিরিচ এর জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি।
তার সাথে নির্বাচনী মাঠে যুক্ত হয়েছেন, ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু হোসেন, জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ। তবে সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন সাথে নির্বাচনী মাঠে কাপ-পিরিচ এর ভোট প্রার্থনা করলেও তাদের একক ভাবে নিজ এলাকায় তেমন ভোট চাইতে লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে, ভোটের মাঠে আলহাজ্জ্ব এনামুল হক প্রথম দিকে নির্বাচনের সাধারণ ভাবে জানান দিলেও প্রতীক বরাদ্দের পূর্ব মুহুর্তে উপজেলায় স্কুল মাঠে লোকবল নিয়ে সাড়া ফেলেছিলেন। পরে তিনি তার ঘোড়া প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে গ্রামে গ্রামে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের মাঝেও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আনারস মার্কা, প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান মোঃ আবজাল হোসন বকুল তার
মোহনপুর,উপজেলার নির্বাচনী এলাকাই ভোট চেয়ে, যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে চেয়ারম্যান বকুল বলেন আনারস মার্কার বিজয় নিশ্চিত হবে