সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিবাদী মোঃ নান্নু ভুঁইয়া গং রা গত শুক্রবার এই ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করেন।
জমি নিয়ে সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দশ হাজার গ্রামের আঃ কুদ্দুস খান এর সঙ্গে একই গ্রামের মোঃ নান্নু ভুঁইয়ার দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়। এর প্রেক্ষিতে বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থাপনা নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত শুক্রবার বিরোধপূর্ণ জমিতে সিমেন্ট এর খুটি ও টিনের বেড়া দিয়ে দুই চালা একটি টিনের ঘর নির্মাণ করার পাঁয়তারা করে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সদরপুর ইউনিয়নের ৪৬ নং দশহাজার মৌজার বিরোধপূর্ণ জমিতে নতুন একটি ঘর নির্মাণ করার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
উক্ত মৌজায় আর,এস, ২৬৯, ১৪২,২৭০ নং খতিয়ানে ৮২৪, ৮৪৩ নং দাগে ৪২ শতাংশ জমি মামলার বাদি কুদ্দুস খান গং দের দাবীকৃত জমি। সূচীপত্র ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় উক্ত মৌজায় সাবেক ৮২৪ নং দাগ বি,এস, ৯৫৭ নং দাগ যাহার খতিয়ান নং ২১৪, ৫১৯ এবং সাবেক ৮৪৩ নং দাগ বি,এস, ৯৬৮, ৯৬৯ নং দাগ যাহার খতিয়ান নং ১৮৩, ২৬৪ হয়েছে।
জমির বিষয়ে ১ম পক্ষ বলেন, নালিশী জমি ১৯৭১ সাল থেকে আমরা ভোগ করে আসছি। ১৮/০৮/১৯৭১ সালে আমি সোনা মুন্সী,পিতা ফাজেল মুন্সীর নিকট থেকে উক্ত জমি ক্রয় করি যাহার দলিল নং ১৯০৪, RS সাবেক ৮২৪, ৮৪৩ নং দাগের ৪২ শতাংশ জমির দলিল আছে। বি,এস, রেকর্ড কম হওয়াতে দেওয়ানী মামলা করেছি এবং জমি দখলে আছে।আমাদের কাছে জমির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও জোর করে আমাদের জমিটি দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের নিষেধ অমান্য করে ঘর তোলার চেষ্টা করলে আমরা সপরিবারে বাধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করে এবং একজন হাসপাতালে ভর্তি আছে । এর আগেও মোঃ নান্নু ভুঁইয়া দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। এ বিষয়ে সদরপুর থানায় অভিযোগ করেছি। এ ছাড়া মোঃ নান্নু ভুঁইয়া আমাকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
২য় পক্ষ মোঃ নান্নু ভুঁইয়া জানান যে, নালিশী দাগের জমির মধ্যে বি,এস, জরীপে ২৯ শতাংশ জমি নিজ নামে এবং ২৮ শতাংশ জমি খরিদ করেছেন নালিশী জমি স্থানীয় সালিশ এর মাধ্যমে সীমানা নির্ধারন করা হলে পশ্চিম পাশে ৮ ফুট এবং পূর্ব পাশে ৫ ফুট যায়গা ১ম পক্ষের দখলের জমির মধ্যে ঢুকেছে যাহা খুটি পুতে রাখা আছে।
বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তোলার বিষয়ে মোঃ নান্নু ভুঁইয়া বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমি যাহা আমি ১৯৫৩ সালে ক্রায় করি এবং সেই দলিল অনুযায়ী বি এস রেকর্ড আমার নিজের নামে করাইয়া নেই সে ক্ষেত্রে এ জমি আমার সেজন্য আমি ঘর তুলতে চেয়েছি।
সদরপুর থানার উপপরিদর্শক মো.আতিকুল ইসলাম বলেন, বিবাদী মোঃ নান্নু ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ সদরপুর থানায় করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলমান। আমি সরেজমিনে আদালতের জারি করা নিষেধাজ্ঞার আদেশ উভয় পক্ষকে শুনিয়েছি এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঘড় তোলার কাজ বন্ধ রেখে উভয়পক্ষকে আদালতের নির্দেশ মত নালিশ জমিতে কোন প্রকার কাজকর্ম করতে নিষেধ করেছি। আরো তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।