1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
  2. pphelp90@gmail.com : jahid hasa : jahid hasa
  3. shahriarnishat84@gmail.com : Nishat Shahria : Nishat Shahria
  4. zahidhossainsazal72@gmail.com : Zahid Hossain : Zahid Hossain
  5. sholimuddin1986@gmail.com : Sholim : Sholim
  6. smnazrulislam.official@gmail.com : SM Nazrul Islam : SM Nazrul Islam
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সদরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদানন্দ পাল এর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক কাউন্সিলর “অমিয় সরকার গোরা’র” ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। পিরোজপুরে উপ-সচিবের গ্রাম আদালত পরিদর্শন রাজশাহী মোহনপুর দুর্গাপুর মতিহার গ্রামে মদ খেয়ে নিহত ৩ জন অসুস্থ ৪ সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন জনাব মোঃ আবু ছায়েদ রাজশাহী মোহনপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে নবীন বরণ বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  রাজশাহী মোহনপুর বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখার লিফলেট বিতরণ  শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শীত উপলক্ষে পিঠা খাওয়ার ধুম শেরপুরে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে ব্যবসায়ী খুন, আটক ২ চট্টগ্রাম নগরীতে অসাধু চক্র- ও ‌প্রতারণা থেকে রক্ষায় পুলিশ কমিশনারের সতর্ক বিজ্ঞপ্তি

সদরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদানন্দ পাল এর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

সদরপুর (ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদানন্দ পাল এর বিরুদ্ধে অনিয়ম, হয়রানী ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকূলে মঞ্জুরীকৃত স্লিপ প্রাক-প্রাথমিক, বই পরিবহনে অনিয়ম এবং বিদ্যালয় মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলনে ওই কর্মকর্তার ঘুষ দাবির বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

সেই অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, সদানন্দ পাল ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সদরপুর উপজেলার ১৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাপ্ত স্লিপ বাজেটের অর্থ থেকে অডিটের কথা বলে ৭শত টাকা করে তুলে নিয়েছেন। মূলত স্লিপের কাজের জন্য অডিট অফিসে কোন টাকা দিতে হয় না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক প্রধান শিক্ষক উক্ত ৭শত টাকা দিতে আপত্তি করলে সদানন্দ পাল প্রভাব খাটিয়ে প্রত্যেককে টাকা দিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি সকলে অবগত থাকলেও উক্ত শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায়নি।

এই শিক্ষা অফিসার সপ্তাহে তিন দিন অফিস করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং রবিবার বিকেলে সদরপুরে আসেন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এভাবে তার ইচ্ছেমতো অফিস করেন। যেকোনো রবিবার পূর্বাহ্নে আসলে তাকে অফিসে পাওয়া যায় না। এই ব্যাপারে তাকে কেউ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয় ডিজিটে ছিলাম। পরে অফিসে বসে ভিজিট ফরম ফিলআপ করেন।

তিনি সব শিক্ষকদের সমান চোখে দেখেন না। যে সকল শিক্ষক স্পষ্টবাদী ও তার অনৈতিক কাজের সাথে থাকেন না তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাদেরকে দমিয়ে রাখেন। আর যে সকল শিক্ষক তার অনুগত তারা মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে না যেয়েও বেতন তুলে নিচ্ছেন। যে তথ্য উপজেলার সকলের কাছে আছে। সকলে বলে উক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাকি আওয়ামীলীগের দোসর।

সদরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস তার সাবেক শিক্ষা অফিস হওয়ার কারনে তিনি এতো বেশি শক্তি ও সাহস নিয়ে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। প্রায় তিন বছর তিনি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে সদরপুর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার থাকাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে অনেক বিতর্কিত কাজ করে শিক্ষক সমাজে লাঞ্ছিতও হয়েছেন। পরে এখান থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হন। সেই অতীতের সূত্র ধরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হওয়ার পর তদবির করে পূর্বের কর্মস্থলে পোস্টিং নেন। চলতি দায়িত্ব থেকে ফুল প্লেস ইউইও হওয়ার পর তার পূর্বের শত্রুতা উদ্ধার করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেন। কোন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগণ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। এখনো আওয়ামীলীগ দোসরেরা তাকে সাহস দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থাতে উক্ত সদানন্দ পালকে বদলী করা না হলে অতীতের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে এবং ছাত্র সমন্বয়ক এর হাতে উক্ত শিক্ষা অফিসার লাঞ্ছিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন চরাঞ্চলে অবস্থিত। ইউনিয়ন তিনটির বিদ্যালয় স্থাপনা মাঝে মধ্যেই নদী ভাঙ্গনের জন্য সরাতে হয়। অন্যত্র সরানো নিয়েও অনেক অনিয়মের কথা শোনা যায়। তেমনি একটি বিদ্যালয় হল কটিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদী ভাঙ্গনের পর উক্ত বিদ্যালয়ের ঘরটি শরিফ নামে এক ব্যক্তির সহযোগীতায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন।

গত বৃস্হপতিবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিনব্যাপী ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দিখান ডাংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজম খানের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা এবং ভুড়ি ভোজের মহোৎসব। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদানন্দ পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খান, রিপা ঘোষ, ঝিল্লুর রহমান।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সদরপুর ক্লাস্টারের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানগণ।

স্কুল চলাকালীন সময়ে এই ধরনের বিদায় অনুষ্ঠান ও ভুড়ি ভোজের অনুষ্ঠান করা যায় কি না এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের মেবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনারা যা পারেন তাই লিখেন। ছ্যাবলা, বেয়াদব কোথাকার।

পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, তিনি শিক্ষকদের বদলি, বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেইনেন্স, ওয়াশ ব্লক, প্লেয়িং এক্সেসরিজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাত থেকে শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্য করে থাকেন। বদলি, পদায়ন ও তদন্তের নামে নানা কায়দায় শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় তিনি ওস্তাদ। বিভিন্ন সরকারি দিবসের বরাদ্দকৃত টাকা যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়নি। এমনকি শিক্ষকদের ভ্রমণ বিল, বিনোদন ভাতা থেকেও টাকা কর্তন করে রাখা হয়েছে। সদানন্দ পাল এর রয়েছে কয়েকজন বিশ্বস্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার। তারা মূলত বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে এসব ঘুষ বানিজ্যের টাকা তুলে থাকেন আর এর মূল নেতৃত্ব দেন সদানন্দ পাল। আমরা প্রাথমিক শিক্ষকেরা এ দেশে খুব নিরীহ। বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে আমাদের থেকে ঘুষ নিতেন এই শিক্ষা অফিসার। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের বদলি করার হুমকি দিতেন।কথায় কথায় বলতেন আমি আওয়ামিলীগের লোক। আমার দল এখন ক্ষমতায়। আমি যা বলবো তাই হবে। যে বেশি বাড়াবাড়ি করবে তাকে এমন চরে বদলি করবো যে তার বারোটা বেজে যাবে।

এ ব্যাপারে আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চরাঞ্চলের ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫টিরও বেশী বিদ্যালয় রয়েছে। সেই সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মাসে ২-১দিন বিদ্যালয়ে গিয়ে সারা মাসের হাজিরা তুলে মাসিক রির্টান জমা দেন। আবার কোন কোন বিদ্যালয় চলে আন্ডার মেট্রিক প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে। বিনিময়ে সদানন্দ পাল ঐ সকল শিক্ষকদের নিকট থেকে তাদের বেতনের এক-তৃতীয়াংশ উৎকোচ হিসেবে গ্রহন করে থাকেন। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও ফরিদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক চরাঞ্চলের বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন ও এই সকল অভিযোগের সত্যতা পান। কিন্তু রহস্যজনক কারনে এই সদানন্দের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। বর্তমানে চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলি পরিদর্শনের দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খান। তিনি মাসে একবারও কোন বিদ্যালয় পরিদর্শনে না যেয়ে অফিসে বসে মোবাইলে শিক্ষকদের খোঁজখবর নেন। চরাঞ্চলের শিক্ষকদের বেশীর ভাগ শিক্ষককে দেখা যায় উপজলা সদরে ঘুরাঘুরি করতে। এমনকি শিক্ষা অফিসের পাশে হালিমের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে।

এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলার প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকরা দাবি জানিয়েছেন যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক এই দুর্নীতিবাজ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদানন্দ পাল এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তাকে এ উপজেলা থেকে অপসারণ করা হয়। তার বদলির জন্য উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে জোর দাবি উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2014
Theme Customized BY LatestNews